ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ভারত ৯ উইকেটে হারাল আমিরাতকে

প্রকাশিত: ০৯:০৫, ৪ মার্চ ২০১৬

ভারত ৯ উইকেটে হারাল আমিরাতকে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নিউজিল্যান্ডের সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন মার্টিন ক্রোর মৃত্যুতে শুরুতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। ক্রিকেটার, কোচ, আম্পায়ার, স্টেডিয়ামে আগত হাজার পাঁচেক দর্শক, প্রেসবক্সে বসা সাংবাদিক থেকে শুরু করে সবাই দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন। এর পরই শুরু হয় ভারত-সংযুক্ত আরব আমিরাত নিয়মরক্ষার ম্যাচটি। অনুমিতভাবেই ম্যাচটিতে জয় তুলে নেয় ভারত। ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে জিতে যায় মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। জিতে এবার এশিয়া কাপের লীগ পর্বে অপরাজিত দল থাকে। অপরাজিত থেকেই রবিবার বাংলাদেশের বিপক্ষে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ খেলতে নামবে ভারত। দুই দলের দুই রকম অবস্থা হয়। ভারত টানা চার ম্যাচে জিতে। বাংলাদেশকে ৪৫ রানে, পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে, শ্রীলঙ্কাকে ৫ উইকেটে হারানোর পর আরব আমিরাতকেও সহজেই হারিয়ে দেয়। আরব আমিরাত টানা চার ম্যাচে হারে। টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় ঘণ্টা আগেই বাজে। বৃহস্পতিবার নিজেদের শেষ ম্যাচেও হারে। শ্রীলঙ্কার কাছে ১৪ রানে, বাংলাদেশের কাছে ৫১ রানে ও পাকিস্তানের কাছে ৭ উইকেটে হারের পর ভারতের কাছেও ধরাশায়ী হয়। জয়হীন এশিয়া কাপ শেষ করে আরব আমিরাত। ম্যাচটিতে টস জেতে সংযুক্ত আরব আমিরাত। আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। তাতে কোন কাজই হয় না। এবার এশিয়া কাপে সর্বনি¤œ ৮১ রান করে। তবে ৯ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভার খেলে। দলের পক্ষে দুজনই শুধু দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেন। একজন, সাইমান আনোয়ার। করেন ৪৩ রান। আরেকজন রোহান মোস্তফা ১১ রান করেন। এ ছাড়া আর কেউই ভারত বোলারদের সামনে কুলিয়ে উঠতে পারেননি। পেসার ভুবনেশ্বর কুমার এবার প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমেই ২ উইকেট নেন। জবাবে অনায়াসেই জিতে যায় ভারত। রোহিত শর্মার ৩৯, যুবরাজ সিংয়ের অপরাজিত ২৫ ও শিখর ধাওয়ানের অপরাজিত ১৬ রানে ১০.১ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৮২ রান করে জিতে যায় ভারত। সেই সঙ্গে লীগ চ্যাম্পিয়নও হয়। অপরাজিত থেকেই ফাইনালে খেলবে ভারত। এদিন বিরাট কোহলি ব্যাটিংই করলেন না। যুবরাজকে আগে ব্যাট করতে পাঠিয়ে দিলেন ধোনি। ফাইনালের আগে মনে করা হয়েছিল ভারত ব্যাটিং প্রস্তুতি ভালভাবে সেরে নেবে। কিন্তু সেই সুযোগই মিলল না। আরব আমিরাত যে স্কোর বোর্ডে বেশি রানই যুক্ত করতে পারল না। শ্রীলঙ্কাকে বোলিংয়ে ভোগানোর পর বাংলাদেশকে ভোগায় আরব আমিরাত। এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটিংটাও ভাল করে। মনে করা হচ্ছিল, ভারতকেও ভোগাতে পারে। কিন্তু টি২০ ক্রিকেটের সেরা দল ভারত যে কতটা শক্তিশালী, তার প্রমাণ মিলে গেল। দুর্বল দল যে আরব আমিরাত, তা শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে বোঝা না গেলেও ভারতের বিপক্ষে ঠিকই বোঝা গেল। তবে পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে যেভাবে টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোকে ভুগিয়েছে আরব আমিরাত, তাতে শেষ পর্যন্ত প্রশংসাই পাচ্ছে দলটি। আরব আমিরাত অধিনায়ক আমজাদ জাভেদ বললেন, ‘আমরা ১২০ রানের পরিকল্পনায় খেলতে নামি। এমন দলের সঙ্গে খেলা হয়, যারা টুর্নামেন্টের সেরা দল। খুবই কঠিন তা জানা ছিল। তবে আমরা এখান থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, যা ভবিষ্যতে কাজে দেবে।’ আসলেই তাই। প্রথমবারের মতো যখন টেস্ট খেলুড়ে দলের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি২০ খেলার সুযোগ পেয়েছে আরব আমিরাত, তখন টানা চারটি টেস্ট খেলুড়ে দলের বিপক্ষে খেলে ফেলেছে। অভিজ্ঞতা অর্জনই তাই পুঁজি হয়ে থাকল আরব আমিরাতের। আর ভারতের? ফাইনালের আগে নিজেদের আরও ঝালাই করে নিল।
×