ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত

বাংলাদেশকে যে কোন সহযোগিতা করতে রাশিয়া প্রস্তুত ॥ বিদায়ী রাষ্ট্রদূত

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ৪ মার্চ ২০১৬

বাংলাদেশকে যে কোন সহযোগিতা করতে রাশিয়া প্রস্তুত ॥ বিদায়ী রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার বিদায়ী রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার এ নিকোলায়েভ বাংলাদেশ এবং রাশিয়ার মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনৈতিক এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদারকরণে ‘আন্তঃরাষ্ট্রীয় কমিশন’ গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে রাশিয়ার বিদায়ী রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁও কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাতে এ কথা বলেন। সাক্ষাতের পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। খবর বাসসর। নিকোলায়েভ আরও বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের যে কোন ধরনের উন্নয়নমূলক কর্মকা-ে সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। বাংলাদেশে বিগত চার বছর দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে সহযোগিতার জন্য রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এই সময়ে বাংলাদেশ এবং রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে। ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাশিয়া সফরের কথা স্মরণ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, সেই সফরের ফলে বাংলাদেশ রাশিয়ার সম্পর্কের ভিত আরও মজবুত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দিনকে দিন আরও এগিয়ে যাচ্ছে।’ রাশিয়ায় বাংলাদেশ ফেস্টিভালের কথা স্মরণ করে নিকোলায়েভ দু’দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যকার বিদ্যমান ব্যবসা-বাণিজ্যে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বর্তমানে মোটামুটি সমতা বজায় রয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের এশিয়া কাপ ক্রিকেটের সাফল্যে নিকোলায়েভ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দনও জানান। দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের সাম্প্রতিক প্রসার এবং আরও সম্প্রসারণে রাশিয়ার আগ্রহে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে অমিত সম্ভাবনা রয়েছে।’ বৈঠকের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মুিক্তযুদ্ধের সময় এবং পরবর্তীতে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে রাশিয়ার ভূমিকা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের পর চট্টগ্রাম বন্দরকে মাইনমুক্ত করে চালুর উদ্যোগ গ্রহণে রাশিয়ার সহযোগিতার কথা স্মরণ করে বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতাকারীদের কথা আমরা সব সময়ে স্মরণ করি।’ প্রধানমন্ত্রী দু’দেশের মধ্যকার বিদ্যমান সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘বাংলাদেশ সব সময়ই এই সম্পর্ককে মূল্য দেয়।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা রাশিয়ার কাছ থেকে সবসময়ই প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পেয়ে আসছি। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করার মাধ্যমে এই সৌহার্দ্যরে বন্ধনকে আমরা এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই।’ বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকা-ে বিশেষ করে বিদ্যুত ও জ্বালানি ক্ষেত্রে রাশিয়ার অব্যাহত সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রী দূতকে ধন্যবাদ জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনকেও শুভেচ্ছা জানান।
×