ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বই আলোচনা ॥ কবি নজরুল ও নার্গিস এক অমর প্রেম

প্রকাশিত: ০৩:৫৭, ৪ মার্চ ২০১৬

বই আলোচনা ॥ কবি নজরুল ও নার্গিস  এক অমর প্রেম

বিদ্রোহী কবি হিসেবে কাজী নজরুল ইসলামের সুখ্যাতি থাকলেও প্রেম ও সাম্যবাদের কবি হিসেবেও সুখ্যাতি কম নয়। কবির জীবনে স্নিগ্ধ প্রেমের পরশ এসেছে বহুবার। তবে কথায় আছে প্রথম প্রেমের স্মৃতি নাকি কখনই ভোলার নয়। ঠিক তেমনি কবির জীবনেও প্রথম প্রেমের ছোঁয়া দোলা দিয়ে গেছে জীবনভর। কবির প্রথম প্রেম ও বিরহ যেন একই সূত্রে গাঁথা ছিল। অর্থাৎ প্রেমের পূর্ণতা আসতেই বিরহের কালো ছায়া ছেয়ে যায় কবির জীবনে। প্রেমমুগ্ধ নার্গিসকে নিয়ে কবি লিখেছেন অসংখ্য গান ও কবিতা। সম্পর্ক অল্পদিনের হলেও এর প্রভাব ছিল সুদূরপ্রসারী। নজরুলের জীবনে নার্গিস অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িয়ে ছিল। আর এসব ঘটনাবহুল প্রেমকাহিনী সুনিপুণভাবে লেখনীর মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন এম এ ওয়াহিদ। ‘নজরুলের জীবনে নার্গিস’ বইটি পড়লে যে কেউ বইটির প্রেমে পড়ে যাবে। কবির কলকাতা থেকে কুমিল্লায় আগমন, সংবর্ধনা প্রাপ্তি, নার্গিসের সঙ্গে পরিচয় ও পরিণয় এবং অতপর বিয়ে পর্যন্ত যে বর্ণনা দেয়া আছে তা গুণীহাতের লেখারই পরিচায়ক। বইটি পড়লে মানসপটে ভেসে উঠবে কুমিল্লার দৌলতপুরের শান্ত নিটোল গ্রাম ও ঘাট বাঁধানো পুকুরের কথা। যে পুকুরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কবি স্নান করতেন। পুরো বইতে প্রেমকাহিনী বর্ণনার পাশাপাশি সেসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে নজরুল যে গান ও কবিতা রচনা করেছিলেন তা উল্লেখ রয়েছে। এতে করে কালজয়ী কিছু গান ও কবিতার উৎপত্তি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। যা পাঠকের মনের খোরাক যোগাবে। রিদম প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত এই বইটির প্রচ্ছদ করেছেন হানিফ মাহমুদ এবং মূল্য ২০০ টাকা। বইয়ের শুরুতেই রয়েছে চমক। কারণ বইটি উৎসর্গ করা হয়েছে একজন নজরুলভক্তকে যিনি ভিটামাটি বন্ধক দিয়ে গিয়েছিলেন কবি দর্শনে। তৌফিক অপু মিলি সুলতানার দুটি বই একজন লেখক সাহিত্যিকের লেখায় বাস্তব পরাবাস্তব, ভালবাসা অচল সচল, জন্ম পরজন্ম, প্রজন্ম প্রজন্মান্তর এগুলো সবসময় চলমান থাকবে এটাই স্বাভাবিক। লেখক বা গল্পকার ধাবমান জোনাকিপোকার আলোছায়ায় খুব সাবলীলতা দিয়ে খুঁজে নিতে পারেন সাধারণ মানুষের মনের অপ্রকাশিত কথাগুলো। যেগুলো সাধারণ মানুষ বুকে ধারণ করে কিন্তু ব্যক্ত করতে পারে না। একজন সুদক্ষ গল্পের কারিগর সেই অব্যক্ত যন্ত্রণার কথা তুলে ধরেন তার শব্দ ও বাক্যের মাধ্যমে। গল্পকার মিলি সুলতানা তেমন একজন সাহিত্যের কারিগর। আমাদের চলমান সমাজের অনেক অসঙ্গতিপূর্ণ বিষয়কে তিনি তার কলম দিয়ে পূর্ণ ভালবাসা অসীম দ্রোহ ক্রোধ ও মননশক্তি দিয়ে হামানদিস্তায় ফেলে ছেঁচে গুঁড়ো করে দিয়েছেন। যার ফলে তৈরি হয়েছে আত্মবিশ্বাস। বিধ্বংসী আত্মবিশ্বাসের ড্রোন হামলায় লেখিকা মিলি সুলতানা সমাজের অন্ধকার কোণগুলোতে আলোর বিচ্ছুরণ ঘটিয়েছেন। তার লেখা অসংখ্য শক্তিশালী গল্পের মধ্যেই সেটা প্রমাণিত। ফুলেশ্বরী লেখিকার চৌদ্দতম গ্রন্থ। তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হচ্ছে, দেহকর, ওগো সুকন্যা, অন্ধকারের হায়েনা, রইব তোমার সঙ্গে, মধুরিমা, অন্তরে আছো তুমি, যুদ্ধশিশু, খুঁজে পাবে না নীল সীমানা, স্বপ্নের মল্লিকা, অলৌকিক ক্ষুধা, কোয়েলের মধুপূর্ণিমা ইত্যাদি। অনন্যা প্রকাশনী, বিশ্ব সাহিত্য ভবন, আগামী প্রকাশনী, জাগৃতি প্রকাশনী, মিজান প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে তার গল্প উপন্যাস কবিতার বই। তিনি উপন্যাস লিখেছেন তিনটি। অন্ধকারের হায়েনা, যুদ্ধশিশু এবং স্বপ্নের মল্লিকা। প্রথম দুটি উপন্যাস মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক। অন্ধকারের হায়েনায় পাকিস্তানী হায়েনাদের নৃশংসতার তথ্য আছে। সত্য ঘটনা নিয়ে ছিল সেই উপন্যাস। “পাগলা তোমাকে নিয়ে কাটাবো উড়ুক্কু জীবন বাহামা দ্বীপপুঞ্জে হানিমুন জীবন কাটাবো পাগলা, শার্টের কলারে রঙিন দাগের জীবন কাটাবো মোটা শিকল দিয়ে বেঁধে কাটাবো বন্দী আজীবন এক চকোলেট কামড়ে ভেঙ্গে খেয়ে কাটাবো জীবন ! ” উদাসী কাঁঠালি রঙ এই বইয়ের দ্বিতীয় ও শেষ গল্প। নিগার এক অবিচল মনের গৃহবধূ। যার শ্বশুর রহিম উদ্দিন স্বাধীনতাবিরোধী এবং ধর্মীয় গোঁড়ামিতে অভ্যস্ত। নিগারের মা যৌনকর্মী। কিন্তু মেয়েকে তিনি তুলে দিয়েছেন তার দুঃসম্পর্কিত ভাইয়ের হাতে। যিনি একজন সৎ নিষ্ঠাবান স্কুল মাস্টার। নিগারকে বুঝতে দেননি মায়ের অভাব। সমাজের অভ্যন্তরে ঘটে যাওয়া ত্রুটি-বিচ্যুতি অতি মুন্সিয়ানার সঙ্গে উপস্থাপন করেছেন লেখিকা। মত্যুর পর ফেরেশতাদের সঙ্গে মাস্টার সাহেবের সঙ্গে কথোপকথন খুবই হৃদয়গ্রাহী মনে হয়েছে। লেখক কিভাবে পাঠককে গল্পের তলদেশে পৌঁছে দিতে পারেন ফুলেশ্বরী তার নান্দনিক উদাহরণ। এবারের বইমেলায় প্রকাশিত মিলি সুলতানার অন্য গল্পগ্রন্থের নাম, এপারে আমি রাধা ওপারে তুমি। এই বইতে চারটি গল্প আছে। এরমধ্যে গেব্রিয়েলা ঘুমাও মোর অন্তরে, মেঘমুল্লুক এবং এপারে আমি রাধা ওপারে তুমি লেখিকার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে রচিত হয়েছে। তার প্রবাস জীবনের কিছু খ- খ- ঘটনাকে দারুণ চিত্রকল্পে বিন্যাস ঘটিয়েছেন। ক্যান্সার রোগী মৃত্যুপথযাত্রী সান্দ্রার জন্য তার প্রেমিক পিটারের বুকভাঙ্গা আবেগ কখনো অশ্রুসজল করে দেবে পাঠককে। আমরা অনেকে মনে করি বিদেশীদের মধ্যে আবেগ অনুরাগ নেই। কিন্তু সে ধারণা ভুল প্রমাণিত হবে এই বইটি পড়লে। সবার বুকে আবেগ ভালবাসা মায়া মমতা আছে। মৃত নাতনী গেব্রিয়েলার জন্য তার নানীর হৃদয়বিদারক কান্না ভীষণ ছুঁয়ে যাওয়ার মতো। গল্প পড়ে পাঠক অশ্রুসিক্ত হবে। আবেগাপ্লুত হবে মন্দকে ঘৃণা করবে, ক্ষোভে ফুঁসে উঠবে... এমনই তো হওয়া উচিত। যে লেখা পাঠ করে পাঠক নিজেদের গল্পের পাত্র-পাত্রী ভাববে, আর এখানেই একজন লেখকের পরিপূর্ণতা। লেখকের স্বার্থকতা, তার বিশাল প্রাপ্তি। বইয়ের একটি মাত্র কাল্পনিক গল্প হচ্ছে নিশিশয্যা । গ্রামের সরল রমণী শিউলির জীবনের গল্প। গর্ভবতী শিউলি অদ্ভুত ইচ্ছার বশবর্তী হয়ে শ্বশুর-শাশুড়ির চোখ ফাঁকি দিয়ে গভীর রাতে লাল শাড়ি নূপুর গয়না আলতা পরে সেজেগুজে হাজির হয় দীঘির ঘাটে। দীঘির মধ্যখানে ফুটন্ত পদ্মফুলের সঙ্গে আপনমনে কথা বলে। শিউলি মনে করে তার গর্ভের যমজ কন্যা দুটি ওই পদ্মফুলের সঙ্গে সম্পৃক্ত। পেটে হাত রেখে শিউলি তার যমজ কন্যা রিমঝিম ও ঝিলমিলের সঙ্গে অনেক গল্প করে। নিশিশয্যা গল্পটা খুবই ইন্টারেস্টিং। ঝরনার জলের মতো স্বচ্ছ ঝরঝরে বর্ণনা পাঠকদের গল্পের শেষ অবধি টেনে নিয়ে যাবে কোনরকম একঘেয়েমি ছাড়াই। গল্প লেখার ক্ষেত্রে সবাই পারদর্শী নন। কিন্তু সেক্ষেত্রে মিলি সুলতানা একজন ব্যতিক্রমধর্মী গল্পকার। তিনি তার নিজস্ব প্রতিভার গুণবলে নিজেকে আলাদা করে নিতে সক্ষম হয়েছেন। বই দুটো প্রকাশ করেছে অনন্যা প্রকাশনী। প্রকাশক মনিরুল হক। বই দুটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন ধ্রুব এষ। আমরা লেখিকার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি। অনামিকা হালদার ডান্ডা বেড়ির রম্য আদালত জীবনের শুষ্ক নিরস, ভীতিকর এবং নিরানন্দ জগতের আনন্দ বেদনা আশা হতাশা, স্বপ্ন-স্বপ্নভঙ্গের বিচিত্র ও বাস্তব চিত্র নিয়ে জীবনের বিশাল ক্যানভাসে এ বই। লেখক নিপূণ চিত্রকরের মতো কয়েকটি রেখা ও রঙের আঁচড়ে ঐসব মানুষের কিছু চিত্র এঁকেছেন; যাদের জীবন হতাকড়া, ডান্ডাবেড়ি, কালো কোর্ট কালো গাউন, লালশালুর বন্ধনী এবং লাল ফিতায় বাঁধা নথির মধ্যে আবর্তিত। লেখক তার তীক্ষè পর্যবেক্ষণ, গভীর মমত্ববোধ এবং মননশীলতায় অত্যন্ত নির্মম বিষয়গুলিও রম্য রসের প্রলেপ দিয়ে প্রকাশ করেছেন। বইটি প্রকাশ করেছে অমিয় প্রকাশ। প্রচ্ছদ : রনবী মূল্য : ২০০ টাকা আহমেদ আবুল বিশ্বসাহিত্যের টুকরো খবর ওয়েসগার্ড স্মরণে আর্ট প্রদর্শনী সাধারনত যে কোন বইয়ের প্রচ্ছদ হওয়া উচিত অর্থবহ। প্রচ্ছদ দিয়েও একদৃষ্টিতে বইটি সম্পর্কে অনেক কিছুই বোঝানো সম্ভব। লিওনার্ড ওয়েসগার্ড, যিনি বিখ্যাত হয়েছিলেন বইয়ের প্রচ্ছদ এঁকে। বাচ্চাদের বইয়ের প্রচ্ছদ এঁকেছেন এই শিল্পী। ২০০০ সালে তিনি মারা যান। এই বিখ্যাত শিল্পীর আঁকা সব প্রচ্ছদ নিয়ে আমেরিকার ম্যাসাচুয়েটস‘এ এক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। ‘ম্যাজিশিয়ান অফ দ্যা মডার্ন; দ্যা আর্ট অফ লিওনার্ড ওয়েসগার্ড’ নামে এ প্রদর্শনীতে প্রচ্ছদের পাশাপাশি থাকছে আরো তার ২০ টি বিখ্যাত চিত্রকর্ম। ওয়েসগার্ড শিশুদের জন্য সব সময় আধুনিক চিন্তা করতেন। একারনে তিনি তার চিত্রকর্মে বা প্রচ্ছদে এর বহিঃপ্রকাশ ঘটানোর চেষ্টা করেছেন। ‘দ্যা লিটিল আইল্যান্ড’ বইয়ের প্রচ্ছদ একেঁ ১৯৪৭ সালে ওয়েসগার্ড ক্যালডাকোট মেডেল এওয়ার্ড পান। আমেরিকার ‘এরিক চার্লে মিউজিয়াম অফ পিকচার বুক আর্ট’ এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। জার্মান সাহিত্যের সম্মাননায় পোলিশ কবি পোলিশ কবি ও সাহিত্যিক এডাম জাগাজেবসকি পেতে চলেছেন ’জেন এ্যামেরি প্রাইজ’। সারা ইউরোপ থেকে বাছাই করে এ পুরস্কারটি দেওয়া হয় বলে সাহিত্যে এটি খুব প্রভাবশালী পুরষ্কার হিসেবে ধরা হয়। পুরষ্কার দাতা প্রতিষ্ঠানটির কেন্দ্রবিন্দু জার্মানীর থেকে প্রতি তিন বছর অন্তর এটি দেয়া হয়। চলতি বছরে ২ মার্চ বার্লিনে ১৫ হাজার ইউরো সমমূল্যের এ পুরষ্কারটি এবার দেয়া হবে। বিচারক প্যানেলে থেকে চুড়ান্ত নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করেছেন অষ্টিয়ান লেখক ও কবি রবার্ট মেন্নাসি ইতালিয়ান লেখক ক্লাউদিও মার্গিস। রবার্ট মেন্নাসি কবি জাগাজেবসকিকে নির্বাচিত করার বিষয়ে বলেছেন, জাগাজেবসকি‘র লেখার পেক্ষাপট ছিল সমকালিন ও বিগত ইউরোপের পট পরিবর্তন। ইউরোপের শিল্প সংস্কৃতির গতি প্রকৃতি ও গত শতাব্দি থেকে বর্তমান শতাব্দিতে এর উত্তোরন এসব বিষয়ে। ২০১৫ সালে তিনি বার্লিন একাডেমি থেকে ‘হ্যানরিক ম্যান প্রাইজ’ পান। এই সাহিত্যিক এর আগে আরো অনেক পুরষ্কার পেয়েছেন। নোবেল পুরষ্কারের জন্যও একবার তিনি মনোনিত হয়েছিলেন বলে একবার লোকমুখে শোনা গিয়েছিল। জাগাজেবসকি‘র জন্ম ১৯৪৫ সালে ইউক্রেনের লিইভ শহরে। ১৯৮২ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত হওয়া ‘ইনডিপেনডেন্ট লিটারেরি মুভমেন্ট’এ তিনি অংশ নিয়েছিলেন। মনকে বিকশিত করে সাহিত্য-সাংস্কৃতি সাহিত্য, দর্শন আর ইতিহাস ব্যক্তি জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন বিষয়। একজন মানুষের মানসিক বিকাশের জন্য এই তিন বিষয়ের বহু অবদান থাকে। সবাই সমানভাবে নিজেকে বিকশিত বা মেলে ধরতে পারে না তাই বিষয়গুলোর গুরুত্ব সবার কাছে সমান না। সম্প্রতি চ্যাড ওরজ্যাল নামের একজন বিজ্ঞানের শিক্ষক ও গবেষক তার ছাত্রদের বলেছেন, বিজ্ঞান শিক্ষার পাশাপাশি আমাদের সাহিত্য-সাংস্কৃতি ও দর্শন শিক্ষা নিতে হবে। আমরা বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা বেশিরভাগ সময় এ বিষয়গুলো শুধু এড়িয়েই যাই না বরং অবজ্ঞা করি। ফলে আমাদের জীবন একটা গন্ডির ভেতর আবদ্ধ থেকে যাচ্ছে। এছাড়া আমরা যখন আমাদের কৃতকর্ম লিখে প্রকাশ করব তখন যদি সাহিত্য জ্ঞান না থাকে তা প্রকাশ করা ততটা সহজ হবে না। সাহিত্য দর্শন ইতিহাস তাই কোনভাবেই বাদ দিয়ে চলা যাবে না। Ñটুটুল মাহফুজ
×