ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রফিকুজ্জামান রণি

ক্ষণকালের মায়াবী শিশির

প্রকাশিত: ০৩:৫৫, ৪ মার্চ ২০১৬

ক্ষণকালের মায়াবী শিশির

হেলেনিক সভ্যতা ও সংস্কৃতির নিবিড় পর্যবেক্ষক এবং ইংরেজী সাহিত্যের রোমান্টিকযুগের অন্যতম প্রতিনিধি, জন কীট্স ছিলেন একজন নৈরাশ্যবাদী কবি। কাব্যের বিষয়, প্রতীক-প্রতিমা ও আঙ্গিক-প্রকরণের দিক থেকে কীট্স ছিলেন তার বন্ধুকবি পার্শি বিশি শেলির পুরোপুরি বিপরীত স্রোতের একজন নাবিক-শিল্প। তবে নৈরাশ্যময়তার মধ্যেও তিনি সৌন্দর্যপিয়াসী আর প্রকৃতির পূজারি মানুষ ছিলেন। কখনো কখনো তার লেখায় আশা সঞ্চারিত হতেও দেখা যায়। মাত্র ছাব্বিশ বছর বয়স-সীমার মধ্যেই প্রতিভাধর এই কবির মৃত্যুর পরোয়ানা জারি হয়ে যায়। বাংলা সাহিত্যের কিশোর কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের চেয়ে জন কীট্স মাত্র পাঁচ বছর বেশিসময় পৃথিবীতে হেঁটে বেড়ানোর ছাড়পত্র পেয়েছিলেন। কিন্তু ইংরেজী সাহিত্যের ও বাংলা সাহিত্যের অকালপ্রয়াত এ দুই কবিই যক্ষ্মারোগের কাছে পরাভূত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। যৌবনের প্রারম্ভে ইহলোক ত্যাগ করে পরলোকের দিকে এগিয়ে যাওয়া কবি জন কীট্স কেবল সাত বছরের সাহিত্য সাধনায় বিশ্বসাহিত্যে প্রভাবশালী একজন কবির মর্যাদায় অভিষিক্ত হয়েছেন। পেয়েছেন অমরত্বের স্বাদও। মাত্র আঠারো বছর বয়েসে তিনি ‘ইমিটেশন অব স্পেন্সার’ কাব্য রচনার মধ্যমে ইংরেজী সাহিত্যে নিজের শক্ত অবস্থানের কথা জানান দিয়েছিলেন। ‘ইমিটেশন অব স্পেন্সার’ কাব্যটি তিনি উৎর্স করেছেন তার বন্ধুবর সম্পাদক ‘এক্সামিনার’ পত্রিকার সম্পাদক লী হান্টকে। কীট্স যতদিন বেঁচেছিলেন ততদিন একটি বিষাদময় জীবন পার করে গেছেন। কীট্সের কবিতায় ব্যক্তি জীবনের ছাপ পড়েছে বলেই হয়তো সেখানে হতাশবোধ এবং সৌন্দর্য নিরীক্ষণের গভীর আলিঙ্গন লক্ষ্য করা যায়। প্রকৃতি-নিসর্গের খুব কাছাকাছি দাঁড়িয়ে তিনি কাব্য সাধনায় মত্ত ছিলেন। দুঃখ-যন্ত্রণাময় অধ্যায়গুলো যেন তার কাছে কাব্যলক্ষ্মীর বেশে বার বার এসে ধরা দিয়েছে। কীট্স চেয়েছিলেন পৃথিবীতে আরও কিছুদিন বেঁচে থাকতে। হাজারও দুঃখ-দুর্দশা ছাপিয়ে আরও কিছুদিন পৃথিবীর আলোছায়ায় হেঁটে-চলে নিজের সাহিত্যকর্মগুলোকে টিকিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু প্রকৃতি তাকে সে সুযোগ দেয়নি। যদিও এখন তার অমরত্বের বিষয়টা সুনিশ্চিত; কিন্তু তৎকালে তার মধ্যে আশঙ্কা কাজ করেছিল যে স্বল্পায়ু জীবনে হয়তো নিজের সৃষ্টিগুলো পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত করে যাওয়া তার পক্ষে সম্ভবপর হবে না। এক্ষেত্রে কোন রকম অহমিকা কিংবা দাম্ভিকতা না মিশিয়ে, সরল ভাষায় স্বীকারোক্তি করেছেন তিনিÑ ‘মৃত্যুর পর আমার কবিতা হয়তো বিস্মৃতির গর্ভে নিমজ্জিত হবে। কিন্তু চিরদিন আমি সবকিছুর মধ্যে সৌন্দর্য দেখেছি। কিছুদিন বেঁচে থাকলে আমি অমর হতে পারতাম।’ কীট্স নিজেই বলেছিলেন চিরকাল তিনি সবকিছুর মধ্যে সৌন্দর্য অন্বেষণ করেছেন। তার কবিতার দিকে তাকালে আমরা সেই সৌন্দর্যপ্রীতির ব্যতিক্রমত্ব খুঁজে পাই। তার সৌন্দর্য সচেতনতা পাঠকমনেও বিলোড়ন সৃষ্টি করে। তার বিখ্যাত উক্তি ‘সুন্দরই সত্য, সত্যই সুন্দর’। কীট্সের Ode on a Grecian Urm থেকে পাঠ নিলে তার সৌন্দর্যভক্তির বিষয়টা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠেÑ Heard melodies are sweet, but those unheard/Are sweetet; there, ye soft pipes, play on;/Not to the sensual ear, but, more endear’d,/pipe to the spirit ditties of no tone;/Fair yoth, beneath the trees, thou canst not leave/Thy song, onr ever can those trees be bare;/Bold lover, never canst thou kiss/ though winning never near the goal- yet, do not grieve/She cannot fade, though thou hast not thy bliss/For ever wilt thou love, and she be fair. A_ev I cannot see what flowers are at my feet,/Nor what soft incense hangs upon the boughts,/But in embalmed darkness, guess each sweet/Wherwith the seasonable month endows/The grass, the thicket, and the fruit-tree wind;/White hawthorn, and the pastoral eglantine;/Fast fading violets cover’d up in leaves. পারিবারিক সূত্রে মানুষ সাধারণত অর্থ-বিত্ত, সম্পদ-প্রতিপত্তির মালিক হয়ে থাকে কিন্তু কীট্স হয়েছিলেন একটি রোগের মালিকÑ যক্ষ্মা! কীটস্ বরাবরই ছিলেন একজন ভাগ্যবিড়ম্বিত মানুষ। সুখ দেবী তার কাছে সহজেই ধরা দিতে চাইতো না। শৈশবকাল থেকেই সুখ তার সঙ্গে বৈরি আচরণ করে আসছে বার বার। কীট্সের বাবা টমাস কীট্স ছিলেন ঘোড়া ভাড়া দেয়ার আস্তাবলের একজন স্বল্পবেতনভুক্ত কর্মচারী। কীট্সের যখন নয় বছর বয়স তখন তার পিতা একদিন ঘোড়া থেকে পড়ে মারা যান। পিতার আকস্মিক বিয়োগের ঘটনা তাদের পরিবারকে আর্থিক ঝুঁকিতে ফেলে দেয়। বাবার মৃত্যুর মাত্র দুমাসের মাথায় তার মা ফ্রান্সিস জেনিংস নতুন স্বামীর ঘরে চলে যান। সেই সংসার অবশ্য বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। অল্পদিন পরেই তিনি স্বামী উইলিয়াম রাওলিংয়ের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ফিরে আসতে বাধ্য হন। তার কিছুদিন বাদে যক্ষ্মারোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। কীট্স যথাসাধ্য চেষ্টা করে, সেবাযতেœ মাকে সারিয়ে তুলতে চেয়েছিলেন। পারেননি। বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে অল্পদিন পরেই তার মা পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন। এর কিছুদিন পর পারিবারের একমাত্র উপর্জনক্ষম ব্যক্তি, কীট্সের ভাই জর্জ বিয়ে করে চলে যান আমেরিকায়। কীট্সদের কোœ খোঁজখবর রাখার প্রয়োজন বোধ করেননি তিনি। এখানেই শেষ না। কীট্সের আদরের ছোট ভাই টমের শরীরেও আচমকা যক্ষ্মা এসে হানা দিল। অপত্য ¯েœহের অনুজটি তার সামনে ধীরে ধীরে মৃত্যুর যন্ত্রণা ভোগ করতে লাগল। সীমাহীন কষ্ট আর হতাশাঘন মুহূর্তেকে উস্কে দিতেই যেন তার আমেরিকাপ্রবাসী ভাই উল্টো টাকাপয়সা ধার চেয়ে চিঠি পাঠিয়ে বসলেন। কীট্স ছোট ভাইয়ের নিরন্তর সেবা যতœ করে আরোগ্য করার চেষ্টা করেছিলেন। এখানেও ব্যর্থতার পাল্লাই ভারি হয়ে উঠল। আদরের ছোট ভাইটিও মায়ের পথ অনুসরণ করে পরপারে চলে গেল। রোগশয্যাকাতর ছোট ভাইয়ের সেবাদানকালে তার পাশে বসে বসে কীট্স চালিয়ে গেছেন কাব্যচর্চা। অসুস্থ ভাইয়ের সেবা এবং নিজের লেখালেখি কোনটাই তিনি এক লহমার জন্যও বন্ধ রাখেনি। শেষতক একমাত্র ছায়াসঙ্গী ভাইটিকেও তিনি খুইয়ে ফেললেন। রেখে গেলেন একটি রোগ- যক্ষ্মা! কীট্সের মায়ের শরীরের রোগটি একদিন তার ছোট সন্তান টমের (কীট্সের ছোট ভাই) শরীরে দিয়ে গেলেন; তেমনিভাবে ছোট ভাই টমও একদিন তার নিজের শরীরের রোগটি দিয়ে গেলেন বড় ভাই কীট্সের শরীরে। এই রোগ যেন উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া; পরস্পরের মধ্যে কী নির্মম ভাগবণ্টন! মানুসিকভাবে বিধ্বস্ত, অর্থনৈতিক দৈন্যদশা, শারীকির অসুস্থতা এবং আর্থিক স্বচ্ছলতাসম্পন্ন অগ্রজের অবহেলা কীট্সকে যখন নাজেহাল করে দিচ্ছিল তখন একটু প্রশান্তির জন্য বিদেশে ছুটে গেলেন তিনি। কিন্তু সেখানেও ঘটল আরেক বিপত্তি। স্কটল্যান্ডের পরমা সুন্দরী ফ্যানি ব্রাউন নামের এক তরুণীকে দেখে তার প্রেমে পড়ে যান এই সৌন্দর্যপিপাসু কবি। ফ্যানি ব্রাউনিকে নিয়ে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখেন তিনি। ব্রাউনের প্রেমের ছায়াতলে আশ্রয় নিয়ে নিজের দুঃখ-যন্ত্রণাগুলো আড়াল করতে চেয়েছিলেন কীট্স। কষ্টের অথৈ সমুদ্রে নিমজ্জমান মুহূর্তে ফ্যানি ব্রাউনের করস্পর্শে যেন শান্তির আশ্রয় খুঁজে পেলেন কীট্স। কিন্তু দুজনের মন দেয়ানেয়া হলেও ফ্যানি ব্রাউনের মা অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছল এবং রোগাক্রান্ত বর হিসেবে কীট্সকে পছন্দ করলেন না। তারপরও তাদের বাকদানের পর্ব মোটামুটি সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল কিন্তু এতকিছুর পরও ব্রাউনকে তিনি ঘরে তুলতে পারেননি। সেই দুঃখ তাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খেয়েছে সারাজীবন। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও তিনি ব্রাউনকে ঘরে তুলতে চেয়েছিলেন। সফল হননি। ফ্যানি ব্রাউনকে না পাওয়া দুঃখ-যন্ত্রণার উর্ধশ্বাস তার কাব্যের মধ্যেও ঠাঁই পেয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন সময়ে ফ্যানি ব্রাউনকে লেখা প্রেমপত্রগুলোও তার কবিতার মতো শিল্পগুণে পাঠকনন্দিত হয়ে ওঠেছে। বাংলা সাহিত্যের বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের মতো দারিদ্র্য কখনোই পিছু ছাড়েনি কীট্সের। দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র থেকে বেরিয়ে আসার জন্যে তিনি ‘ওথো দি গ্রেট’ শিরোনামের একটি কাব্যনাট্যও রচনা করেছিলেন। ‘ওথো দি গ্রেট’ কাব্যনাট্যটি তিনি লিখেছিলেন ব্রাউনের সঙ্গে ওংষব ড়ভ ডবরঃযঃ নামের এক দ্বীপে ঘুরতে গিয়ে। কিন্তু এবারও ভাগ্যদেবী তার কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। যদিও ইতালীয় এবং শেক্সপীয়রীয় স্টাইলের কিছু সনেট রচনা করেছিলেন কীট্স কিন্তু তার সাহিত্যের জগতকে অনেক বেশি সমৃদ্ধ করেছে তার ঙফব তথা গীতিময় কবিতাগুলো। সৌন্দর্য ও বিষণœতার মিশ্রণে তার ঙফব ধাচের কবিতাগুলো অনেক বেশি সমৃদ্ধি লাভ করেছে। ঙফব ঃড় অঃঁসহ, ঙফব ঃড় ঘরমযঃহমধষব, ঙফব ঃড় এৎবপরধহ টৎহ, ঙফব ড়হ গবষধহপযড়ষু ইত্যাদি রচনাগুলো আজও কীট্সকে পৃথিবীতে অমর করে রেখেছে। এর বাইরেও কীট্সের সাহিত্য মননকে অনেক বেশি সমৃদ্ধ করেছে গ্রীক সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রভাব। জর্জ চ্যাপম্যান অনূদিত হোমারের ইলিয়াড ও ওডিসি মহাকাব্যদ্বয়ও তাকে লেখালেখির ক্ষেত্রে অনেক বেশি আলোড়িত করেছে। কীট্সের এতবেশি গ্রীকপ্রীতি দেখে তার বন্ধুবর কবি পার্শি বিশি শেলি তাকে উদ্দেশ করে সরাসরি উচ্চারণ করেছিলেন ঐব ধিং ধ এৎববশ. কীট্সের ‘এন্ডাইমিয়ন’ ‘হাইপেরিয়ন’ ‘লামিয়া’ ইত্যাদি কবিতায় প্রচুর পরিমাণে গ্রীক সাহিত্যের প্রতি দুর্বলতার দৃশ্য দেখা যায়। যেখানে অলিম্পিয়া পর্বতের দেবীর পাশাপাশি গ্রীসের হারিয়ে যাওয়া নদী লিথির কথাও পাঠকের কাছে বলেছেন তিনি। কীট্সের ঙফব ঃড় অঃঁসহ শীর্ষক শিরোনামের তিনস্তবকের ৩৩ লাইনের কবিতাটিতে পাওয়া যায় তার বিস্ময়কর প্রতিভার স্বাক্ষর। আলোচ্যমাণ কবিতায় তিনি শরতকালকে তিনটি ভাগে বিভক্ত করেছেন। কবিতায় তিনি শরতকালকে কখনো নারীরূপে আবিষ্কার করেছেন, কখনো বা প্রকৃতির ত্রাণকর্তা রূপে আবিষ্কার করেছেন এবং শুনিয়েছেন পাখপাখির কলকাকলির গল্প। ফলফলাদি ও শস্য ঝাড়াইয়ের কুলার চঞ্চলতাকেও কবিতায় চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন কীট্স। ‘মানব জীবনের বৃত্তাকার সময়ের গতির কথাও এই ছোটো কবিতাটিতে অসাধারণ মহিমায় মূর্ত হয়ে ওঠেছে।’ এছাড়া কীট্সের ঙফব ঃড় ঘরমযঃহমধষব-কবিতাটিকে মনে করা হয় তার জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ একটি রচনা। কবিতাটি কবির আদরের ছোট ভাই টমের মৃত্যুর অল্পদিন পরে লেখা। ঙফব ঃড় ঘরমযঃহমধষব কবিতায় তার চিন্তার প্রখরতা এবং কল্পনার প্রসারতার চমৎকার ইঙ্গিত পাওয়া যায়।Ñ বেদনার্ত হৃদয় আমার, ম্রিয়মাণ অব্যক্ত ব্যথায় মনে হয় যেন চুমুক দিয়েছি হেমলকের পেয়ালায়, কিংবা নিঃশেষ করেছি গ্রহণ কিছুটা আফিম একটি পলক ফুরাতেই ডুবে গেলাম লিথির জলে; তোমার মুখে ঈর্ষান্বিত হয়ে নয় এটা তোমার উচ্ছলতা আর আমার আনন্দের প্রাবল্যÑ তুমি তো কোমল পাখার বনপরী কোন সঙ্গীতময় অঞ্চল হতে সবুজ বিচবৃক্ষের অগণন ছায়া হতে, গাও কণ্ঠ উপচেপড়া গ্রীষ্মের জয়গান ....................................... বিদায় বিদায় তোমার ব্যথায় সঙ্গীত হয় ম্লান মিলায় কাছের তৃণভূমিতে, স্থির ঝরনা জলে পাহাড় শিখরে; আর এখন তা মৃত্যুর গভীরে উপত্যকার বনভূমিতে এটা কি ছিল চোখ দেখা নাকি জাগর স্বপ্ন মিলাল সঙ্গীত, আমি কি ঘুমে না জাগরণে। (অনুবাদ : খুররম হোসাইন) ১৭৯৫ সালে, লন্ডনের মুরফিল্ড্সে এক হতদরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ নেয়া বিশ্বসাহিত্যের কিংবদন্তি কবি জন কীট্স ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে ২৩ ফেব্রুয়ারি রোমে মৃত্যুবরণ করেন। জীবনসায়াহ্নে আর্থিক টানাপড়েন, মানবিক বিপর্যয়, সচ্ছল ভাইয়ের কর্তব্যহীনতা, রোগেশোকে জর্জড়িত এই কবির মৃত্যুর শেষ পরিণতির দৃশ্য আমাদের বাংলা সাহিত্যের কালজয়ী কথাকার মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যুমুহূর্তকে স্মরণ করিয়ে দেয়। দুজনের রোগের ভিন্নতা থাকলেও এ রকম মৃত্যুময় পরিবেশ-প্রতিবেশ হুবহু যেন মানিকেরই জীবনের অনুছায়া। সঙ্গত কারণেই পৃথিবীর কাছে প্রশ্ন তোলা যায়Ñ কালজয়ীদের জীবন এতটা হতাশাময় আর কণ্টকাকীর্ণ হয় কেন? তথ্যঋণ : ০১. নির্বাচিত (ইংরেজী) কবিতা, প্রবন্ধ ও ছোটগল্পÑখুররম হোসাইন ০২. নিবার্চিত ইংরেজী কবিতাÑজয়নুল আবেদীন ০৩. এগুচ্ছ কবিতা, প্রবন্ধ ও ছোটগল্পÑ মোহাম্মদ মনজুর রহমান ০৪. বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের সাহিত্য সাময়িকী ০৫. ইন্টারনেট
×