ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

টি২০ বিশ্বকাপ

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের ভেন্যু নিয়ে শঙ্কা

প্রকাশিত: ০৭:২৩, ৩ মার্চ ২০১৬

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের ভেন্যু নিয়ে শঙ্কা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আসন্ন টি২০ বিশ্বকাপে উন্মাদনার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ঘিরে নিরাপত্তা ইস্যুতে তৈরি হয়েছে নতুন ঝামেলা। ভেন্যু ধর্মশালা, যেটি হিমাচল প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত, সেই হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, অতিথি দলকে নিরাপত্তা দিতে পারবেন না তারা! প্রদেশটির মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিং ১৯ মার্চ অনুষ্ঠেয় ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে নিরাপত্তা দিতে অপারগতার কথা জানিয়েছেন। সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেসের সদস্যরাও হয় ম্যাচটিকে বাতিল, অথবা অন্য কোন ভেন্যুতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কারণও দেখিয়েছে তারা। পার্শ্ববর্তী কাংরা ভ্যালিতে অনেক সেনাসদস্য থাকেন, যার মধ্যে অনেকে বিখ্যাত কারগিল যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। ম্যাচটি সেখানে হলে ওই যোদ্ধাদের ভাবানুভূতিতে আঘাত লাগবে বলে মনে করছে স্থানীয় কংগ্রেস। এছাড়া জঙ্গী হামলায় ক’দিন আগে হিমাচলের দুজন ভারতীয় সেনা মারা গেছেন, এ নিয়েও প্রদেশটিতে পাকিস্তান বিরোধী আবেগ কাজ করছে। তবে ইন্ডিয়ান বোর্ড (বিসিসিআই) সচিব অনুরাগ ঠাকুর টুর্নামেন্ট শুরুর আগমুহূর্তে হিমাচল কংগ্রেসের এই অনুরোধের কোন অর্থ খুঁজে পাচ্ছেন না, ‘বিশ্বকাপ ম্যাচের ভেন্যু এক বছর আগেই ঠিক হয়েছিল। ম্যাচও বণ্টন করা হয়েছে ছয় মাস আগে। ভারত ও বিশ্বের অনেক মানুষ বুকিংও করে রেখেছে। এখন শেষ মিনিটে এসে এমন বক্তব্য দেয়ার মানে নেই।’ অনুরাগ বিজেপি নেতা, আন্দোলনটি করছে বিরোধী কংগ্রেস। ফলে বিষয়টি আসলেই হিমাচলের মানুষের আবেগ, নাকি ক্ষমতাসীন ও প্রধান বিরোধী দল দুই রাজনৈতিক দলের বিরোধÑ সেটি নিয়েও প্রশ্ন আছে। আসল কারণ যা-ই হোক, হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী যখন নিরাপত্তা দিতে অপারগতার কথা জানান তখন শঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না। বিশ্বকাপ রাশিয়া ও কাতারেই স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আগামী ২০১৮ ও ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপ পূর্ব নির্ধারিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাশিয়া ও কাতারেই অনুষ্ঠিত হবে বলে নিশ্চিত করেছেন ফিফার নতুন সভাপতি জিয়ান্নি ইনফ্যান্টিনো। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে জুরিখে অনুষ্ঠিত বিতর্কিত ভোটের মাধ্যমে রাশিয়া ও কাতার পরবর্তী দুই বিশ্বকাপ আয়োজনের স্বত্ব লাভ করে। তবে এই দুটি টুর্নামেন্টের স্বত্ব প্রাপ্তির প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক ওঠায় সুইস তদন্তকারী সংস্থা পুরো বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব নেয়। ফিফার সদর দফতরে প্রথমবারের মতো প্রবেশ করেই এ প্রসঙ্গে কথা বলেন ইনফ্যান্টিনো।
×