ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

৭ মার্চের জনসভায় রেকর্ড উপস্থিতি নিশ্চিত করুন ॥ সৈয়দ আশরাফ

প্রকাশিত: ০৭:১৬, ৩ মার্চ ২০১৬

৭ মার্চের জনসভায় রেকর্ড উপস্থিতি নিশ্চিত করুন ॥ সৈয়দ আশরাফ

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ঐতিহাসিক ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় রেকর্ডসংখ্যক সমাগম নিশ্চিত করার জন্য দলের নেতাকর্মীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতার মাস মার্চের সকল কর্মসূচী সফল করাই আওয়ামী লীগের এখন প্রধান লক্ষ্য। তাই এবার মার্চের সকল কর্মসূচী এমনভাবে সফল করা হবে যাতে দেশের ইতিহাসে রেকর্ড হয়ে থাকে। বুধবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ৭ মার্চের জনসভা সফল করতে আয়োজিত যৌথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে সৈয়দ আশরাফ আরও বলেন, এটা আমাদের ৭ মার্চের জনসভা সফল করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা হচ্ছে। এছাড়াও ১৭ মার্চ ও ২৬ মার্চ আরও দুটি দিন রয়েছে। এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দিন একই মাসে। এ লক্ষ্যে আমরা ধারাবাহিক প্রস্তুতি সভা করব। আজকে বড় বা লম্বা বক্তব্য দেয়ার সুযোগ নেই। আমি আজ এখানে জাতীয় রাজনীতি নিয়ে বা অন্যান্য বিষয়ে এখানে আলোচনা করতে চাই না। কারণ আমাদের বর্তমান লক্ষ্য থাকবে এই তিনটি দিবসকে যথাযথভাবে পালন করা এবং এগুলোতে যাতে রেকর্ডসংখ্যক পার্টিসিপেশন (অংশগ্রহণ) হয়, সেটা নিশ্চিত করার জন্য এই সভা করছি। এর পর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ আগামী ৭ মার্চের জনসভা সফল করতে আওয়ামী লীগের গৃহীত কর্মসূচী ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, কর্মসূচী সফল করতে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সকাল ১১টায় যুবলীগের সঙ্গে বৈঠক হবে। এর পর আগামী ৪ মার্চ শুক্রবার সাড়ে ১০টায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছাত্রলীগের সঙ্গে যৌথসভা হবে। একই দিনে বিকেল ৫টায় ঢাকার দলীয় সংসদ সদস্য, দুই মেয়র ও কাউন্সিলরদের সঙ্গে ধানম-িতে যৌথসভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও ৫ মার্চ সকাল ১১টায় ঢাকার পাশ্ববর্তী জেলা নেতৃবৃন্দ ও সংসদ সদস্যদের সঙ্গে এবং বিকেলে পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করা হবে। এসব কর্মসূচী ঘোষণাকালে হানিফ বলেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে পাকিস্তানের ধারক ও বাহক জামায়াত এখনও সক্রিয়। খালেদা জিয়া সেজন্য মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি করেন। তাদের এদেশ থেকে বিতাড়িত করেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলা হবে। ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম মহানগরের সকল থানা, ওয়ার্ড ও দলীয় সংসদ সদস্যের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, এখন আমরা রিক্সা বা বেবিট্যাক্সিতে মাইক দিয়ে প্রচার করি না। ঢাকা শহরে আমাদের ১৬টি নির্বাচনী এলাকা রয়েছে। তাই ১৬টি নির্বাচনী এলাকার প্রত্যেকটিতে চারটি করে এলাকা ভাগ করে নেবেন। এসব এলাকায় মোট ৬৪টি মাইক লাগিয়ে সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ৭ মার্চের জনসভা সফল করার জন্য প্রচার করবেন। এটা আগামী ৫ ও ৬ মার্চ এই দুই দিন প্রচার করবেন। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি, কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি, খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ড. আবদুর রাজ্জাক এমপি, একেএম রহমতউল্লাহ এমপি, এনামুল হক শামীম, আমিনুল ইসলাম আমিন, নগরের মুকুল চৌধুরী, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস এমপি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের মোল্লা মোঃ আবু কাওছার, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত শিকদার ও বর্তমান সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ।
×