ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পৌর নির্বাচনে যে দুর্নাম হয়েছে ইউপিতে যেন তা না হয় ॥ এরশাদ

প্রকাশিত: ০৫:১৯, ৩ মার্চ ২০১৬

পৌর নির্বাচনে যে দুর্নাম হয়েছে ইউপিতে যেন তা না হয় ॥ এরশাদ

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ২ মার্চ ॥ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপ্রতি এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত আলহাজ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, দেশের মানুষ শান্তি ও নিরাপত্তার মধ্যে বাঁচতে চায়। তারা পরিবর্তনের আশায় জাতীয় পার্টিকেই আগামী দিনে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়। তিনি বলেন, পৌর নির্বাচনে ভোট প্রদান নিয়ে যে দুর্নাম হয়েছে, ইউপি নির্বাচনে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়। তাহলে সেই দুর্নাম চিরস্থায়ী হবে। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করে সরকার বিশ্বকে বোঝাতে চায় সর্বস্তরে তাদেরই নিরঙ্কুশ সমর্থন রয়েছে। তবে গণতন্ত্রের স্বার্থে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে হবে। তা না হলে মানুষ ভোটের ব্যাপারে আগ্রহ হারাবে। তিনি বুধবার বিকেল ৪টায় গাইবান্ধা ইসলামিয়া হাইস্কুল মাঠে জেলা জাতীয় পার্টির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ আব্দুর রশিদ সরকারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পার্টির কো-চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী জিএম কাদের, মহাসচিব সাবেক মন্ত্রী রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব রেজাউল ইসলাম ভুঁইয়া, জাপা চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার শিল্পী, জেলা সাধারণ সম্পাদক রাগিব হাসান চৌধুরী হাবুল, সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফর রহমান চৌধুরী, সাঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান এইচএম গোলাম শহীদ রঞ্জু, শাহজাহান খান আবু, আনোয়ারুল ইসলাম লেবু, মাহমুদুর রহমান মুকুল ও রেজাউন্নবী রাজু। পার্টি চেয়ারম্যান এরশাদ বলেন, সম্প্রতি উচ্চ আদালতে রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে রিট হয়েছে। নব্বই ভাগ মুসলমানের এই দেশে এই রিট হতে পারে না। বিষয়টি এখন সংবিধানের অংশ। আমরা আশা করি এই রিট আদালতে বাতিল হবে। শিশু হত্যার বিষয়ে সংসদে দুঃখ প্রকাশ করলেই চলবে না। শিশুসহ সর্বস্তরের মানুষের নিরাপত্তা দিতে না পারলে মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরবে না। তিনি বলেন, হত্যা ও সন্ত্রাসের কারণ কর্মসংস্থানের অভাব। যার ফলে সারাদেশে মাদকসহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুব সমাজ জড়িত হয়ে পড়েছে। এরশাদ আরও বলেন, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে দৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জাপা ক্ষমতায় এলে প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা চালু করে প্রশাসনকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া হবে। উপজেলা পদ্ধতিকে ঢেলে সাজানো হবে। নির্বাচিত চেয়ারম্যানের পদটিকে শক্তিশালী করা হবে। এ ছাড়া প্রত্যেক ইউনিয়নে একটি করে গুচ্ছ গ্রাম স্থাপন করে ভূমিহীনদের আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। তিনি জনগণের উদ্দেশে বলেন, দুটি দলকে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকতে দেখেছেন। তাদের উন্নয়ন কর্মকা-ের সঙ্গে জাতীয় পার্টির আমলে উন্নয়ন কর্মকা- মিলিয়ে দেখা হলে পার্থক্য বোঝা যাবে। তাই সবাই এখন জাতীয় পার্টিকেই ক্ষমতায় দেখতে চায়। সম্মেলনে জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জাপা মনোনীত প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। পরে চেয়ারম্যান এরশাদ সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ আব্দুর রশিদ সরকার ও রাগিব হাসান চৌধুরী হাবুলকে পুনরায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করে নতুন জেলা কমিটির ঘোষণা দেন।
×