ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

খালেদা চেয়ারপার্সন ও তারেক সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান থাকছেন

প্রকাশিত: ০৫:১৫, ৩ মার্চ ২০১৬

খালেদা চেয়ারপার্সন ও তারেক সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান থাকছেন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির পরবর্তী কমিটিতেও খালেদা জিয়া চেয়ারপার্সন ও তারেক রহমান সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান থাকছেন। এ জন্য জাতীয় কাউন্সিলের আগেই এ দুটি পদে নির্বাচন হচ্ছে। তবে বিএনপির নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুসারে ৩০ বছরের উর্ধে দলের যে কোন নেতার মনোনয়নপত্র ক্রয় করার সুযোগ থাকলেও এ দু’টি পদে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য কেউ মনোনয়নপত্র কিনছেন না বলে জানা গেছে। তাই তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়ই স্ব স্ব পদে নির্বাচিত হচ্ছেন। বুধবার বিএনপি চেয়ারপার্সন পদে খালেদা জিয়ার জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আর সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের জন্য তারেক রহমানের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান। বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্থাপিত দলীয় রিটার্নিং অফিসারের অস্থায়ী কার্যালয় থেকে খালেদা জিয়ার পক্ষে এ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন রিজভী। আর বেলা পৌনে চারটার দিকে তারেক রহমানের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন মোহাম্মদ শাহজাহান । এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপার্সন ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালনকারী দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবদুল মান্নান। জানা যায়, জাতীয় কাউন্সিলের আগেই বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পরবর্তী কমিটিতে স্ব স্ব পদ নিশ্চিত করার কৌশল হিসেবে এ দুটি পদে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয় গত সোমবার। আর তফসিল ঘোষণার পরই বিএনপি চেয়ারপার্সনের নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে রুহুল কবির রিজভীকে লিখিতভাবে মনোনীত করেন খালেদা জিয়া। আর সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে মোহাম্মদ শাহজাহানকে মনোনীত করেন তারেক রহমান। এ ২টি পদে নির্বাচনের তফসিল অনুসারে ৪ মার্চ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমাদান ৫ মার্চ বাছাই ৬ মার্চ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। আর নির্বাচনের তারিখ রাখা হয়েছে ১৯ মার্চ। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এ দিন বিএনপির জাতীয় কাউন্সিল হওয়ার কথা রয়েছে। তবে যেহেতু এ ২টি পদে আর কেউ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করছেন না তাই খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ১৯ মার্চের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারপার্সন ও ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন। জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন দাবি করেছেন শাহ মোয়াজ্জেম ॥ বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের অধীনে ছাড়া দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন। দেশে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন দাবি করে তিনি বলেন, বিএনপি ভবিষ্যতে জাতীয় নির্বাচনে গেলে জাতিসংঘের অধীনেই যাওয়া উচিত। বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘গণতান্ত্রিক সংসদ আয়োজিত ‘ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন। শাহ মোয়াজ্জেম বলেন, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন হলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও এ নির্বাচন তত্ত্বাবধান করতে পারে। কারণ বর্তমানে বিভিন্ন দেশে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সেনাবাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন হচ্ছে না। এটাকে ইলেকশন বলা যায় না, এটা হচ্ছে হারমাদি। যে কারণে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে প্রায় সব ক’টিতে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করবে। এ ক্ষেত্রে হয়ত বিএনপি ৫ শতাংশ জয়লাভ করতে পারে। শাহ মোয়াজ্জেম বলেন, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি জেনেশুনে বিষপান করতে যাচ্ছেন। অতীত থেকে বিএনপিকে শিক্ষা নিতে হবে। তিনি বলেন, আমি ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) ২০০৮ সালের নির্বাচনে না যেতে পরামর্শ দিয়েছিলাম। আমি তাঁকে বলেছিলাম, সংরক্ষিত নারী আসন ছাড়া বিএনপি ২৮ সিট পাবে। তিনি আমার কাছে সোর্স জানতে চেয়েছিলেন। আমি সোর্সও বলেছি। পরে দেখা গেল আমার কথাই ঠিক। সিটি নির্বাচন ও পৌর নির্বাচনে অংশ না নিতেও আমার পরামর্শ ছিল। যাই হোক, দলের পলিসি ঠিক করার জন্য স্ট্যান্ডিং কমিটি আছে। স্ট্যান্ডিং কমিটির অর্থ হচ্ছে ‘খাড়া কমিটি’। যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বিএনপির ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়া আর ট্রেনের চাকায় হাওয়া দেয়া সমান কথা। আমরা জানি, অনেক বৈরিতার মধ্যে বিএনপির প্রার্থী জয়ী হলেও লাভ হবে না। তিন-চারমাস পর দেখা যাবে মামলা ঠুকে দেয়া হয়েছে। এরপর বরখাস্ত করা হবে। মুক্তি পেলেন গাজীপুর সিটি মেয়র মান্নান ॥ জামিনে মুক্তি পেলেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নান। বুধবার সাড়ে ১১টায় রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মুক্তি পান তিনি। মুক্তি পেয়ে তিনি তাঁর বারিধারার বাসায় যান। সেখানে আত্মীয়-স্বজন ও দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে তিনি একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছেন বলে তাঁর স্ত্রী সাজেদা মান্নান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, কারাগারে থাকা অবস্থায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে হাইকোর্টের নির্দেশে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানকে বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তিনি জামিনে মুক্তি পান।
×