ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যৌতুক

বাউফলে স্ত্রী ও শ্বশুরকে নির্মম নির্যাতন

প্রকাশিত: ০৪:৪০, ৩ মার্চ ২০১৬

বাউফলে স্ত্রী ও শ্বশুরকে নির্মম নির্যাতন

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ২ মার্চ ॥ বাউফলে যৌতুকের জন্য স্ত্রী ও শ্বশুরকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। কোন চিকিৎসা ছাড়াই ঘরে আটকে রাখা হয়েছে স্ত্রীকে। নাজিরপুর ইউনিয়নের তাতেরকাঠি রামনগর গ্রামে বুধবার এ ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, ৭ বছর আগে রামনগর তাতেরকাঠি গ্রামের ইয়াকুব আলী আকনের ছেলে মজিবর আকনের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী নাজিরপুর গ্রামের শাহজাহান আকনের মেয়ে শিউলী বেগমের (২৫) বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে। ঘটনার দিন সকাল ৮টার দিকে মজিবর তার স্ত্রী শিউলী বেগমের কাছে ব্যবসার নামে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে। শিউলী বেগম টাকা দিতে অপরগতা প্রকাশ করলে মজিবর তাকে লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকে। একপর্যায়ে চুল ধরে মাঠিতে ফেলে লাথি মারে। এভাবে থেমে থেমে কয়েক দফা তার উপর নির্যাতন চালানো হয়। একপর্যায়ে নির্যাতনের সইতে না পেরে শিউলী তার বাবা শাহজাহান আকনকে মোবাইল করেন। সকাল ১০টার দিকে তিনি ওই বাড়িতে এলে মজিবর তার শ্বশুরের দিকে তেড়ে যান এবং বলেন, টাকা এনেছেন, টাকা দেন। এ সময় তিনি টাকা যোগাড় করতে পারেননি বলে জানালে মজিবুর তার শ্বশুর শাহজাহান আকনকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেন এবং লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকেন। এ খবর পেয়ে স্থানীয় এক সাংবাদিক ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের মধ্যে আটককৃত শিউলী বেগমের ছবি তুলতে চাইলে মজিবর তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। শহীদ শংকু দিবস আজ এখনও ভাতা পাননি মা মানিক সরকার মানিক, রংপুর ॥ আজ অগ্নিঝরা ৩ মার্চ রংপুরে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ, মুক্তিযোদ্ধা শংকু দিবস। ’৭১ এ মুক্তিযুদ্ধ শুরুর প্রাক্কালে আজকের এই দিনেই মুক্তিকামী বীর বাঙালী নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে নগরীর আলমনগর এলাকায় অবাঙালীর ছোড়া গুলিতে প্রথম শহীদ হয়েছিলেন কিশোর শংকু সমাজদার। একই সময়ে শরিফুল নামের আরেক কিশোর গুলিবিদ্ধ হলেও পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭ এপ্রিল মারা যান তিনি। এই শংকুর কথা বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণেও উল্লেখ করেছেন। কষ্টের কথা, শংকু একজন গেজেটভুক্ত শহীদ মুক্তিযোদ্ধা হলেও তার হতভাগা মা আজও পান না মুক্তিযোদ্ধা কিংবা শহীদভাতা। ’৮৬ বছর বয়সের বৃদ্ধা হতদরিদ্র মা সম্প্রতি বাসায় পড়ে গিয়ে হাত ভেঙ্গে এখন অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় মরতে বসেছেন। কিন্তু তারপরও কেউ তার কোন খোঁজ রাখে না। বৃদ্ধা এই মায়ের আকুল আবেদন মরার আগে তিনি যেন শহীদ ছেলের সম্মানী ভাতা প্রাপ্তি দেখে যেতে পারেন। আজ শংকু দিবসের প্রাক্কালে কেমন আছেন রংপুরের এই প্রথম শহীদ মাতা তা জানার জন্য বুধবার বাসায় গেলে আক্ষেপ করে তার কষ্টজাগা অনুভূতির কথা বললেন এভাবে- ‘ছেলেকে হারিয়ে স্বাধীন একটা দেশ পেয়ে সত্যিই ছেলে হারাবার কষ্ট ভুলেছিলাম। এখন স্বাধীনতার এত বছর পর সন্তান হারাবার চেয়েও বড় কষ্ট পাচ্ছি রাষ্ট্রের যতসব কীর্তি দেখে। তাই তো ধিক্কার জাগে নিজের প্রতি যে, কেন এদেশে জন্মেছিলাম, আর কেনইবা যুদ্ধে যেতে দিয়েছিলাম ছেলেকে। আসলে সত্যিকারেই মা হয়ে ছেলেদের ওই মিছিলে যেতে দিতে চাইনি। ওদের চেতনাই টেনে নিয়েছিল সেদিন।
×