ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মামলা তুলে না নেয়ায় গৃহবধূকে নির্যাতন ॥ বাড়িতে লুট

প্রকাশিত: ০৪:৩৮, ৩ মার্চ ২০১৬

মামলা তুলে না নেয়ায় গৃহবধূকে নির্যাতন ॥ বাড়িতে লুট

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশবপুর, ২ মার্চ ॥ কেশবপুরের ব্রহ্মকাটি গ্রামে এক গৃহবধূর ওপর বর্বর নির্যাতন চালিয়েছে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। মামলা তুলে না নেয়ায় মঙ্গলবার রাতে বাড়িতে হামলা করে লুটপাটসহ গৃহবধূ শাহিদা বেগমের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়। মারাত্মক আহত শাহিদা বেগমকে প্রথমে কেশবপুর এবং সেখান থেকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই পৈশাচিক ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ এখনও আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি। হাসপাতালে আহত শাহিদা বেগম (৪০) এবং তার স্বামী আনোয়ার হোসেন জানান, তার মেয়ে এ্যানি নাচ ও গানের শিল্পী। তিনি কেশবপুরে একটি নাচ গানের একাডেমিও করেছিলেন। ব্রহ্মকাটি গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে বেলাল (২৫) এ্যানিকে নাচ গান বন্ধ করার নির্দেশ দিয়ে হুমকি দেয়। এ কারণে পিতার অনুরোধে এ্যানি একাডেমি বন্ধ করে দেন। গত ২২ জানুয়ারি মধুমেলায় এ্যানি ও তার কয়েক শিল্পী বান্ধবী ঢাকা থেকে অনুষ্ঠান করতে আসেন। এ্যানিদের বাড়ি থেকে বেরুনোর সময় বেলাল তাদের মাইক্রো ড্রাইভারকে মারপিট করতে যায়। এ্যানির মা শাহিদা বেগম প্রতিবাদ করলে বেলাল তাকে গালিগালাজ ও মারপিট করতে যায়। এ সময় এলাকার লোকজন থামিয়ে দেয়। ওই দিন রাতে বেলাল তার সন্ত্রাসীদের নিয়ে শাহিদা বেগমরে বাড়ি গিয়ে তাকে ভালভাবে ডেকে বাইরে এনে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় ও বুকে পিটিয়ে জখম করে মারাত্মক আহত করে পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় ২৪ জানুয়ারি কেশবপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। গত দু’তিন মাস ধরে ওই মামলা তুলে নেয়ার জন্য বেলাল বিভিন্ন চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। এলাকার পৌর কমিশনার মফিজুর রহমাম মফিজ মঙ্গলবার সকালে গ্রামের জোহর আলীর বাড়ি মামলা তুলে নেয়ার জন্য এক শালিস বসান। গ্রামের আয়ুব আলী, সিরাজুল ইসলাম, হারেজ আলীসহ ১০/১৫ জনের উপস্থিতিতে কমিশনার মফিজুর রহমান মফিজ শাহিদা বেগমের স্বামী আনোয়ার হোসেনকে মাত্র ৫ হাজার টাকা নিয়ে মামলা তুলে নেয়ার প্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর বেলাল, তার ভাই হালিম, বেলালের মা মঞ্চিলাসহ ৪/৫ জন শাহিদার বাড়িতে হামলা করে। এ সময় তার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। সন্ত্রাসীরা শাহিদাকে মাটিতে ফেলে এলোপাতাড়ি বেধড়ক মারপিট করে। তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। বেলালের মা শাহিদার গোপন অঙ্গের ভেতরে হাত ঢুকিকে নির্যাতন করে।
×