ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

জামায়াত নেতা মীর কাশেমের লবিস্ট টবি ক্যাডম্যান উক্তি

সিনহা স্বীকার করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রাজনৈতিকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৮:৫৯, ২ মার্চ ২০১৬

সিনহা স্বীকার করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রাজনৈতিকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (এসকে সিনহা) স্বীকার করেছেন যে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রাজনৈতিকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা মীর কাশেম আলীর আন্তর্জাতিক লবিস্ট টবি ক্যাডম্যান ব্রিটেনের হাফিংটন পোস্ট পত্রিকায় এক ব্লগে এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন। ক্যাডম্যান বলেন, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা এখন স্বীকার করেছেন যে, যুদ্ধাপরাধী বিচার রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তথ্যপ্রমাণের ধারাবাহিক অসঙ্গতি রয়েছে এবং বিভিন্ন ঘটনা ও আইনের বিষয়ে মারাত্মক ত্রুটি রয়েছে। প্রধান বিচারপতি এমনকি এ কথাও উল্লেখ করেছেন যে, এই বিচারের মারাত্মক ত্রুটি ও অবিচারের মাত্রা দেখে তিনি মর্মাহত। এ প্রসঙ্গে ক্যাডম্যান প্রধান বিচারপতির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, এর ফলশ্রুতিতে এই বিচার প্রক্রিয়ায় মীর কাশেমের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা কেবল একতরফাভাবে হত্যারই নামান্তর হবে। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতির ওপর আমাদের আস্থা রাখতে হবে, কারণ তিনিই এই বিচার প্রক্রিয়ার মারাত্মক ত্রুটিসমূহ প্রকাশ্যে তুলে ধরেছেন এবং তাতে করে বিচারে মীর কাশেম খালাসও পেতে পারেন। প্রধান বিচারপতি অভিমত ব্যক্ত করেছেন যে, প্রসিকিউশন যে পন্থায় বিচার প্রক্রিয়া এবং তদন্তকাজ পরিচালনা করেছেন, তাতে তিনি সত্যিই লজ্জিত এবং হতাশ। তিনি দাবি করেছেন যে, প্রসিকিউশন তার দায়িত্ব পালনের অনুপযুক্ত এবং ঘটনা প্রমাণ করার যে দায়িত্ব তাদের ছিল তাতে তারা ব্যর্থ হয়েছেন। যদিও সরকার তাদের পেছনে প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছে। ক্যাডম্যান বলেন, প্রথম দিকে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠনের জন্য বাংলাদেশ প্রশংসিত হলেও ন্যায় বিচারিক প্রক্রিয়ায় ত্রুটির জন্য এখন তা ক্ষোভে পরিণত হয়েছে। এ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে আলাপকালে প্রধান বিচারপতি স্বীকার করেন যে, প্রসিকিউশন সংবাদ মাধ্যম ও টেলিভিশনের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কাজ করছে। তিনি অভিযোগ করেন, দুর্নীতির জন্য প্রসিকিউশনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
×