ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

এক এগারোর কুশীলবদের বিচারের আওতায় আনার দাবি খালেদার

প্রকাশিত: ০৮:১১, ২ মার্চ ২০১৬

এক এগারোর কুশীলবদের বিচারের আওতায় আনার দাবি খালেদার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, বর্তমান সরকার ১/১১’র চেয়ে বেশি খারাপ। আওয়ামী লীগ এক-এগারোর সুবিধাভোগী। এক-এগারোর কুশীলবদের সঙ্গে সমঝোতা করেই তারা ওই সময় ক্ষমতায় এসেছিল। আজ হাসিনা এক-এগারোর সরকার সম্পর্কে নানা বক্তব্য দিচ্ছেন। কিন্তু তিনিই তো তখন বলেছিলেন এই সরকার আমাদের আন্দোলনের ফসল। তাদের সঙ্গে এ সরকারের বিচার হতে হবে উল্লেখ করেন। মঙ্গলবার রাতে গুলশানে নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিগত আন্দোলনে দলের হতাহত ও ক্ষতিগ্রস্ত নেতা-কর্মীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এক এগারোর কুশীলবদের বিচারে সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, সরকার যদি ওই কুশীলবদের বিচার করতেই চায় তাহলে বাধা কোথায়। তারা তো এখনও বহাল তবিয়তেই আছে। কেউ দেশের বাইরে আছেন। আবার কেউ কেউ তো দেশেও বিচরণ করছেন। ওই সময়কার কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে বলেন, যারা দেশে আছেন তারা কেন ভেতরে নেই। বহাল তবিয়তে আছেন। মাসুদকে (লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাসুদ উদ্দিন আহমেদ) এক্সটেনশন কে দিয়েছে। উনি যদি এদের কথা মিন করেন তাহলে এদের ধরিয়ে দেখিয়ে দেবেন। তিনি বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সরকারের সঙ্গে কোন আপোস-সমঝোতা করিনি। আমি কারাভোগ করেছি এক বছর আটদিন। আর উনি (শেখ হাসিনা) এগারো মাস কারাভোগের পর কাকুতি-মিনতি করে বেরিয়ে আসেন। আমি অনঢ় ছিলাম, কোন চাপেই দেশ ছেড়ে যাইনি। অন্যায় না করলে ভয় কিসের। উনি হাতে মেহেদি লাগিয়ে বিদেশে গিয়েছিলেন। ওই সময়ের প্রতি ইঙ্গিত করে বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, আওয়ামী লীগ-বিএনপি এক থাকলে কোন অগণতান্ত্রিক শক্তি ক্ষমতা দখল করত না। আমাদেরও জেলে নিতে পারত না। তিনি বলেন, মাহফুজ আনামতো তার ভুল স্বীকার করেছেন। যারা এর সঙ্গে অনেকেই তারা দেশে আছেন। তাদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হোক। দল পুনর্গঠনে নবীনদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, তবে প্রবীণ নেতাদেরও দলে প্রয়োজন। তিনি জানান, দলের প্রবীণ নেতারা আজীবন উপদেষ্টা হিসেবে থাকবেন। অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, বিএনপি নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, খন্দকার গোলাম আকবর, শাহাদাত হোসেন, শরীফুল ইসলাম ও ফরহাদ হালিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
×