ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মাহমুদা সুবর্ণা

স্বরূপে ফেরার প্রত্যয় সিমোনার

প্রকাশিত: ০৫:২২, ২ মার্চ ২০১৬

স্বরূপে ফেরার প্রত্যয় সিমোনার

দুই বছর আগে ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ডসøাম টুর্নামেন্ট জয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন সিমোনা হ্যালেপ। সেবার রুশ সুন্দরী মারিয়া শারাপোভাকে হারিয়ে ফ্রেঞ্চ ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন তিনি। সেসঙ্গে বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের দ্বিতীয় স্থানেও উঠে এসেছিলেন পাঁচ ফুট ছয় ইঞ্চি উচ্চতার এই রোমানিয়ান তারকা। এর পরের সময়টাতে আর মেজর কোন শিরোপা জিততে পারেননি তিনি। কিন্তু তাতে মোটেই হতাশ নন সিমোনা হ্যালেপ। বরং সামনে এগিয়ে যাওয়ার অবিশ্বাস্য প্রত্যয় তার চোখে-মুখে। সময়মতোই জ্বলে উঠতে চান তিনি। ২০০৮ সালে জুনিয়র টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপ দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন হ্যালেপ। এরপর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করেন তিনি। ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো গ্র্যান্ডসøাম টুর্নামেন্ট জয়ের স্বাদ পান তিনি। এরপর আর পেছনের দিকে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। স্বপ্ন দেখছেন চলতি মৌসুমেই আবারও মেজর টুর্নামেন্ট জয়ের। শুধু তাই নয়, বর্তমান টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ তারকা সেরেনা উইলিয়ামসকেও রীতিমতো হুমকি দিয়ে দিলেন রোমানিয়ার এই টেনিস তারকা। সুস্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন সময় ফুরিয়ে এসেছে আমেরিকান টেনিস তারকার। এই মুহূর্তে যে কেউই গ্র্যান্ডসøাম টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন হতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন সিমোনা হ্যালেপ। গত মৌসুমে সেরেনা উইলিয়ামস এককভাইে রাজত্ব করেছেন তিনি। তাই এই মুহূর্তে সেরেনাকে রুখাটাই হলো বড় কাজ। সেটা উপলব্ধি করতে পারছেন হ্যালেপ নিজেও। তাই তো সেদিকে খুবই মনোযোগী সিমোনা হ্যালেপ। এ বিষয়ে ২৪ বছর বয়সী রোমানিয়ান এই টেনিস তারকা বলেন, ‘আমি মনে করি এখন যে কেউই গ্র্যান্ডসøাম টুর্নামেন্ট জিততে পারে। তাছাড়া এটা আমাদের জন্য দারুণ এক সুযোগও যে, ওপেনে আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পারি। আমাদের আরও সময়ের প্রয়োজন। সেসঙ্গে আত্মবিশ্বাসটাও জরুরী। সেরেনাকে হারাতে পারব এই বিশ্বাসটাও আমাদের মাঝে তৈরি হচ্ছে।’ এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে, গত দেড় যুগ ধরেই টেনিস কোর্টে আলো ছড়াচ্ছেন সেরেনা উইলিয়ামস। বর্তমানেও বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ তারকার তকমাটা গায়ে মাখানো তার। ২১টি গ্র্যান্ডসøাম জিতে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। গত মৌসুমেও ক্যালেন্ডার সøাম জয়ের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্য ৩৪ বছর বয়সী সেরেনার। গত মৌসুমের শেষ মেজর টুর্নামেন্ট ইউএস ওপেনের সেমিফাইনালে ইতালিয়ান টেনিস তারকা রবার্টা ভিঞ্চির কাছে হেরে স্বপ্ন-ভঙ্গ হয় তার। আমেরিকান কিংবদন্তির বিদায়ের পর ইউএস ওপেনের ফাইনালে মুখোমুখি হয় ইতালিরই দুই তারকা রবার্টা ভিঞ্চি এবং ফ্লাভিয়া পেনেত্তা। শেষ পর্যন্ত পেনেত্তাই হাসে শিরোপা জয়ের হাসি। নতুন মৌসুমেও একই চিত্রনাট্য। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে উঠে স্টেফি গ্রাফের ২২ গ্র্যান্ডসøাম জয়ের রেকর্ডকে যখন স্পর্শ করবেন সেরেনা, ঠিক সেই ফাইনালেই টেনিসের কৃঞ্চকলীকে পরাজিত করে ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ডসøাম টুর্নামেন্ট জিতেন এ্যাঞ্জেলিক কারবার। ইতালিয়ান তারকা ফ্লাভিয়া পেনেত্তার পর এবার চ্যাম্পিয়ন হন এ্যাঞ্জেলিক কারবার। আর এতেই আত্মবিশ্বাস বহুগুণে বেড়ে গেছে সিমোনা হ্যালেপের। অনেকের মতো তারও বিশ্বাস এখন সেরেনাকে হারানোটা কঠিন কোন কাজ নয়। এ বিষয়ে সিমোনা হ্যালেপ বলেন, ‘আমি জানি যে, সেরেনা উইলিয়ামস এখনও শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। কিন্তু আমি এর আগেও বলেছি, যেহেতু এ্যাঞ্জেলিক কারবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতেছে এবং পেনেত্তা জিতেছে ইউএস ওপেন। তাই বলতে পারি এখন আমারও জয়ের সুযোগ আছে। সেইসঙ্গে প্রতিটি খেলোয়াড়েরই সুযোগ রয়েছে।’ সম্প্রতি দোহাই শেষ হয়েছে কাতার ওপেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য রোমানিয়ান তারকা সিমোনার। দারুণ প্রত্যাশা নিয়ে কাতারে গেলেও শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় পর্ব থেকেই ছিটকে পড়েন তিনি। সেসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের চ্যাম্পিয়ন এ্যাঞ্জেলিক কারবারও ছিটকে পড়েন দ্বিতীয় পর্ব থেকে। অন্যদিকে চোটের কারণে সেরেনা উইলিয়ামস এবং রাশিয়ার মারিয়া শারাপোভাও নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। আর শেষ পর্যন্ত কাতার টোটাল ওপেনের শিরোপা জিতেন স্প্যানিশ টেনিস তারকা কার্লা সুয়ারেজ নাভারো। সেই জয়ের প্রভাব পড়েছে সর্বশেষ প্রকাশিত টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়েও। পাঁচ ধাপ ওপরে উঠে এসেছেন নাভারো। বর্তমানে র‌্যাঙ্কিংয়ের ছয় নম্বরে অবস্থান করছেন তিনি। যা তার ক্যারিয়ারেরই সর্বোচ্চ অর্জন। তবে একধাপ পেছনে নেমে গেছেন সিমোনা হ্যালেপ।
×