ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

কামরুল আলম খান খসরু

২ মার্চ ৭১-এ উড়ল ঢা.বি. কলাভবনে স্বপ্নের সেই পতাকা

প্রকাশিত: ০৩:৪৯, ২ মার্চ ২০১৬

২ মার্চ ৭১-এ উড়ল ঢা.বি. কলাভবনে স্বপ্নের সেই পতাকা

একটি জাতীয় পতাকা মানে একটি জাতিরাষ্ট্রের অভ্যুদয়, একটি জাতির স্বীকৃতি। একটি জাতীয় পতাকা মানে একটি জাতির আবেগ, অনুভূতি, ভালবাসা, ভাষা, সংস্কৃতি তথা তার সাংস্কৃতিক পরিচয়। জাতীয় পতাকা সার্বভৌমত্বের প্রতীক আর জাতীয় সঙ্গীত সংস্কৃতির প্রতীক। জাতীয় পতাকা আর জাতীয় সঙ্গীত নিয়েই রাষ্ট্র স্থিতি লাভ করে এগিয়ে যায়। বাঙালী জাতি তার প্রাণপ্রিয় পতাকা অর্জনে অবর্ণনীয় অকল্পনীয় দুঃখযন্ত্রণা ভোগ করেছে। বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে। জাতীয় পতাকা অর্জনে বাঙালী জাতির বীরত্বগাথা ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে। বাংলাদেশের পতাকা তৈরির পর্বটি খুবই আকর্ষণীয় এবং উত্তেজনাময়। এটি একটি টিম স্পিরিটের ফল। এই পতাকাটি তৎকালীন ছাত্রলীগের ত্যাগী নেতাকর্মীদের উর্বর মস্তিষ্কের বহির্প্রকাশ। এই পতাকা তৈরিতে আমি সেদিন আদ্যোপান্ত জড়িত ছিলাম। তাই আমার স্মৃতিতে যতটুকু মনে আছে তা জাতির সামনে তুলে ধরছি। পতাকার ভাবনাটি হঠাৎ করে কারও মাথায় উদয় হয়নি। এটি অত্যাবশ্যক হয়ে পড়েছিল। ইংরেজীতে একটি কথা আছে, ‘সিচুয়েশন ডিমান্ডস’। অর্থাৎ একটি পতাকা অতি জরুরী হয়ে পড়েছিল পরিস্থিতির কারণে। আর এটি তৈরি হয়েছিল শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশে এক কর্মদিবসের প্রচেষ্টায়। ১৯৭১ সালের ২ মার্চ এই পতাকাটি প্রথমবারের মতো উত্তোলন করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন প্রাঙ্গণে। সেদিন উত্তোলন অনুষ্ঠানে আগত ছাত্র-জনতার মধ্যে বাঁধভাঙ্গা জোয়ার বয়ে যায়। পতাকা প্রস্তুত ও উত্তোলন বিষয়ে বিশদ লেখার আগে আবারও জানিয়ে রাখি কোন্ মুহূর্তে একটি পতাকা অতি প্রয়োজন হয়ে উঠেছিল। আর কেনই বা তা তখন উত্তোলনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছিল। আর এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকাও ছিল ঐতিহাসিক। ১৯৪০ সালে ইংরেজ শাসনামলে লাহোর প্রস্তাবে অখ- বাংলাকে নিয়ে একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্রের কথাও বলা হয়। কিন্তু ইংরেজ, অবাঙালী এবং অতি উৎসাহী বাঙালী মুসলমানদের কারণে তা ভেস্তে যায়। ’৪৭-এ বাংলার রক্তাক্ত বিভাজনের মাধ্যমে পূর্ব বাংলার সৃষ্টি হয়। শুধু তাই নয়, পূর্ব বাংলা হাজার মাইল দূরে অবস্থিত পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এক নয়ারাষ্ট্রের ভূখ-ে পরিণত হয়। পাকিস্তান জন্মের পরপরই সচেতন বাঙালী মুসলমান সমাজ কিন্তু তাদের মহাভুল বুঝতে পারে। কিন্তু ততদিনে তার হাতপা বাঁধা পড়ে যায়; পাকিস্তানী শাসন-শোষণ তার ওপর জেঁকে বসে। মুসলিম লীগপন্থী এদেশীয় বাঙালী, অবাঙালী নবাব ও ব্যবসায়ীরা এই সর্বনাশের মহোৎসবে লেগে পড়ে। একমাত্র ধর্মীয় ঐক্যবোধ দিয়ে শুধু উর্দু ভাষা ব্যবহার করে একটি নতুন জাতি সৃষ্টির মাধ্যমে বাঙালী মুসলমানের হাজার বছরের আত্মপরিচয় মুছে ফেলার যে চক্রান্ত সাজানো হয়, সবার আগে তা বঙ্গবন্ধু বুঝতে পারেন। পঞ্চাশ দশকের গোড়ার কথা। বঙ্গবন্ধু তখন মুসলিম লীগের উদারপন্থী গ্রুপের তরুণ নেতা। তিনি পাকিস্তানীদের দীর্ঘমেয়াদী ষড়যন্ত্র বুঝতে পেরে প্রথমে সংগঠন গড়ে তোলার কাজে নেমে পড়েন। তাঁর ছিল বিস্ময়কর সাংগঠনিক দক্ষতা, সারাদেশ চষে বেড়ানোর শারীরিক ক্ষমতা। তাঁর মন ছিল অকুতোভয়, চেহারা ছিল আকর্ষণীয়। তিনি ছিলেন বজ্রকণ্ঠের অধিকারী। জন্মসূত্রে পাওয়া এসব চারিত্রিক গুণাবলী নিয়ে তিনি বাংলার মানুষের আত্মপরিচয় অক্ষত রাখতে সম-ভাবনার সাথীদের নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। বঙ্গবন্ধু বহু জেল-জুলুম সহ্য করে দীর্ঘ দশ বছর আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে বাঙালীর চূড়ান্ত মুক্তির বিষয়ে ভাবিত হন। তিনি ছাত্র জীবনে ছিলেন হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দীর ঘনিষ্ঠ সহচর। আবার তিনি ছিলেন নেতাজী সুভাষ বসুর একনিষ্ঠ সমর্থক। বাংলাদেশের মুক্তির আন্দোলনে তিনি উভয় পথ মাড়িয়েছেন। প্রথমে তিনি আওয়ামী লীগের মাধ্যমে রাজনৈতিক পট তৈরি করেছেন। একই সঙ্গে তিনি নিউক্লিয়াস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের পথটিও উন্মুক্ত রেখেছেন। দুটি পথকে তিনি সমান্তরালভাবে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করেছেন স্বাধীনতার লক্ষ্যে। অথচ তিনি থেকেছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। কারণ তিনিই ছিলেন পাকিস্তানীদের মূল টার্গেট। আমরা ছিলাম বঙ্গবন্ধুর সৃষ্টি দ্বিতীয় পথের অর্থাৎ সশস্ত্র লড়াই করে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের পথের পথিক। বাংলাদেশের পতাকা তৈরি এবং উত্তোলনের আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকার বিষয়ে একটু বলে নিই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল বাংলাদেশ সৃষ্টির সমস্ত আন্দোলনের সূতিকাগার। ’৫২-র ভাষা আন্দোলন থেকে ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ প্রতিটি আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা পালন করে ঐতিহাসিক ভূমিকা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি হলের কথা বিশেষ করে উল্লেখ করতে চাই। এই হলটি হচ্ছে ইকবাল হল (বর্তমানে সার্জেন্ট জহুরুল হক হল)। এই হলটি ছিল ছাত্রলীগের দুর্ভেদ্য ঘাঁটি। ইকবাল হল নিয়ে বিশদ একটি লেখার ইচ্ছা আমার আছে। ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে তা নিয়ে লিখব। সেদিন এই একটি হল যত ছাত্রনেতা জন্ম দিয়েছিল পুরো বিশ্ববিদ্যালয় তা দিতে পারেনি। যেমন- সিরাজুল আলম খান, আবদুর রাজ্জাক, কাজী আরেফ আহম্মেদ, আবদুল কুদ্দুস মাখন, আ.স.ম আবদুর রব, তোফায়েল আহমেদ (বাণিজ্যমন্ত্রী), হাসানুল হক ইনু (তথ্যমন্ত্রী), আনোয়ার হোসেন মঞ্জু (পরিবেশ ও বনমন্ত্রী), শাজাহান সিরাজ (সাবেক মন্ত্রী), নূরে আলম সিদ্দিকী, নূরুল শরীফ আম্বিয়া, মার্শাল মনি, নূরে আলম জিকু, মোস্তফা মোহসীন মন্টু (গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক), মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিস, রেজা শাহজাহান, শেখ শহীদুল ইসলাম (সাবেক মন্ত্রী), শিব নারায়ণ দাস, মনিরুল ইসলাম চৌধুরী, গোলাম ফারুক, চিশতী হেলালুর রহমান, জিন্নাত আলী, সালাউদ্দিন, আবদুল্লাহ বাকী, মহিউদ্দিন, সেলিম প্রমুখ। এদের মধ্যে কেউ কেউ অন্য হলের আবাসিক-অনাবাসিক ছাত্র ছিলেন। আবার কেউ কেউ ছিলেন নিউক্লিয়াসের সদস্য। তাদের থাকতে দেখেছি ইকবাল হলে। পাকিস্তানের সমস্ত গোয়েন্দার তীক্ষè নজর ছিল এই হলের ওপর। পুলিশ, ইপিআর ও আর্মি সুযোগ পেলেই এ হলে রেইড দিত। অবস্থানগত সুবিধার কারণে বঙ্গবন্ধুর ৩২নং ধানম-ির বাসভবনের সঙ্গে ইকবাল হলের একটি অদৃশ্য সেতুবন্ধ রচিত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর কোন আদেশ নির্দেশ দ্রুত ইকবাল হলে অবস্থানরত ছাত্রলীগ নেতাদের কাছে পৌঁছে দেয়া হতো। একইভাবে ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে কোন বিষয় নিয়ে মতানৈক্য দেখা দিলে তা দ্রুত জানানো হতো বঙ্গবন্ধুকে। এজন্য বিশ্বস্ত ছাত্রলীগ কর্মীদের এ কাজে ব্যবহার করা হতো। প্রয়োজনে বিশিষ্ট ছাত্রলীগ নেতারা নিজেরাই নিয়মিত বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে শলাপরামর্শ করে আসতেন। ১৯৬২ সালে আমি ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত হই। তখন আমি কলেজ ছাত্র। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি ছিল তখন ভয়াবহ। সামরিক সরকার সমর্থক ছাত্র সংগঠন ‘ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ফ্রন্ট’ (এনএসএফ)-এর দৌরাত্ম্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক কর্মকা- বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা তখন মিছিল করার সাহস পাচ্ছিল না। ছাত্রলীগের বহু ত্যাগী নেতা প্রকাশ্যে এনএসএফের ক্যাডারদের হাতে নিয়মিত প্রহৃত হচ্ছিলেন। এ রকম পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য বঙ্গবন্ধু ডেকে পাঠান বিশিষ্ট ছাত্রলীগ নেতা সিরাজুল আলম খানকে। তিনি সিরাজ ভাইকে সারাদেশ চষে কিছু অকুতোভয় তরুণ সংগ্রহ করে দিতে বলেন। সিরাজ ভাই বঙ্গবন্ধুর কথামতো ৮-১০ জন তরুণ সংগ্রহ করে একদিন বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে নিয়ে যান। আমি ছিলাম এই দলের অন্যতম সদস্য। বঙ্গবন্ধু আমাদের উদ্দেশে নাতিদীর্ঘ এক বক্তৃতা করেন। আমরা তাঁর চেহারা, ব্যক্তিত্ব, সাহস, বাচনভঙ্গি দেখে মুগ্ধ হয়ে যাই। পরে সিরাজ ভাই আমাদের কানে কানে বীজমন্ত্র দেন। এরপর থেকে আমরা নিয়মিত ইকবাল হলে থাকা শুরু করি। ক্রমে এ হলকে ছাত্রলীগের ঘাঁটিতে পরিণত করি। পরিকল্পনা মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে এনএসএফকে উৎখাত করে আন্দোলন সংগ্রামের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখি। আগেই বলেছি, বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের আন্দোলনকে বঙ্গবন্ধু দুটি ধারায় প্রবাহিত করেছিলেন। এর একটি ছিল রাজনৈতিক ফ্রন্ট অর্থাৎ আওয়ামী লীগ, যার কা-ারি ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ। আরেকটি ছিল সশস্ত্র ফ্রন্ট (নিউক্লিয়াস) যার সিপাহশালার ছিলেন সিরাজুল আলম খান। তাজউদ্দীন আহমদের ছিল নেতৃত্বের প্রতি প্রশ্নাতীত আনুগত্য। তিনি নিজ দক্ষতা ও যোগ্যতায় ইতিহাসে স্থান করে নেন। অপর দিকে বঙ্গবন্ধুর সশস্ত্র ফ্রন্টের প্রধান সিপাহশালার ছিলেন আরেক প্রতিভা সিরাজুল আলম খান। বঙ্গবন্ধুর প্রতি তিনিও আনুগত্যের চরম পরাকাষ্ঠা দেখিয়েছিলেন। ১৯৬২ সালে বঙ্গবন্ধুর সম্মতিতে এবং সিরাজুল আলম খানের নেতৃত্বে সশস্ত্র সংগ্রামের লক্ষ্যে গঠিত হয় নিউক্লিয়াস বা স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ। এর সঙ্গে প্রথম থেকে যুক্ত বিশিষ্ট ছাত্রলীগ নেতা কাজী আরেফ আহমেদ, আবদুর রাজ্জাক, শেখ মণি এবং আমি। ১৯৬৪ সালে গঠিত হয় বেঙ্গল লিবারেশন ফ্রন্ট। এর সঙ্গে যুক্ত হন কাজী আরেফ আহমেদ, আবদুর রাজ্জাক, আ.স.ম আবদুর রব প্রমুখ। ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধুর অভিপ্রায় অনুযায়ী বাংলাদেশ লিবারেশন ফ্রন্টকে পুনর্বিন্যাস করে গঠন করা হয় ‘বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স’। সিরাজুল আলম খানের পাশাপাশি এ পর্যায়ে নেতৃত্বে আসেন কাজী আরেফ আহমেদ, আবদুর রাজ্জাক, আ.স.ম আবদুর রব, শেখ ফজলুল হক মণি, মার্শাল মনি প্রমুখ ছাত্রলীগ নেতা। ১৯৭০ সালে গঠিত হয় ‘জয় বাংলা বাহিনী’। আমি ছিলাম এর ডেপুটি কমান্ডার। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত হয় মুজিব বাহিনী যার ঢাকা সিটি গেরিলা কমান্ডার ছিলাম আমি। মোস্তফা মোহসীন মন্টু ছিলেন ঢাকা জেলা কমান্ডার। শেখ মণি ছিলেন এর সুপ্রীম কমান্ডার। বাংলাদেশের সশস্ত্র মুক্তিসংগ্রামের প্রস্তুতির বিষয়টি আগেই ভারতকে অবহিত করে রাখা হয়েছিল। তাদের দিক থেকেও সবুজ সঙ্কেত ছিল। এসবেরই ধারাবাহিকতায় গেরিলা প্রশিক্ষণ নেয়ার জন্য সিরাজুল আলম খানের নির্দেশে আমাকে পাঠানো হলো ভারতে। তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা হাসানুল হক ইনু (বর্তমানে তথ্যমন্ত্রী) ১৯৬৯ সালে আমাকে হবিগঞ্জ বর্ডার দিয়ে আগরতলায় পৌঁছে দেন। সেখানে আমি স্বল্প মেয়াদী গেরিলা প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে ফিরে এসে ছাত্রলীগের কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করি। নানা সূত্র থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করি। অস্ত্র সংগ্রহের জন্য পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে নকশালীদের কাছে গিয়েও ধর্ণা দিই। সবই পরিকল্পনা মতো চলতে থাকে। চলবে... লেখক : বীর মুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা সিটি গেরিলা কমান্ডার বিএলএফের অন্যতম সদস্য
×