ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

লিভারপুলকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি

প্রকাশিত: ০৭:০২, ১ মার্চ ২০১৬

লিভারপুলকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ লিভারপুলকে কাঁদিয়ে ইংলিশ লীগ কাপের (ক্যাপিটাল ওয়ান কাপ) শিরোপা ঘরে তুলেছে ম্যানচেস্টার সিটি। রবিবার রাতে উত্তেজনাপূর্ণ ফাইনালে ম্যানসিটি ভাগ্যনির্ধারণী টাইব্রেকারে লিভারপুলকে ৩-১ গোলে পরাজিত করে। লন্ডনের বিখ্যাত ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত মহারণে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা ১-১ গোলে অমীমাংসিত থাকে। প্রাধান্য বিস্তার করে খেললেও প্রথমে পিছিয়ে পড়ে দ্য রেডসরা। ৪৯ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ফার্নান্ডিনহোর গোলে এগিয়ে যায় সিটি। ৮৩ মিনিটে লিভারপুলকে সমতায় ফেরান আরেক ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ফিলিপ কাউটিনহো। এরপর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও গোলের দেখা পায়নি কোন দল। ফলে পেনাল্টি শূটআউটে গড়ায় ম্যাচ। এখানে পিছিয়ে পড়েও গোলরক্ষক উইলি কাবালেরোর অসাধারণ নৈপুণ্যে লীগ কাপের চতুর্থ শিরোপা শোকেসে ভরেছে সিটি। লিভারপুলের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ অর্থাৎ টানা তিন পেনাল্টি শট অসাধারণ দক্ষতায় রুখে দেন এই আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক। আর তাতেই ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনির বিদায়ের মঞ্চটা রঙ্গিন হতে শুরু করেছে। টাইব্রেকারে সিটির হয়ে লক্ষ্যভেদ করেন জেসুস নাভাস, সার্জিও এ্যাগুয়েরো ও ইয়াইয়া তোরে। আর লিভারপুলের হয়ে একমাত্র এমরে কানের শট জালের ঠিকানা খুঁজে পায়। ওয়েম্বলিতে স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে দারুণ দুটি সুযোগ পান সিটির সার্জিও এ্যাগুয়েরো। কিন্তু লক্ষ্যভেদ করতে ব্যর্থ হন তিনি। ২৩ মিনিটে ১৫ গজ দূর থেকে এ্যাগুয়েরোর জোরালো শট লিভারপুল গোলরক্ষকের হাতের ছোঁয়া পাওয়ার পর পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। সাত মিনিট পর এ্যাগুয়েরোর সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ান গোলরক্ষক সিমোন মিগনোলেট। আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারের শট বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে ফিরিয়ে দেন বেলজিয়ামের এই গোলরক্ষক। বিরতির পর শুরুতেই কাক্সিক্ষত গোল পায় সিটি। দুরূহ কোণ থেকে ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ফার্নান্ডিনহো দারুণ গোল করেন। মিনিট দশেক পর ব্যবধান দ্বিগুণ করার সহজ সুযোগ নষ্ট করেন রাহিম স্টার্লিং। ব্যবধান না বাড়াতে পারলেও প্রতিপক্ষের রক্ষণে চাপ ধরে রেখে খেলতে থাকা সিটির জয়ের সম্ভাবনাই বড় হয়ে উঠছিল। কিন্তু শেষদিকে ঘুরে দাঁড়ানো লিভারপুল দারুণ এক পাল্টা আক্রমণে সমতায় ফেরে। এ্যাডাম লালানার কোনাকুনি শট গোলরক্ষককে পরাস্থ করলেও পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বলে অরক্ষিত কাউটিনহোর গোল করতে কোন সমস্যা হয়নি। ৮৫ মিনিটে আবার লিভারপুলের ত্রাতা মিগনোলেট। অসাধারণ দক্ষতায় তিনি ফিরিয়ে দেন ফার্নান্ডিনহোর শট। এরপর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। এ সময় দু’দলই দারুণ সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়। মৌসুমের শেষটা যতই ঘনিয়ে আসছে, ইতিহাদে কোচ ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনির বিদায় রাগিণীটাও ততই এগিয়ে আসছে। তবে সেই সুরে আপ্লুত হয়ে এখনই মনযোগটা অন্যদিকে সরিয়ে ফেলতে চান না তিনি। লীগ কাপের শিরোপা এনে দিয়েছেন, বিদায়ের আগে যদি আরও শিরোপা এনে দিতে পারেন মন্দ কী! চিলিয়ান এই কোচেরও আপাতত এটাই চাওয়া। পেনাল্টি শূটআউটে লিভারপুলের তিন শট ঠেকিয়ে দিয়ে নায়ক হয়ে যান সিটির গোলরক্ষক উইলি কাবালেরো। নিয়মিত গোলরক্ষক জো হার্টের বদলে ৩৪ বছর বয়সী এই আর্জেন্টাইন গোলরক্ষককে নিয়ে বাজি ধরেছিলেন সিটি কোচ। সেটি কাজে দেয়ায় বেজায় খুশি পেলেগ্রিনি। বলেন, আমি জানি, সবাই অপেক্ষায় ছিল, কখন কাবালেরো ভুল করবে আর কখন তারা আমার সমালোচনার সুযোগ পাবে। তবে আমি নিজের বিশ্বাসের মূল্য দিতে হারতেও রাজি ছিলাম।
×