ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

কন্ডিশন নিয়ে কোন অভিযোগ নেই ভারতের, মানিয়ে ওঠার চ্যালেঞ্জটাই দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

অশ্বিনের কাছে এশিয়া কাপ টি২০ বিশ্বকাপের ড্রেস রিহার্সেল

প্রকাশিত: ০৭:০০, ১ মার্চ ২০১৬

অশ্বিনের কাছে এশিয়া কাপ টি২০ বিশ্বকাপের ড্রেস রিহার্সেল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এবার এশিয়া কাপ টি২০ আসরে ভিন্নমাত্রার উইকেট বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। প্রতি ম্যাচেই ব্যাটসম্যানদের তুলনায় বোলাররা- বিশেষ করে পেসাররা দুর্দান্ত বোলিং করছেন। কারণ উপমহাদেশে যেমন উইকেট সচরাচর দেখা যায়নি, সেই ঘাসে মোড়া উইকেট তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু এসব কন্ডিশন নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না ভারত। এমনকি প্রতিপক্ষ নিয়েও মাথা ব্যথা নেই। মূলত টি২০ বিশ্বকাপের ড্রেস রিহার্সেল হিসেবে এশিয়া কাপ দলের সব ক্রিকেটারদের জন্য ড্রেস রিহার্সেল হিসেবেই দেখছেন ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। সোমবার দুপুরে অনুশীলন শেষে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে এসব কথা বলেন তিনি। স্পিনারদের জন্য তেমন কিছুই রাখা হয়নি উইকেটে। তবে পেসাররা দুর্দান্ত বোলিং করছেন, উইকেটের সুবিধাটা নিয়ে। এবারের এশিয়া কাপ যেন হয়ে গেছে গতিময় বোলারদের যুদ্ধ। এমনকি ব্যাটসম্যানরাও দলকে তেমন বড় কোন সংগ্রহ এনে দিতে পারছেন না। এ বিষয়ে অশ্বিন বলেন, ‘এখানে বিস্ময়ের কিছু নেই যেহেতু তাদের পছন্দসই উইকেট দিয়েছে। যে কোন কন্ডিশনই দেয়া হোক না কেন আন্তর্জাতিক একটি দল হিসেবে আমাদের মানিয়ে নেয়ার সামর্থ্য থাকতে হবে। ভিন্ন ধরনের উইকেট দেয়া হয়েছে। এটা নিয়ে অভিযোগ করার চেয়ে ভাল হচ্ছে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়া। আমরা ভিন্ন ভিন্ন ধাঁচের পরিবেশে নিজেদের পরীক্ষা করছি- যেমন অস্ট্রেলিয়ায় এক রকম, ভারতে এক রকম এবং বাংলাদেশে আরেক রকমের। এটা কিন্তু দলের জন্য ভালই।’ আর কন্ডিশন বার বার পরিবর্তন আসায় দলের সব ক্রিকেটারদের জন্য যে পরীক্ষা হচ্ছে সেটাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে ভারতীয় দল। টি২০ বিশ্বকাপের আগে এ ধরনের পরীক্ষা দলগতভাবে আরও সুসংহত করবে এমনটাই দাবি এ স্পিনারের। এ বিষয়ে অশ্বিন বলেন, ‘এটা আসন্ন টি২০ বিশ্বকাপের আগে আমাদের ব্যাটসম্যানদের, পেস বোলারদের এবং সবার জন্য একটি ড্রেস রিহার্সেল। যে কন্ডিশনের মধ্যে আপনাকে ছুড়ে ফেলা হয়েছে সেটা জানা জরুরী এবং সেখানে চেষ্টা করে মানিয়ে উঠে কন্ডিশনকেই হারাতে হবে।’ নিজে নির্ভরযোগ্য স্পিনার। কিন্তু কন্ডিশনটা এমনই যে স্পিনার হিসেবে তেমন কিছু করার নেই। গত চার ম্যাচের অবস্থা থেকেও এটা পরিষ্কার। এ বিষয়ে অশ্বিন বলেন, ‘এটা বোঝা জরুরী যে এখানে তেমন স্পিন করবে না। এ কারণে উইকেট নেয়ার চেয়ে সঠিক জায়গায় বল রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ টি২০ ক্রিকেটে বোলিং দক্ষতার চেয়ে বরং ব্যাটিংয়ের বিষয়টি নিয়েই চাপ থাকে। এ ধরনের কন্ডিশনে আমি এটাই করতে চাই। যখনই আক্রমণের কোন সুযোগ উন্মুক্ত হবে, তা অবশ্যই করব।’ কিন্তু পেসাররা উইকেটের সুবিধা নিয়ে ভাল করতে পারলে তা স্পিনারদের জন্যও সহায়ক ভূমিকা রাখতে সক্ষম। জাসপ্রিত বুমরাহ ও আশিষ নেহরা যে ধরনের বোলিং করছেন সেটার কারণে এখন ভারত পেস আক্রমণে বৈচিত্র্যের ঘাটতিটাও পুষিয়ে নিতে পেরেছে বলে মনে করেন অশ্বিন। তিনি বলেন, ‘বুমরাহ ও নেহরার দুর্দান্ত পারফর্মেন্স স্পিনার হিসেবে আমার জন্য সহায়ক হয়েছে। আমরা যদি গ্রুপবদ্ধ হয়ে জ্বলে উঠতে পারি সেক্ষেত্রে তা অনেক ভাল হবে। আমরা জানি আশিষ বেশ অভিজ্ঞ। তিনি ডেথ ওভারে দারুণ কিছু করার সামর্থ্য রাখেন এবং বুমরাহ ইয়র্কার বল করতে পারেন। আর এটাই সম্ভবত গত কয়েক বছর আমরা মিস করেছি। এখন এটা আমাদের বোলিং লাইনআপের জন্য বাড়তি শক্তি যোগ করেছে। আমাদের ডেথ ওভারের বোলিং অতীতের চেয়ে অনেক ভাল।’ উত্তেজনার পাক-ভারত ম্যাচে নিজেরা জয়ী হওয়ার পর এখন অনেকটাই নির্ভার ভারতীয় দল। কিন্তু এটাকে অন্য যেকোন ম্যাচের মতোই মনে করেন অশ্বিন। শুধু জানালেন ২০১১ বিশ্বকাপে মোহালিতে অনুষ্ঠিত দু’দলের সেমিফাইনালটা ছিল দারুণ চাপের। দল হিসেবে এখন যেকোন আসরে বিশেষ কিছু অর্জন করাটাকেই মুখ্য মনে করেন অশ্বিন। তিনি বলেন, ‘আগামী ৩-৪ মাসে আমরা দীর্ঘ টি২০ মৌসুমের দিকে মনোযোগী। এ কারণে দল হিসেবে আমরা কতটা অর্জন করতে পারি সেটাই মুখ্য এবং সেজন্য প্রতিপক্ষ আসলে কোন বিষয় নয়। গত দুই মাসে আমরা কিছু ভাল টি২০ ক্রিকেট খেলেছি এবং সেটা দল হিসেবে আরও ভাল করে তুলেছে।’
×