ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রিম্যান আবুলের বাঁ হাতে তিন সপ্তাহ পর আবার অস্ত্রোপচার

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ১ মার্চ ২০১৬

ট্রিম্যান আবুলের বাঁ হাতে তিন সপ্তাহ পর আবার অস্ত্রোপচার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর চিকিৎসকের ক্ষুরধার চিকিৎসা সেবায় ক্রমেই সুস্থতার পথে এগিয়ে যাচ্ছেন ট্রিম্যান আবুল বাজনদার। ইতোমধ্যে বৃক্ষমানব আবুলের ডান হাতে সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে। কেটে ফেলা হয়েছে ওই হাতের সব ‘শিকড়’। ধীরে ধীরে তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন। সোমবার বার্ন ইউনিটের ৯ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড তার বাঁ হাতের অস্ত্রোপচারের ও পরবর্তী চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। তিন সপ্তাহ পর তার বাঁ হাতে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেডিক্যাল টিম। ওইসময় তার বাঁ হাতের ‘শিকড়’গুলোও কেটে ফেলা হবে। সোমবার ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর খান মোঃ আবুল কালাম আজাদের রুমে নয় সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে ‘ট্রি-ম্যান’ আবুলের চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এমনকি বর্তমান অবস্থা ও পরবর্তী করণীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। ঢামেক বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডাঃ সামন্ত লাল সেন জানান, তিন সপ্তাহ পর আবুলের বাঁ হাতের শিকড় অপারেশন করা হবে। সোমবার তার ডান হাতে ড্রেসিং করা হয়েছে। তিনি জানান, আবুল বাজনদারের ডান হাতের অবস্থা ভাল আছে। শনিবার তার ডান হাতের কব্জির ওপরের দিকে এবং হাতের তালু অংশে অস্ত্রোপচার করা হয়। সোমবার তার ডান হাতে ড্রেসিং করা হয়েছে। তিনি জানান, এখন মেডিক্যাল বোর্ডে তার বাঁ হাতের অস্ত্রোপচারের বিষয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় বিরল এ রোগ আবার হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না ডাক্তাররা। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পন্থা নির্ধারণে সক্রিয় মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা। সামন্ত লাল সেন জানান, শুধু বাঁ হাতের অস্ত্রোপচার নয়। ক্রমান্বয়ে তার দুই পায়েও অস্ত্রোপচার করা হবে। আবুলের হাতের আঁচিলের কিছু নমুনা পরীক্ষার জন্য ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৩০ জানুয়ারি খুলনা জেলার পাইকগাছার ‘ট্রিম্যান’ আবুল বাজনদারকে ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তার চিকিৎসার জন্য ছয় সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। গণমাধ্যমে আসা ইন্দোনেশিয়ার বৃক্ষমানব গত ৩০ জানুয়ারি মারা গেছেন। এইচপিভি (হিউম্যান পারপোরিয়াস ভাইরাস) একগুচ্ছ ভাইরাসের নাম, যা শরীরের ত্বক ও আর্দ্র ঝিল্লিতে সংক্রমিত হয়। এ পর্যন্ত একশ’র বেশি ধরনের এইচপিভির খোঁজ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে অন্তত ৩০ ধরনের এইচপিভি জননেন্দ্রিয়কে আক্রান্ত করতে পারে। সব ধরনের এইচপিভিই শরীরে আঁচিলের কারণ। এ সংক্রমণ খুব দ্রুত গতিতে ত্বকের বাইরের স্তরে ছড়িয়ে পড়ে।
×