ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ১ মার্চ ২০১৬

ঢাকার দিনরাত

স্বাধীনতার মাস শুরু“হলো। একাত্তরের এই সময়টা ছিল অগ্নিঝরা উত্তাল। স্বাধীনতার মাস শুরু হলেই দেশের গণমাধ্যম ধারাবাহিকভাবে মার্চের দিনগুলোর ঘটনাপঞ্জি নতুন প্রজন্মের পাঠকদের কাছে তুলে ধরে। এটি গভীর দায়িত্ববোধেরই পরিচয়। যারা একাত্তর দেখেনি তাদের কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার প্রয়োজনীয়তার কথা বার বার নানা লেখায় উঠে আসে। বয়োজ্যেষ্ঠদের দায়িত্ব নবীনদের সেই ইতিহাস পাঠে উদ্বুদ্ধ করা। আজ স্বাধীন দেশে আমরা যেসব সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি, আত্মগৌরব ও স্বতন্ত্র পরিচয় নিয়ে বিশ্বসভায় প্রতিষ্ঠিত রয়েছি, মুক্তিযুদ্ধে বিপুল আত্মত্যাগ বিনা সেটা সম্ভবপর হতো না। নবীন প্রজন্মের কাছে সেসব কথা যথাযথভাবে তুলে না ধরলে কিভাবে তাদের ভেতর দেশপ্রেম এবং পূর্বপুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ তৈরি হবে! তাই আমাদের প্রত্যেককেই তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে বিশেষ দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের জন্য এই স্বাধীনতার মাস আহ্বান জানায়। আজ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল বিজয়ী হলে আমরা লাল-সবুজ পতাকা নিয়ে উল্লাস প্রকাশ করি। সেই পতাকাটি প্রথম কিভাবে উত্তোলিত হয়েছিল সে কথা মার্চের শুরুতেই দেশের সংবাদপত্রে বিশদভাবে তুলে ধরা হয়। অল্পকথায় বলি- একাত্তরের ২ মার্চ ঢাকাসহ পুরো বাংলাদেশ পরিণত হয়েছিল এক বিক্ষুব্ধ জনপদে। এদিন ওড়ানো হয়েছিল মানচিত্রখচিত স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পতাকা। এর আগের দিন ১ মার্চ পাকিস্তানের তৎকালীন শাসক ইয়াহিয়া খান এক ফরমানের মাধ্যমে জাতীয় পরিষদ অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দেন। তাঁর সেই অবৈধ এবং স্বৈরাচারী ঘোষণার মাধ্যমে বাঙালী জাতির কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে, নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সংখ্যাগরিষ্ঠের প্রতিনিধিরা ক্ষমতায় যেতে পারবে না। স্বাধীনতার আন্দোলন শুরু করা ছাড়া অধিকার আদায়ের আর কোন বিকল্প নেই। পাকিস্তানী শাসকদের এই মনোভাবের বিস্ফোরণ ঘটেছিল ২ মার্চ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজার হাজার ছাত্র এদিন বটতলায় এসে জমায়েত হন। বটতলার সমাবেশে ইয়াহিয়ার স্বৈরাচারী ঘোষণার ধিক্কার জানানো হয় এবং স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। বটতলার ঐতিহাসিক সমাবেশে তৎকালীন ডাকসুর ভিপি আ স ম আবদুর রব স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকাটি উত্তোলন করেন। স্বাধীনতা সংগ্রামের ৯ মাস এই পতাকাই বিবেচিত হয়েছে আমাদের জাতীয় পতাকা হিসেবে। বিঘ্নিত বসন্ত সময়টা ফাল্গুন। ঋতুরাজ বসন্তের ছটা এসে লাগছে অনেকেরই চোখেমুখে, বিশেষ করে মনের নিভৃত কোণে। সময় করে কেউ যদি প্রায় বিরাণ বৃক্ষের এই মহানগরীর গাছপালায় চোখ রাখেন তাহলে বিপরীতমুখী সৌন্দর্য দৃষ্টিকে খানিকটা আচ্ছন্ন করে তুলবে। ঢাকার উত্তর প্রান্তে বিমানবন্দর সড়কের পাশে পাতাশূন্য দীর্ঘদেহী গাছগুলোর দিকে তাকালে মন উদাস হয়ে যাওয়ারই কথা। ফাগুন-পূর্ণিমার ভিন্ন মাহাত্ম্য রয়েছে প্রেমিকজুটির হৃদয়ে। রবিঠাকুরের সেই বিখ্যাত গানের কথা অবধারিতভাবে মনে পড়ে যায়Ñ আজ জ্যোৎস্নারাতে সবাই গেছে বনে/ বসন্তের এই মাতাল সমীরণে... নাগরিক ব্যস্ততায় কোথা দিয়ে চলে গেল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। আমার মতো অনেকেরই স্মরণ ছিল না হয়ত। তাই মিস হয়ে গেল! তবে বসন্ত বিঘিœত হয় চলেছে নানাভাবে ধোয়াধুলোর এই নগরীতে। অনেকে দূর থেকে যেটাকে কুয়াশা বলে ভাবছেন, তা আসলে ধুলোর পাহাড়! বসন্তে বর্ষণ গত সপ্তাহে নাগরিক জীবন নাড়া খেয়েছে কয়েকটি কারণে। ঘরের গ্যাসের চুলার বিস্ফোরণে এক পরিবারের তিন জনের মৃত্যুতে রাজধানীবাসী কষ্ট পেয়েছে। এই অভিজ্ঞতা থেকে যদি সবাই সতর্ক ও সচেতন হয় তাহলেই অযথা অপঘাতে মৃত্যু থেকে প্রাণ বাঁচবে। ঘরে ঘরে রয়েছে গ্যাসের চুলা। এই চুলার সঠিক ব্যবহার ও অপচয় বিষয়ে নগরবাসীকে সচেতন করার ব্যাপারে সিটি কর্পোরেশন ভূমিকা রাখতে পারে। রাখাই উচিত। ফাল্গুনের দুপুরে ঢাকায় ঝোড়ো হাওয়ার তাণ্ডব শুরু হলে নগরবাসী সচকিত হয়ে ওঠেন। ঝড়ের সঙ্গে শুরু হয় বৃষ্টি। সাধারণ বৃষ্টি নয়, একেবারে শিলাবৃষ্টি। শিলা বা বরফের সাইজও মার্বেলের আকার থেকে ছাড়িয়ে ক্রিকেট বলের মতো ঢাউস হয়েছে। কাকরাইল মোড়ে নিজ চোখেই দেখলাম একটি গাছ তার কাণ্ড থেকে ভেঙ্গে ডালপালাসমেত উপুড় হয়ে পড়েছে ব্যস্ত সড়কের ওপর। যন্ত্রের মাধ্যমে তা দ্রুত অপসারণে তৎপর হলেন কর্মীবাহিনী। ঝড়ের কবলে পড়ে গাছের নীরব আত্মরক্ষার বিষয়টি কি কেউ ভাবেন? যে গাছটি শেষ পর্যন্ত আহত হয়েও মুমূর্ষু দাঁড়িয়ে থাকে, সেই গাছটিও কিছু কালের মধ্যে ফের নতুন জীবন ফিরে পায়। মানবকল্যাণেই সদা নিয়োজিত থাকে। যাহোক, পথঘাট দেখে মনে হচ্ছিল এখন বর্ষাকাল চলছে। ফাগুন বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় বহু স্থানে। তীব্র যানজটের ভোগান্তি পোহান নগরবাসী। বইমেলা সইতে পারেনি বৃষ্টির আঘাত! কত কত বই যে ভিজে মিইয়ে পড়েছে! তাতে দোকানি তথা প্রকাশকদের মুখও খানিকটা ম্লান হয়ে গেছে। একটা দিন বন্ধও রাখতে হয়েছে বইমেলা। কর্তৃপক্ষকে পাকাপাকি একটা ব্যবস্থা গ্রহণের কথা ভাবতে হবে, যাতে অতর্কিতে আসা বৃষ্টি বইমেলায় ছন্দপতন না ঘটাতে পারে। দোকানির মাথায় হাত না পড়ে। ক্রিকেট দর্শকের আবেগ মৌচাক ঘিরে যেমন থাকে মৌমাছিরা, অনেকটা সেরকমই যেন পথের পাশের টিভিসেটের শোরুমের বাইরে ঝাঁক বেঁধে থাকে পথচলতি ক্রিকেটপ্রেমী মানুষ। বিশেষ করে যেদিন বাংলাদেশের ম্যাচ থাকবে সেদিন ভিড়টা নজর কাড়বেই। দর্শকদের ভিড়ে ফুটপাথ উপচে ওঠে। আর হঠাৎ হঠাৎ খুশির চিৎকার। এমন ভিড়ের ভেতর টাই পরা ভদ্দরনোক আর লুঙ্গিগেঞ্জি পরা মুটেমজুর দিব্যি পাশাপাশি দাঁড়িয়ে সারসের মতো গলা উঁচু করে খেলা দেখেন। কে কোন শ্রেণীর, কে খুলনার, কে নোয়াখালীর তার হিসেব কেউ কষেন না। সবার তখন এক পরিচয়Ñ বাংলাদেশী। বাংলাদেশ দলের জয়ে সবাই উল্লাসে ফেটে পড়েন, আর পরাজয়ে মাথা নিচু করা হতশ্রী-হতাশ। বাংলাদেশের খেলা চললে বাসের ভেতর এক-দুজন পেয়েই যাবেন যারা কানে এয়ারফোন গুঁজে মোবাইল ফোনের রেডিওতে প্রচারিত খেলার ধারাবিবরণী শোনেন। শুধু কি শোনেন? তিনিও সংক্ষিপ্ত ধারাবিবরণী দিয়ে চলেন আশপাশের যাত্রীদের। আর যদি সমবয়সী ক’জন ছাত্রবন্ধু একসঙ্গে জুটে যায় তাহলে তো কথাই নেই। তাদের বিশেষজ্ঞসুলভ আলোচনা থেকে আপনি কান সরাতে পারবেন না সহজে। প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের টোটাল ক্যারিয়ার তাদের জানা! সেসব বিশ্লেষণ তাদের নখদর্পণে। পারফরমেন্স নয়, চাচা-মামার জোরে কে চান্স পেয়েছে টিমে, কে কোন বলটা খেলতে গিয়ে ভেতরে ভেতরে কেঁপে ওঠে ভয়েÑ এইসব কথা তাদের যেন শেষ হতে চায় না। রসিকতায়ও কেউ কম যান না। ফেসবুকে মঈনুল রাকীবের স্ট্যাটাস তুলে দিচ্ছি ভিন্ন কারণে। পাকিস্তান-ভারত ম্যাচে বাংলাদেশের দর্শকদের একাংশের কী অবস্থা হয় তার একটা বাস্তব চিত্র পাওয়া যাবে। তিনি লিখেছেন, ‘খেলা হচ্ছে ভারত আর পাকিস্তানের। খেলার ভেন্যু বাংলাদেশ। অথচ গ্যালারি ভরা পাকিস্তান আর ভারতের দর্শক। তাদের হাতে এই দুই দেশের পতাকা। আবেগে তারা উদ্বেলিত! এরা কারা? কাগজে কলমে বাংলাদেশের নাগরিক, মানসিকভাবে এরা পাকিস্তান অথবা ভারতের। একটা স্পষ্ট অপ্রিয় কথা শুনুন, এইসব লোক এবং যাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর টিভি রুমে হৃদয়ের সবটুকু আবেগ ঢেলে দিয়ে এই দুই দেশের জন্য চিৎকার, চেঁচামেচি ও ঝগড়াঝাঁটি করতে দেখেন এরা বাংলাদেশের প্রতি শতভাগ আনুগত্যশীল নয়। এরাই নিজেদের পরিচয় সঙ্কটের করুণ পরিস্থিতি ঢাকতে ফতোয়া দেয়, ‘খেলার মধ্যে রাজনীতি আনা ঠিক নয়’। এই ফতোয়া দিয়ে তারা ভারত ও পাকিস্তানের প্রতি প্রেমকে ঢেকে রাখে। অথচ ক্রীড়া সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এর সঙ্গে দেশপ্রেম সম্পৃক্ত। যেখানে পতাকা ও জাতীয় সঙ্গীতের মতো দুইটি অতি রাজনৈতিক বিষয় ওতপ্রোতভাবে জড়িত, সেখানে যারা রাজনীতি খুঁজে পায় না তারা হয়- দৈহিকভাবে বাংলাদেশে থেকেও মনে মনে ইসলামাবাদ বা দিল্লীতে বাস করে। এখন দেখুন তো, আশপাশে লাল-সবুজ পতাকা নিয়ে গর্বিত কয় জনকে দেখতে পান...।’ যাহোক, আমরা মানি আর নাই মানি, ওপরের ভাবনাটা আমাদের অনেকেরই। বাড়াবাড়ি হয় বলেই এমন ধারণা গড়ে ওঠে। দুটি দেশের মধ্যে ক্রিকেট খেলা হলে তৃতীয় কোন দেশের দর্শক তার কোন একটির পতাকা বহন করতেই পারেন। আচ্ছা শ্রীলঙ্কার পতাকা কি স্টেডিয়ামে নিয়ে যান কোনো বাঙালি? তবে এই উপমহাদেশে ভারত-পাকিস্তান বড় ফ্যাক্টর বলেই আমাদের দেশে ওই দুই দেশের পতাকা বহনে বাড়াবাড়ি হলে তার একটা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। ওপরের ওই বিবরণ থেকে দর্শক সম্পর্কে একটা বিরূপ ধারণা মিললেও বাংলাদেশের ম্যাচ যেদিন থাকে সেদিন গোটা ঢাকা শহরই যেন স্টেডিয়ামে রূপান্তরিত হয়ে যায়। সেদিন সবাই কি বাংলাদেশী নয়? বইমেলা থেকে ফিরতে ফিরতে দেখি শাহবাগে একটা মিনি স্টেডিয়াম। এখানে নতুন যে স্থাপনা নির্মিত হচ্ছে তাতে যুক্ত করা হযেছে বড় পর্দা। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ম্যাচে বিপুল দর্শক সমাগম। বেশ উৎসব চলছে। মহাখালী যখন পৌঁছুই ঠিক সেসময়ে শ্রীলঙ্কার চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে। রেস্টুরেন্টের কর্মীরা কাজ ফেলে হৈ হৈ করে ওঠে। তাদের সঙ্গে খেতে আসা সাহেবরাও তো যোগ দেন। ক্রিকেট এভাবেই আমাদের এক জায়গায় নিয়ে আসে। সেখানে ফল্গুধারার মতো নিঃশব্দে বয়ে চলে দেশপ্রেম। ১১ মাসের অপেক্ষা গতকাল শেষ হয়ে গেল বইমেলা। মাসব্যাপী এই বইমেলা আবার ঢাকায় শুরু হবে ঠিক ১১ মাস পরে। এবার অবশ্য লিপ ইয়ার হওয়ার সুবাদে একদিন বাড়তি পাওয়া গেছে মেলা। অন্যবার ২৮ তারিখেই পর্দা টানা হয় মেলার। এবার ২৮ তারিখ ছিল রবিবার, সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস। কিন্তু বইমেলায় সন্ধেবেলা গিয়ে দেখি প্রচুর ভিড়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান তো কম প্রশস্ত নয়, সেখানে মানুষ আর মানুষ। রবিবারে যারা বইমেলায় এলেন তাদের অধিকাংশই বইয়ের ক্রেতা। ফলে প্রতিটি বইয়ের দোকানেই ভিড় লেগে ছিল। এমন দৃশ্য দেখতেও ভাল লাগে। বাবা কিংবা মায়ের সঙ্গে যে কিশোর বা কিশোরী এসেছে বইমেলায় তারা খুঁজছে কমিকের বই। এজাতীয় বই প্রকাশ করে থাকে হাতেগোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। ফলে সে কয়টির সামনে প্রায় লাইন। বিক্রেতাদের ভেতর প্রতিযোগিতা, কত তাড়াতাড়ি প্যাকেট করে বই ক্রেতার হাতে তুলে দেবেন। ক্যাশমেমোর বালাই নেই। তেমন কেউ চায় না তাই দেয়া হয় না। যদি কেউ চান তাহলে টাকার অঙ্ক লিখে দিয়েই খালাস। বড়জোর বইগুলোর নাম লিখে মোট টাকার অঙ্ক বসিয়ে দেন। ফলে কোন বইয়ের কত দাম বোঝার উপায় নেই। পাঞ্জেরী স্টলের দোকানির কাছে যথাযথভাবে ক্যাশমেমো প্রদান করার কথা একটু কড়া স্বরেই বললেন এক ক্রেতা। সেখানেও কিছুটা ‘ফাঁকি’ লক্ষ্য করা গেল। ক্যাশমেমোর ওপরে প্রতিষ্ঠানের নাম নেই। নিচে বিক্রেতার স্বাক্ষর নেই। ক্রেতা ভদ্রলোক কী মনে করে পকেটে না ঢুকিয়ে মেমোটা আমাকে দেখতে দিলেন। তারপর সেটা ফেরত না নিয়েই হনহন করে চলে গেলেন অনিয়মের মুণ্ডুপাত করতে করতে। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ [email protected]
×