ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এনামুল হক

পপ স্টার জেনিফার লোপেজ

প্রকাশিত: ০৪:১৬, ১ মার্চ ২০১৬

পপ স্টার  জেনিফার লোপেজ

পপ সুপারস্টার জেনিফার লোপেজ সম্প্রতি লাস ভেগাসে অনুষ্ঠান পরিবেশন করে দর্শক মাতিয়েছেন। কেউ যদি কখনও আশা ছেড়ে দিয়ে বলে যে যত কঠোর পরিশ্রমই করা যাক না কেন কোনই লাভ নেই তারা জেনিফারের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিতে পারেন। কারণ ব্রোঙ্কসের এই মেয়েটি ৪৬ বছর বয়সে এসে আবার প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, কঠোর সাধনা করে চললে যে কোন কিছুই অর্জন করা সম্ভব। ব্যক্তিগত জীবনে এবং ক্যারিয়ারে বিপর্যয়ের ঘটনা জেনিফারের বহুবার ঘটেছে। তথাপি বিপর্যয়ের কাছে তিনি নতি স্বীকার করেননি, হাল ছেড়ে দেননি বরং লক্ষ্যে পৌঁছাতে আরও বেশি সঙ্কল্পবদ্ধ হয়েছেন। লাস ভেগাসের অনুষ্ঠান পরিবেশনা তারই প্রমাণ। ‘অল আই হ্যাভ’ এই শিরোনামে তিনি তার লাস ভেগাস রেসিডেন্সির প্রথম রাতে গুটিকয়েক গান গেয়ে দশক শ্রোতাদের মুগ্ধতায় বেঁধেছেন। প্লানেট হলিউড রিসোর্ট এ্যান্ড ক্যাসিনোয় ৪৬০০ আসনের এক্সিস থিয়েটার দর্শক-শ্রোতায় পূর্ণ ছিল। তার কোন অনুষ্ঠানে এত দর্শক-শ্রোতার সমাবেশ আগে আর কখনও হয়নি। লাস ভেগাস আগে ছিল এমন এক স্থান যেখানে নামী-দামী পারফর্মাররা তাদের ক্যারিয়ার শান্তিতে এবং অপেক্ষাকৃত ম্লান ও নিষ্প্রভরূপে শেষ করেছেন। এ অবস্থাটা ২০০৩ সালে পাল্টে যায় যখন সেখিন ডিওন অনুষ্ঠান পরিবেশন করে ৪০ কোটি ডলারের বেশি উপার্জন করেছিলেন পাঁচ বছরে। এরপর আসেন এলটন জন ২০০৪, শের ২০০৮, শায়িনা টোয়েইন ২০১২ সালে। এখন লাস ভেগাস সেরা পপ তারকাদের জন্যও হট টিকেটে পরিণত হয়েছে। জেনিকার লাস ভেগাসে অনুষ্ঠান পরিবেশন করতে গিয়ে নিজের স্বপ্নকে সার্থক করার জন্য তার যা কিছু ছিল সব উজাড় করে দিয়েছেন। বলা যেতে পারে এর মধ্য দিয়ে তিনি তার সাফল্যের সর্বোচ্চ বিন্দুতে পৌঁছেছেন। এ এক অসাধারণ অর্জন এবং তার জীবনের সবচেয়ে হৃদয়গ্রাহী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটি যেমন ছিল শ্বাসরুদ্ধকর তেমনি সম্মোহন করে দেয়ার মতো। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে তিনি তার ক্যারিয়ারের সেরা গানগুলো পরিবেশন করেছেন। শুধু গান নয়, সেই সঙ্গে নৃত্য পরিবেশনও। মনে হবে না ৪৬ বছর বয়সে এসে কেউ এভাবে পরিবেশন করতে পারেন। এতই প্রবল তার প্রাণশক্তি। এতই সীমাহীন তার উচ্ছ্বাস। তাঁর এত সুললিত কণ্ঠ সম্ভবত আগে আর কখনও শোনা যায়নি। মনে হতে পারে জেনিফার লোপেজের মতো এত ধনী, খ্যাতিমান ও মেধাবী কারোর পক্ষে নিজের স্বপ্ন পূরণ করা কতই সহজ। এটা সত্য যে সেলিব্রেটি হওয়ার কতই না সুবিধা। কত সহজেই না ওপরে পৌঁছা যায়। তবে এর উল্টোটিও আছে। অতি সহজে পতনের অতলে পৌঁছে যাওয়া মুহূর্তের ব্যাপার। লোপেজের ক্ষেত্রে তার গোটা ক্যারিয়ার ও তার সমুদয় সাফল্যের পেছনে আছে কঠোর পরিশ্রম ও সাধনা। এখনও তিনি আমেরিকার সবচেয়ে কঠোর পরিশ্রমী পপ তারকা।
×