ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প

১২ খালের সংস্কার কাজ সম্পন্ন করেছে সেনাবাহিনী

মোয়াজ্জেমুল হক, চট্টগ্রাম অফিস

প্রকাশিত: ০০:৫২, ৫ জুলাই ২০২২; আপডেট: ০১:৪৫, ৫ জুলাই ২০২২

১২ খালের সংস্কার কাজ সম্পন্ন করেছে সেনাবাহিনী

চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসন

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে এ পর্যন্ত ১২ খালের সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছেএ নগরীতে বর্তমানে ৩৭ খালের অস্তিত্ব থাকলেও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) মাধ্যমে সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কোর কাজ শুরু করার পর গত প্রায় পাঁচ বছরে এ ১২ খালের খনন, সংস্কার, উভয় পাশে রিটেইনিং ওয়াল ও ওয়াকওয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছেঅবশিষ্ট খালের সংস্কার কাজ অব্যাহত থাকলে আগামী বছরের বর্ষায় নগরবাসী বহুলাংশে জলাবদ্ধতার আগ্রাসন থেকে রক্ষা পাবে

প্রকল্পের পরিচালক লে. কর্নেল শাহ আলীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে  সোমবার তিনি জনকণ্ঠকে জানান, এ প্রকল্পের সম্পন্ন করা বিভিন্ন কাজ ধাপে ধাপে চউককে হস্তান্তর করার লিখিত প্রস্তাব দিয়েছেনগত ২০২০ এবং ২০২১ সালে দুদফায় দুই ধাপের কাজ হস্তান্তরের প্রস্তাব করা হলেও চউক এখনও তা বুঝে নেয়নিউল্লেখ্য, এসব কাজ বুঝে নেয়ার পর চউক আবার তা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে (চসিক) বুঝিয়ে দেবে

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম মহানগর অভ্যন্তরে খাল-নালার যাবতীয় কাজ চসিকের আওতায় হলেও ২০১৭ সালে চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়এরপর এ কাজ সম্পাদনের দায়িত্ব দেয়া হয় সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কোরকেসেনাবাহিনীর পক্ষে এ কাজ শুরু করা হয় ২০১৮ সালেএরপর থেকে প্রতি বর্ষা মৌসুমে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে বর্তমানে ১২টি খালের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছেপ্রকল্প পরিচালক দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, খালের সংস্কার কাজে মূলত ব্যয় হয়েছে ৩ হাজার ৮৪৩ কোটি টাকাঅবশিষ্ট ১ হাজার ৭৭৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছে খালের পাড়ে ভূমি অধিগ্রহণ ও উচ্ছেদসহ সংস্কারের যাবতীয় কাজে

সূত্র জানায়, ৬ খালের মুখে এ পর্যন্ত  ছয়টি স্লুইসগেট স্থাপন করা হয়েছেযেগুলো বর্ষা মৌসুমে উচ্চক্ষমতার জোয়ারের পানি নগরীতে প্রবেশে প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করবেএ ধরনের ৪০টি খালের মুখে স্লুইসগেট স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছেঅবশিষ্ট স্লুইসগেট চউক এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠা করবেবর্তমানে প্রতি বর্ষায় হালিশহর ও আগ্রাবাদ এলাকা বৃষ্টির পানিতে বিস্তীর্ণভাবে তলিয়ে যাচ্ছেএর সঙ্গে উচ্চক্ষমতার জোয়ার থাকলে জলাবদ্ধতার রূপ ভয়াবহ আকার ধারণ করেএ অবস্থা থেকে উত্তরণে স্লুইসগেট বসছেএরফলে আগামী বর্ষায় হালিশহর ও আগ্রাবাদ এলাকা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানির আগ্রাসান থেকে রক্ষা পাবে

সূত্র জানায়, নগরীতে ১৬ কিলোমিটার রয়েছে ড্রেনআবার এরসঙ্গে যুক্ত রয়েছে ১৫ কিলোমিটারের পুরনো ড্রেন৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকার প্রকল্প ৩০২ কিলোমিটার ড্রেনের কাজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছেঅবশিষ্ট প্রায় ১৩শকিলোমিটার ড্রেন এখনও সংস্কারের বাইরে রয়েছেএ অবস্থায় ইতোমধ্যে চসিক একটি ক্র্যাশ প্রোগ্রাম গ্রহণ করেছেএ ক্র্যাশ প্রোগ্রামের আওতায় পুরনো ড্রেন ও খালের সংস্কার কাজ চালিয়ে যাবেতবে পরিপূর্ণভাবে এসব খাল ও ড্রেন নিয়ে প্রকল্প গ্রহণ করতেই হবেপূর্ব বাকলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকাকে বর্ষা মৌসুমে জলজট থেকে রক্ষা করতে এসব খাল ও ড্রেনের যথাযথ সংস্কার কাজের কোন বিকল্প নেই

×