ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ত্বকের যত্নে মেকআপ

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

ত্বকের যত্নে মেকআপ

মেকআপ শুরুর আগে মুখ, গলা, ঘাড়, পিঠে ত্বকের ধরন অনুযায়ী টোনার লাগিয়ে নিতে হবে। মেকআপ শুরুর আগে দেখতে হবে কোথায় খুঁত বা দাগ রয়েছে। খুঁত ঢাকতে হবে কভার স্টিক দিয়ে। এরপর ফাউন্ডেশনের পালা। ত্বকের রঙ অনুযায়ী ফাউন্ডেশন অল্প পানি দিয়ে ত্বকের সঙ্গে ভাল করে মিশিয়ে দিতে হবে। শীতের দিনে একটু গাঢ় মেকআপ করতে হয়। পানি স্প্রে করে নিতে হবে মুখে, গলায়। এতে মেকআপ সুন্দরভাবে বসে যাবে। যাদের নাক চাপা তারা এক শেড ডার্ক ফাউন্ডেশন নাকের দু’পাশে লাগিয়ে নিলে নাকটি উঁচু লাগবে। এর ওপর কমপ্যাক্ট লাগিয়ে দিলে বেস মেকআপ শেষ। গালে থাকবে ব্লাশারের লালিমা। লাল, মেরুন, ব্রাউন পিংক শেডের ব্লাশ অন শাড়ির সঙ্গে মানানসই করে লাগালে কনের মুখে লাজুক ভাবটি ফুটে ওঠে। চিক বোন শিমার দিয়ে হাইলাইট করতে হবে। শরীরের সুন্দরতম অঙ্গ চোখের সাজই কনের আসল রহস্য। চোখ ছোট হলে মোটা করে, চোখ বড় হলে সরু করে আই লাইনারের রেখা টানতে হবে। চোখ যদি বসা হয় কাজল দিয়ে ভরিয়ে দিতে হবে চোখের কোল। এক্ষেত্রে আই লাইনার কম ব্যবহার করলে ভাল। অন্যান্য ক্ষেত্রেও কাজল একটু চোখের নিচের পাতায় একটু সাজ করে দিলে চোখে মায়াবী ভাব ফুটবে। চোখের পাতা ঘন দেখাতে প্রথমে সাদা মাসকারা, শুকিয়ে গেলে ওয়াটার প্রুফ কালো মাসকারা ব্যবহার করতে হয়। তাই শ্যাডো অবশ্যই শাড়ি বা পোশাকের রঙের সঙ্গে মিশিয়ে লাগাতে হয়। সঙ্গে গোল্ড, সিলভার বা কপার দিয়ে হাইলাইট করতে হবে। অনেক সময় দুটি বা তিনটি রঙ মিশিয়েও শ্যাডো লাগালেও ভাল লাগবে। যারা একটু ন্যাচারাল লুক পছন্দ করেন তাদের জন্য ব্রাউন বা কপার আইশ্যাডো। মেকআপের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে থাকে ঠোঁট রাঙানোর পর্ব। ঠোঁটের সৌন্দর্য বাড়াতে লাগানো হয় লিপস্টিক। লিপস্টিক লাগানোর আগে ঠোঁটে অল্প ফাউন্ডেশন লাগিয়ে নিলে ভাল হয়। ঠোঁটের গড়ন যদি ঠিক না থাকে তবে লিপ লাইনার বা ব্রাশে লিপস্টিক নিয়ে আউট লাইন এঁকে নিতে হবে। এর ফলে ঠোঁটের রঙ ছড়িয়ে যাবে না। লিপস্টিকের রঙ বাছতে হবে গায়ের রঙ ও শাড়ি বা পোশাকের রঙের কথা মাথায় রেখে। অল্প বয়সীদের গ্লসি লিপস্টিক মানায় ভাল। না হলে ম্যাট লিপস্টিক দিয়ে ভরিয়ে দিতে হবে আঁকা ঠোঁটের ভেতরে। সবশেষে চন্দন পরা। বিয়ের রাতে মুখের চন্দনের রেখাতেই কনের সৌন্দর্য পুরোমাত্রায় ফুটে ওঠে। গহনা আর বেনারসির জরির কারুকাজের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে সূক্ষ্ম চন্দনের কারুকাজ আঁকতে হবে। চন্দন আঁকতে হয় মুখের আকৃতি অনুযায়ী। কপালের লাল টিপকে ঘিরে সুন্দর আল্পনা আঁকতে পারেন। কপাল ছাড়া গাল, চিবুকেও অল্প চন্দন আঁকা যায়। চন্দনকে আরও গর্জিয়াস করতে চাইলে কলকার মাঝখানে লাল কুমকুমের ছোঁয়া, ছোট ছোট পুঁতি, স্টোন, মুক্তো, বিন্দি ইত্যাদি দিয়ে ডেকোরেশন করা হয়। গ্লিটার দিয়ে চন্দনের সঙ্গে আঁকতে চাইলে গোল্ড, সিলভার গ্লিটার শাড়ির সঙ্গে মানিয়ে লাগালে সুন্দর তো বটেই, নতুনত্বের ছাপ আসে। আবার মিনে কাজের শাড়ি পরলে চন্দনেও মিলে লাগালে অপূর্ব লাগবে। যাপিত ডেস্ক ছবি : আরিফ আহমেদ মডেল সুজানা
×