ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ইয়াছিন ও মমতাজ বেগমের ছোট মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকাকে বিয়ে করেন জাতীয় দলের ওপেনার তামিম।

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

ইয়াছিন ও মমতাজ বেগমের ছোট মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকাকে বিয়ে করেন জাতীয় দলের ওপেনার তামিম।

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ভারতের বিপক্ষে স্নায়ুচাপের ম্যাচ। এশিয়া কাপের শুরুটাই এবার এমন একটি হাইভোল্টেজ ম্যাচ দিয়ে হওয়ার কারণেই নিজেদের সঠিকভাবে মেলে ধরতে পারেনি পাকিস্তান দল। আর কন্ডিশনটাও বুঝে না ওঠার কারণে হারতে হয়েছে। এমনটাই দাবি করলেন পাকিস্তানের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক। তিনি মনে করেন ভিন্নধর্মী ও কঠিন উইকেটের কারণেই ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হয়েছেন। তবে ভারতের বিপক্ষে পরাজয়ে যেসব ভুল ছিল তা শুধরে এখন প্রথম জয়ের সন্ধানে আছে পাকিস্তান। সেজন্যই রবিবার জোর অনুশীলন করেছে মিরপুর একাডেমি মাঠে পাকরা। মালিক আশা করছেন আজ আমিরাতের বিপক্ষে দারুণ একটি ম্যাচ উপহার দিতে পারবে তার দল। এবারই প্রথম টি২০ ফরমেটে আয়োজিত হচ্ছে এশিয়া কাপ আসর। কিন্তু ২০১২ সালের চ্যাম্পিয়ন ও ২০১৪ সালের রানার্সআপ পাকিস্তানের শুরুটা হয়েছে হার দিয়ে। সেই হারটা আবার ক্রিকেট মাঠের চিরশত্রু ভারতের বিপক্ষে। মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে পাকরা! কিন্তু মালিক তেমনটা মনে করেন না। তিনি এ বিষয়ে বলেন, ‘গতকাল (শনিবার) ব্যাট করাটা কঠিন ছিল। কিন্তু আমরা কিছু বিষয়ে হিসেব-নিকেশে গরমিল করেছিলাম। এর কারণ কন্ডিশন সম্পর্কে আমাদের কোন ধারণা ছিল না। টি২০ ক্রিকেটে ১৭০-৮০ করার মতো স্বাভাবিক উইকেট ছিল না এটি। বিশেষ করে খুব ভাল একটি ব্যাটিংসমৃদ্ধ দলের বিপক্ষে খেলাটা আরও কঠিন এখানে। অবশ্যই, সবাই ভুল থেকে শিক্ষা নেয় এবং সে কারণেই আমরা এখন অনুশীলন করছি।’ অনুশীলন করে ভারতের বিপক্ষে করা ভুলগুলো বিশ্লেষণ এবং শুধরে নেয়ার প্রচেষ্টা চালিয়েছে পাকরা। বর্তমানে পাকিস্তান দলের ঘর হয়ে গেছে আরব আমিরাত। কারণ নিজেদের দ্বিপক্ষীয় সিরিজগুলো এখানেই আয়োজন করে তারা। এবার সেই আমিরাতের বিপক্ষেই খেলতে হবে। এ বিষয়ে মালিক বলেন, ‘এমনকি যদি দু’জন নিজের ভাই পরস্পরের বিপক্ষে খেলতে নামে সেক্ষেত্রেও উভয়েই জিততে চায়। আমাদের ক্ষেত্রে বিষয়টা এমনই।’ দলগতভাবে পাকিস্তানের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আমিরাত। কিন্তু একটি টুর্নামেন্টের সময় এমন কিছু বিবেচনা করা যায় না। এ বিষয়ে মালিক বলেন, ‘এই টুর্নামেন্টে সব খেলাই খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের বিপক্ষে খেলাটা আমি বলব উভয় দলের জন্যই একটা চাপের ম্যাচ। আমরা কিছু ভুল করেছি। আমরা জানতাম না এখানে কন্ডিশনটা কেমন হতে পারে। এখন আমরা খেলেছি এবং জেনেছি কিভাবে এটাকে মানিয়ে নিতে হবে। আরব আমিরাতের বিপক্ষে চমৎকার একটি ম্যাচ হতে যাচ্ছে।’ পাকিস্তান দল পেস আক্রমণে কতটা শক্ত সেটা প্রমাণ দিয়েছে তারা প্রথম ম্যাচেই। বিশেষ করে মোহাম্মদ আমির এখন ত্রাস হয়ে গেছেন প্রতিপক্ষের কাছে। নিজেদের বোলিং শক্তিটাকে তাই এগিয়ে রাখছেন মালিক। কিন্তু বোলিংয়ের পাশাপাশি এবার ব্যাটসম্যানদের দায়িত্ব নেয়া জরুরী। ম্যাচ জিততে হলে এর কোন বিকল্প নেই। আর যে কোন টুর্নামেন্টে একটি জয় পাওয়া এগিয়ে দেয় দলকে। এ বিষয়ে মালিক বলেন, ‘আমরা জানতাম যে অন্য দলগুলোর চেয়ে আমাদের সবচেয়ে ভাল পেস আক্রমণ আছে। ব্যাটসম্যানদের দায়িত্ব নিতে হবে। যেই উইকেটে আসবে তার অন্তত ৬০-৭০ রান করতে হবে যেন আপনার দল ১৪০-৫০ রানে শেষ করতে পারে। আর সেটা বোলাররাও ধরে রাখতে পারবে দলের জন্য। আমি রানরেটের বিষয়টি নিয়ে ভাবছি না। আমাদের লক্ষ্য প্রথম একটা ম্যাচ জেতা এবং তারপর থেকে এগিয়ে চলা।’ ভারতের বিপক্ষে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতাটাই ডুবিয়েছে। তবে এরপরও পাক বোলাররা লড়াইয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিলেন। তাই দলের বোলিং বিভাগের ওপর দারুণ আস্থা মালিকের।
×