ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

শ্রীলঙ্কা হারল ২৩ রানে ;###;সাব্বিরের ব্যাটিং জাদু ;###;আল আমিনের ৩ ও সাকিবের ২ উইকেট

টাইগারদের দুর্দান্ত জয়

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

টাইগারদের দুর্দান্ত জয়

মিথুন আশরাফ ॥ ম্যাচ শেষ হতেই দর্শকদের মধ্যে সে কী আনন্দ। উৎসব করতে করতে মাঠ থেকে বের হন সবাই। কেউ নাচছেন, কেউ আরেকজনের কাঁধে চড়ে বসছেন। আনন্দের বহির্প্রকাশ বোঝাতে আবার গাইছেনও অনেকে। সেই আনন্দ পুরো দেশকেই যেন দোলা দিয়েছে। রাত না হয়ে দিন হলে হয়ত সেই আনন্দ আরও দ্বিগুণ হয়ে যেত। আর যেন সবার কণ্ঠে মাঠের দর্শকদের মতোই সুর, ‘বাঘের হামলা, এবার সামলা!’ যে হামলা শ্রীলঙ্কান সিংহরা সামলাতে পারেননি। তাইতো ২৩ রানের হার হয়েছে নিয়তি। ‘আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে।’-এবার আনন্দই শুধু মিলেছে। উৎসব হয়েছে। সেই আনন্দ, উৎসব মিলেছে সাব্বির রহমান রুম্মনের ব্যাটিং জাদুতে। যে জাদুর ছোঁয়ায় চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা। সাব্বিরের ব্যাটিং ঝড়ে (৫৪ বলে ৮০ রান), কষ্টে পুড়ল লঙ্কানরা। ২০১৪ সালে দুই ম্যাচের টি২০ সিরিজে শেষ বলে গিয়ে হারের কষ্ট এতদিন ভোগ করেছে বাংলাদেশ। দুই বছর পর এবার সেই কষ্টের ক্ষত লঙ্কানদের শরীরেই এঁকে দিয়েছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের দুটিতে জিতে ফাইনালে খেলার সম্ভাবনা তৈরি করেছে বাংলাদেশ। আর পেন্ডুলামের মতো দুলছে বর্তমান এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন লঙ্কানদের ভাগ্য। কী দারুণ ব্যাটিংটাই না করলেন সাব্বির। ২৬ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশকে এমনই ব্যাটিং উপহার দিলেন, শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান করে ফেলল। সাব্বির একাই করলেন ৮০ রান। তার এমন ব্যাটিংয়ে লঙ্কানদের শরীরে যেন কাঁপনই ধরে গেল! এ কাঁপন টুর্নামেন্টজুড়েই থাকবে বোধহয়। সাব্বিরের ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ মজবুত ভিত গড়ে। এরপর ৩ উইকেট নেয়া আল আমিন ও ২ উইকেট নেয়া সাকিবের দুর্দান্ত বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কা ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১২৪ রানে গুটিয়ে যায়। অথচ শ্রীলঙ্কার ইনিংসের শুরুতেই বাজে অবস্থার মধ্যে পড়েছে বাংলাদেশ। তাসকিনের করা দ্বিতীয় বলেই দিনেশ চান্দিমাল আউট হতে পারতেন। যদি স্লিপে থাকা সৌম্য সরকার সহজ ক্যাচটি ধরতে পারতেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য, তাসকিনের বলে ব্যাটসম্যানের ব্যাটে লেগে স্লিপে যাওয়া বল যে সৌম্য ধরতে পারেননি। এক এক করে তিনবার এ রকম হলো। তাসকিনের বলে স্লিপে ক্যাচ ধরতে ব্যর্থ হলেন সৌম্য। এরপর ১ রানে থাকা তিলকারতেœ দিলশানের ক্যাচটি সিøপে ধরতে পারেননি মাহমুদুল্লাহ। যদিও কঠিন ক্যাচই ছিল। হাতের একটু বাইরেই ছিল। এরপরও সিøপে যদি এ রকম ক্যাচ না ধরা যায়, তাহলে কী ফিল্ডিংয়ে প্রতিপক্ষের চেয়ে এগিয়ে থাকা যায়? এ দুই ক্যাচ মিসে বাংলাদেশের সব আশা যেন মিলিয়ে যেতে থাকে। শুরুতেই যদি খারাপ কিছু মেলে তাহলে কী ভাল কিছুর আশা করা যায়? এমন সময়ে একজনকে সবসময় পাশে পায় বাংলাদেশ। তিনি সাকিব আল হাসান। কিন্তু ইদানীং কেন জানি সেই পাশে পাওয়া দূরে চলে যাচ্ছিল। রবিবার সাকিবকে সেই পুরনো রূপেই মিলল। প্রথম ওভারে বল করতে এসেই দিলশানকে (১২) আউট করে দেন। সাকিবের ছোড়া বলটি মিডঅফ দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠাতে চান দিলশান। কিন্তু সৌম্য দুর্দান্তভাবে ক্যাচটি ধরে যেন শুরুর ক্যাচ মিসের পাপ মোচন করতে চাইলেন। ২০ রানে শ্রীলঙ্কা ১ উইকেট হারায়। এরপর যে সময়ের দেখা মেলে, তাতে ভয়ও ঢুকে যায়। এত সুন্দর ব্যাটিংয়ের পর কী বাংলাদেশ হেরে যাবে? সেই প্রশ্নও উঁকিঝুঁকি দেয়। রানের খাতা খোলার আগেই ‘নতুন জীবন’ পাওয়া চান্দিমালের সঙ্গে যে শেহান জয়াসুরিয়া কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন। দুইজন মিলে ৫৬ রানের জুটি গড়ে ফেলেন। এবার মাহমুদুল্লাহ যেন ত্রাতারূপে আবির্ভূত হন। ৭৬ রানে শ্রীলঙ্কান ইনিংসে সর্বোচ্চ রান করা চান্দিমালকে (৩৭) আউট করে দেন। ২ রান স্কোরবোর্ডে যোগ হতেই সাকিব যখন জয়াসুরিয়ার (২৬) উইকেটটি শিকার করেন, তখন আবার বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে ম্যাচ। একটু পরই আবার পেরেরার ক্যাচটি তালুবন্দী করতে না পেরে খানিক হতাশা যুক্ত করেন তাসকিন। তবে খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি। সেই পেরেরাকে (৪) বল করতে এসে এলবিডব্লিউ করেন মুস্তাফিজ। তখন যেন বাংলাদেশের জয়ের ছবিই সবার চোখে ভাসতে শুরু করে দেয়। ৯২ রানে যখন মিলিন্ডা শ্রীবর্ধেনেকে (৩) আউট করেন মাশরাফি, তখন জয় যেন সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে লঙ্কানরা। এরপরও শ্রীলঙ্কানরা যেন আশায় বুক বাঁধে। ম্যাথুস যদি কিছু একটা করে দিতে পারেন। ১৮ বলে জিততে ৪৬ রানের দরকার। এমন সময়ে ১০২ রানে সেই ম্যাথুসকেও (১২) আল আমিনের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয়। ১২ বলে জিততে যখন ৩৭ রানের প্রয়োজন পড়ে, তখনই দর্শকরা উৎসব শুরু করে দেন। ১ ওভারে যখন ৩২ রান লাগে, তখন পুরো স্টেডিয়ামে শুধুই আনন্দ আর আনন্দ। শেষ ওভারে বল করতে এসে শানাকা (১৪) ও কুলাসেকারাকে (০) আউট করেন আল আমিন। শেষ ওভারের ভেল্কিতে ৩ উইকেট শিকার করেন আল আমিন। বাংলাদেশও সহজেই ২৩ রানে জিতে যায়। শুরুতে মাঠে নামার আগেই সুসংবাদ মেলে। যাকে নিয়ে সব দলেরই চিন্তা থাকে, সেই লাসিথ মালিঙ্গা নেই। ইনজুরিতে পড়েছেন। তাই মালিঙ্গার স্থানে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে মালিঙ্গা-মুস্তাফিজ দ্বৈরথ ম্যাচ শুরু হওয়ার আগেই শেষ হয়ে গেল! মালিঙ্গার ইয়র্কার সামলাতে হবে না ব্যাটসম্যানদের। এটিই তো টাইগার ব্যাটসম্যানদের আত্মবিশ্বাস অনেকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এ সুসংবাদের সঙ্গে আরেকটি আনন্দের খবরও মেলে। তামিম ইকবালের পুত্র সন্তান হয়েছে। এ খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গে সবার মুখে শোনা যায়, বাংলাদেশ দল কী তামিমের ছেলেকে জয় উপহার দিতে পারবে? তা জয় উপহার দেয়া হয়ে গেল। টস জিতে এবার আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে পিচে ঘাস ছিল। তাই আগে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন মাশরাফি। এবার ঘাসের আধিক্য পিচে একেবারেই কম। ব্যাটিং করতে সুবিধা হবে। তাই আগে ব্যাটিংই নেন মাশরাফি। তাতে সাফল্যও মিলে যায়। সাব্বিরের সঙ্গে সাকিব আল হাসান (৩২) ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (২৩*) ব্যাটিং নৈপুণ্য দেখিয়ে দেন। তবে শুরুতেই ধস নেমে গিয়েছিল! রানের খাতা খোলার আগেই এলবিডব্লিউ হয়ে যান মোহাম্মদ মিঠুন। ২ রান যোগ হতেই নুয়ান কুলাসেকারার বলে মিডঅফে ম্যাথুসের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরলেন সৌম্য সরকার। বাংলাদেশও পড়ে যায় বিপাকে। সেই বিপাক মুহূর্তেই দূর করে দিতে চান সাব্বির। কুলাসেকারার করা চতুর্থ ওভারে ১৮ রান নিয়ে নিলেন। টানা চতুর্থ বলে চার-ছক্কা, চার-চার হাঁকালেন। বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিলেন সাব্বির। কিন্তু পরের ওভারেই ঘটল অঘটন! ম্যাথুসের করা বলটি শর্ট কাভারে ঠেলে দিয়েই রান নিতে দৌড়ালেন। একবার ফিরে আসতে চেয়ে আবার দৌড়ালেন। অন্য প্রান্তে থাকা সাব্বির নিজের স্থানেই থাকলেন। ততক্ষণে ম্যাথুস নিজেই দৌড়ে এসে মুশফিককে (৪) রান আউট করে দিলেন। ২৬ রানেই বাংলাদেশের ৩ উইকেটের পতন ঘটে গেল। বিপত্তির গন্ধ আবার মিলল। সাব্বির দমে যাওয়ার পাত্র নন। প্রতিপক্ষ যে দলই হোক, বোলার যেই হন না কেন; সাব্বিরের হাত সবসময় খোলা থাকে। হাত যেন বাউন্ডারি হাঁকাতে শুধু চুলকায়! সাব্বির তাতে সফলও। জানুয়ারি থেকে ব্যাট হাতে জৌলুস ছড়িয়েই যাচ্ছেন। মালিঙ্গার পরিবর্তে খেলতে নামা থিসারা পেরেরার করা ষষ্ঠ ওভারে আবারও ধুন্ধুমার ব্যাটিং করেন সাব্বির। তৃতীয় থেকে পঞ্চম বল পর্যন্ত টানা তিনটি চার মারেন। তার সঙ্গে এগিয়ে যেতে থাকেন টানা আট টি২০ ম্যাচে ব্যর্থ হওয়া সাকিব। পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ ৪১ রান স্কোরবোর্ডে যুক্ত করে। এর মধ্যে সাব্বিরই ১৯ বলে ৩৫ রান যোগ করে ফেলেন। সাব্বিরের এ ইনিংসটি আফতাব আহমেদকেও স্মরণ করিয়ে দেয়। ২০০৭ সালের টি২০ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জেতা ম্যাচে প্রথম ৬ ওভারে ৩৬ রান করেছিলেন আফতাব। যা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে প্রথম ৬ ওভারে সর্বোচ্চ রান করার রেকর্ড। সাব্বির আফতাবকে ছাড়িয়ে যেতে না পারলেও যথাসময়ে হাল ধরেছেন। দলের স্কোরবোর্ডে যখন ৬৭ রান যোগ হয় এমন সময়ে শেহান জয়াসুরিয়ার বলে ছক্কা হাঁকিয়ে অর্ধশতক পূরণ করেন সাব্বির। ৩৮ বলেই ৫২ রান হয়। যা টি২০তে সাব্বিরের সর্বোচ্চ স্কোরও হয়ে যায়। ২০১৫ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে অপরাজিত ৫১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সাব্বির। রবিবারের আগ পর্যন্ত তা সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর ছিল। সেই স্কোরকেও ছাপিয়ে গেছেন সাব্বির। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নতুন রূপে যেন আবির্ভূত হলেন সাব্বির। কিছুক্ষণ ঝিমিয়ে থাকেন। যখন বাউন্ডারি হাকান, এক ওভারে টানা তিন-চারটি বাউন্ডারি মেরে দেন। ১২তম ওভারে ব্যাট পরিবর্তন করে নতুন ব্যাট নেন সাব্বির। সেই ব্যাট যেন সাব্বিরের ভাগ্যে নতুন পালক যুক্ত করে দেয়। অর্ধশতক করার ওভারে (১৩তম ওভারের প্রথম তিন বলে) ছক্কা-চার-চার মারেন। ২৬ রানে ৩ উইকেট হারানো দলকে শুধু বিপদ থেকেই মুক্ত করেননি সাব্বির, হু হু করে স্কোরবোর্ডে রান যুক্ত করেন। ১৫ ওভারেই ৯৭ রান স্কোরবোর্ডে যোগ হয়ে যায়। অবশেষে ১৬ ওভারের শেষ বলে গিয়ে চামিরাকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে জয়াসুরিয়ার হাতে ধরা পড়েন সাব্বির। আউট হওয়ার আগে বাংলাদেশকে ১০৮ রানে রেখে যান। নিজে করে যান ৫৪ বলে ১০ চার ও ৩ ছক্কায় ৮০ রান। আর ৯টি রান করলে রবিবার ছেলের বাবা হওয়া তামিম ইকবালের করা অপরাজিত ৮৮ রানকে টপকাতে পারতেন। তাহলে টি২০তে এক ইনিংসে বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান সাব্বিরেরই থাকত। কিন্তু তা করতে পারলেন না। তবে এ হার্টহিটার ব্যাটসম্যান যে ব্যাটিং করলেন, তা পুরো দলকেই উদ্দীপ্ত করে তুলল। আউট হওয়ার আগে সাকিবের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ৮২ রানের জুটিও গড়েন সাব্বির। চতুর্থ উইকেটে যা বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি। এর আগে গতবছর এপ্রিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে সাব্বির-সাকিবই ১০৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছিলেন। যা চতুর্থ উইকেটে সর্বোচ্চ জুটি ছিল। সেই ম্যাচেই সাব্বির এর আগে সর্বোচ্চ স্কোর করেছিলেন। সাব্বিরের ব্যাটিংয়ে প্রেরণা নিয়ে সাকিবও এদিন জ্বলে উঠলেন। ৩৪ বলে ৩২ রান করলেন। আট ম্যাচ পর ৩০ রানের ঘরে পৌঁছাতে পারলেন সাকিব। ব্যাটিং নৈপুণ্যে ফিরলেন। ১২৩ রানে সাকিবের আউটের পর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ আবারও দেখান ব্যাটিং তা-ব। ততক্ষণে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বোচ্চ রান স্কোরবোর্ডে জমা করে ফেলে বাংলাদেশ। এর আগে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে ১২০ রান করতে পেরেছিল বাংলাদেশ। এবার তা থেকে অনেক দূর এগিয়ে যায়। নুরুল হাসান (২) আবারও ব্যর্থ হন। কিন্তু মাহমুদুল্লাহ ঠিকই ঝলক দেখাতে থাকেন। শেষ বলে রান নিতে গিয়ে মাশরাফি বিন মর্তুজা (২) রান আউট হন। মাহমুদুল্লাহ অপরাজিতই থাকেন। ১২ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ২৩ রান করেন। সাব্বিরের পর সাকিবের ব্যাটিং নৈপুণ্য দেখার মিলে। শেষে গিয়ে মাহমুদুল্লাহর দাপটে ১৪৭ রান করে বাংলাদেশ। শেষ ৫ ওভারে ৫০ রান যুক্ত করে বাংলাদেশ। যে দলটি আরব আমিরাতের বিপক্ষেও ব্যাটিং দুর্ভিক্ষের শিকার হয়, তারা লঙ্কানদের বিপক্ষে ১৫০ রানের কাছে চলে যায়। তা আসলে সম্ভব হয় সাব্বিরের দাপটেই! আর সাব্বিরের জাদুময় ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কানরাও কাঁপতে থাকে। এ কাঁপন হার দিয়েই শেষ হয়। এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চারটি টি২০ খেলে বাংলাদেশ। চারটিতেই হারে। তবে ২০১৪ সালে দুই ম্যাচের টি২০ সিরিজের দুটি ম্যাচেই যে জয়ের আশা থাকার পরও শেষ বলে গিয়ে হারের ক্ষত যুক্ত হয়, কষ্টে পুড়ে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা, এবার সাব্বিরের ব্যাটিং জাদুতে সেই কষ্ট যেন মিলিয়ে যায়। সাব্বিরের ব্যাটিং তা-বে শ্রীলঙ্কাকে চূর্ণবিচূর্ণ করে দিল বাংলাদেশ। টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে জিম্বাবুইয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তানের পর শ্রীলঙ্কাকেও হারানোর স্বাদ পেল বাংলাদেশ।
×