ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাগমারায় মনোনয়ন যুদ্ধে জঙ্গী ও চরমপন্থীরা!

প্রকাশিত: ০৪:১০, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

বাগমারায় মনোনয়ন  যুদ্ধে জঙ্গী ও  চরমপন্থীরা!

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার পূর্বাঞ্চলের পাঁচটি ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়ন পেতে এবার মাঠে নেমেছে ডজনখানেক জেএমবি ও চরমপন্থী সদস্য। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি থেকে দলীয় মনোনয়ন নিতে তৎপরতা শুরু করেছেন তারা। পুলিশের তালিকাভুক্ত এসব জেএমবি ও চরমপন্থী সদস্যের অনেকেই ইতোমধ্যে দলীয় প্রধান ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ নিজের ছবি দিয়ে পোস্টার, ফেস্টুন ও ব্যানার টাঙিয়েছেন এলাকায়। এদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। জামিনে থেকে তারা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে শোডাউন ছাড়াও বিভিন্নভাবে প্রচার চালাচ্ছেন। উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত রাজশাহীর সর্ববৃহৎ এই উপজেলার পূর্বাঞ্চলে রয়েছে গোয়ালকান্দি, হামিরকুৎসা, যোগীপাড়া, ঝিকড়া ও মাড়িয়া ইউনিয়ন। ১৯৯৬ সালে যোগীপাড়ার তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যানকে জবাই করে আত্মপ্রকাশ ঘটে নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন সর্বহারা পার্টির। আর ২০০৪ সালে গোয়ালকান্দির পলাশী গ্রামে এক যুবককে জবাই করে আত্মপ্রকাশ করে সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলা ভাইয়ের নেতৃত্বে জঙ্গী সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি)। তবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এই ইউনিয়নগুলো জেএমবি ও চরমপন্থীমুক্ত হয়। স্থানীয় সূত্রমতে, উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিএনপির মনোনয়ন চান জঙ্গী সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) এক সময়ের শীর্ষ নেতা সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলাভাইয়ের অন্যতম সহযোগী মামুনুর রশিদ ওরফে মামুন মুহুরি। পুলিশের তালিকাভুক্ত এই জেএমবি ক্যাডারের বিরুদ্ধে হত্যা ও সন্ত্রাসী কার্মকা-ের প্রায় ডজনখানেক মামলা রয়েছে। একাধিকবার তিনি গ্রেফতারও হয়েছিলেন। ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল মামুন মুহুরির নিজ গ্রাম পলাশীতে বাংলাভাইয়ের নেতৃত্বে একজনকে জবাই করে হত্যার মাধ্যমে জেএমবির আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল। সে সময় মামুন মুহুরি ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক থাকলেও জেএমবিতে যোগ দিয়ে বাংলাভাইয়ের অন্যতম সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। ছাড়াও এ ইউনিয়নে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন চান উপজেলার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ আলী এবং জামায়াত নেতা ও বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ খান। অপরদিকে, এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চান আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা আব্বাস আলী, আব্দুস সালাম ও আলমগীর হোসেন। এদের মধ্যে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর জাতীয় পার্টি থেকে যোগ দেয়া আলমগীর হোসেনের নাম চরমপন্থী সংগঠন সর্বহারা দলের সদস্য হিসেবে পুলিশের তালিকায় রয়েছে। তিনি বর্তমানে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিও। হামিরকুৎসা ইউনিয়নে এবার জাতীয় পার্টি থেকে দলীয় মনোনয়ন চান বাংলাভাইয়ের আরেক অন্যতম সহযোগী মাহাতাব উদ্দিন খামারু।
×