ভারতের মহারাষ্ট্রে থানের কাসারওয়াদাবলি গ্রামে নিজের পরিবারের ১৪ জনকে খুন করে এক ব্যক্তি আত্মঘাতী হয়েছে বলে খবর দিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম। রবিবার ভোরে এক বাড়ি থেকে ওই ১৫ জনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এক নারীকে মারাত্মক আহতাবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
পরিবারের আত্মহত্যাকারী হাসান আনোয়ার ওয়ারেকরকে (৩৫) খুনী বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। খুন হওয়া ১৪ জনের মধ্যে সাতটি শিশু ও ছয়জন নারী। নিহতদের মধ্যে হাসানের স্ত্রী, তার তিন বোন, তাদের সন্তানেরা ও মা-বাবাও রয়েছেন। সবাইকে বিষ বা চেতনানাশক খাইয়ে পরে গলা কেটে হত্যা করা হয় বলে পুলিশের ধারণা। হাতে ছুরি ধরা হাসানের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় ওই বাড়ি থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে। থানে পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আশুতোষ দুমরে জানান, পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। শনিবার দিবাগত রাত আনুমানিক আড়াইটা থেকে তিনটার মধ্যে হাসান ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে তিনটি ঘরে এই হত্যাকা- চালায় এবং পরে নিজেও গলায় ফাঁস দিয়ে আহত্মহত্যা করে। ভাগ্যক্রমে হাসানের বোন সুবিয়া গলায় মারাত্মক ক্ষত নিয়েও বেঁচে যান এবং তার চিৎকার শুনেই তার স্বামী বাইরে থেকে দরজা ভেঙে ঢোকেন এবং পরে পুলিশে খবর দেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসান একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চার্টার্ড এ্যাকাউন্টেন্ট হিসেবে কাজ করতেন। তিনিই পুরো পরিবার চালাতেন। ঠিক কী ঘটেছিল, তা জানতে হাসানের বোনের জবানবন্দী রেকর্ড করা হবে বলে আশুতোষ দুমরে জানান।
