ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

খুলনায় বাঁধ ভেঙ্গে লোনা জলে প্লাবিত হাজার বিঘা বোরো

প্রকাশিত: ০৭:৩২, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

খুলনায় বাঁধ ভেঙ্গে লোনা জলে প্লাবিত হাজার বিঘা বোরো

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২৬ নম্বর পোল্ডারের জিয়েলতলা সøুইস গেটের বিকল্প বাঁধ ভেঙ্গে সাতটি বিলের প্রায় এক হাজার বিঘা জমি লোনা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে সদ্য চাষকৃত বোরো ধান ও সবজি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গত চার-পাঁচ দিন ধরে দুইবার জোয়ারের পানিতে বিল এলাকা প্লাবিত হলেও বাঁধ আটকানোর জন্য সরকারী পর্যায়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। জানা গেছে, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার শোভনা ইউনিয়নের ভদ্রা নদীর জিয়েলতলা ৩ ভেন্টের সøুইস গেটটির সংস্কার কাজ চলছে। গেটটি সংস্কারের জন্য নদীর মুখে বিকল্প বাঁধ দেয়া হয়েছে। কয়েক দিন আগে সেই বাঁধ জোয়ারের অতিরিক্ত পানির চাপে ভেঙ্গে যায়। সøুইস গেটটির কপাট না থাকায় জোয়ারের পানি মুহূর্তের মধ্যে বিল এলাকায় ঢুকে পড়ে। গত চার-পাঁচ দিন ধরে লোনা পানি ঢুকে শিবপুর, বালুইঝাকি, জিয়েলতলা, বলাবুনিয়া, ধোপাকান্দর, মমমল, নিমের শীষ বিলের প্রায় এক হাজার বিঘা জমির বোরো ধান ও সবজি ক্ষেত প্লাবিত হয়েছে। এলাকাবাসী বার বার বলার পরও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার বা পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বাঁধ আটকানোর জন্য কোন চেষ্টা করা হয়নি। শিবপুর গ্রামের দলিল উদ্দিন হাওলাদার (৬৮) বলেন, ৪-৫ দিন আগে বাঁধটি ভেঙ্গে গেছে। কিন্তু ওয়াবদার লোক (পানি উন্নয়ন বোর্ড) বাঁধটি আটকায়নি। প্রতিদিন বিলে লোনা পানি ঢুকছে। বালুইঝাকি গ্রামের মহাদেব মিস্ত্রী ক্ষোভ ও হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, বোরো ধানের গোড়ায় লোনা পানি আটকে আছে। শীঘ্রই পানি নামানোর ব্যবস্থা না হলে ধানগাছ মারা যাবে। কৃষকরা চরম আর্থিক ক্ষতির শিকার হবেন। ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, অধিকাংশ বোরো ধানের চারা লোনা পানি সহ্য করতে পারে না। নির্দিষ্ট মাত্রার লোনার বেশি হলেই ধানগাছ মারা যায়। ওই সকল বিলে সাধারণত লোনা সহনশীল ধান আবাদ হয় না। তাই লোনায় বোরো ধান অতি দ্রুত মারা যেতে পারে। শোভনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার আব্দুল গণি বলেন, গত ৪-৫ দিন আগে বাঁধটি ভেঙ্গে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে বলার পরও তারা কেউ বাঁধ আটকানোর চেষ্টা করেনি। তাই বাধ্য হয়ে তিনি (চেয়ারম্যান) বাঁশ, দড়ি কিনে লোক লাগিয়ে বাঁধ আটকানোর চেষ্টা করছেন। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২৬ নম্বর পোল্ডারের এসও (সেকশন অফিসার) মোঃ আব্দুস সোবহান বলেন, মাঘী পূর্ণিমার জোয়ারের পানির চাপে বাঁধটি ভেঙ্গে গেছে। বিলের পানি নেমে না যাওয়া পর্যন্ত বাঁধ আটকানো যাবে না। পানি নেমে গেলে বাঁধ আটকানোর কাজ করা হবে বলে তিনি জানান।
×