ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কেমন ফার্স্ট লেডি হবেন মেলানিয়া ট্রাম্প

প্রকাশিত: ০৩:৪৪, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

কেমন ফার্স্ট লেডি হবেন  মেলানিয়া ট্রাম্প

এবার ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ১৮২৫ সালের পর মেলানিয়া ট্রাম্পই হবেন বিদেশী বংশোদ্ভূত প্রথম ফার্স্ট লেডি। ট্রাম্পের অভিবাসনবিরোধী নীতির সঙ্গে মেলানিয়ার বর্তমান অবস্থা আপাত বিরোধী বলেই অনেকের মতো। ১৮২৫ সালে নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন কুইনসি এ্যামাসের স্ত্রী ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত লুইসা এ্যাডামস ছিলেন প্রথম বিদেশী বংশোদ্ভূত ফার্স্টলেডি। কেমন ফার্স্ট লেডি হবেন মেলানিয়া। ১৯৯৯ সালে করা এই প্রশ্নটিই ১৬ বছর পর এখন গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্নে পরিণত হয়েছে। ১৯৯৯ সালে রিফর্ম পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন ট্রাম্প। ওই সময় নিউইয়র্ক টাইমস মেলানিয়াকে জিজ্ঞাসা করেছিল, তিনি কেমন ফার্স্ট লেডি হবেন? তখন সম্ভাবনা শূন্য হলেও বর্তমানে রিপাবলিকান দল থেকে প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী ট্রাম্প প্রতিদ্বন্দ্বীদের এগিয়ে আছেন। চারটি অঙ্গরাজ্যের ভোটে টানা তিনটিতে জিতেছেন ট্রাম্প। আর তাই ফার্স্ট লেডি হিসেবে কেমন হবেন? নতুন করে ফের সেই প্রশ্নে মেলানিয়ার জবাব, আমার আচরণ হবে খুবই প্রথাগত। অনেকটা বেটি ফোর্ড অথবা জ্যাকি কেনেডির মতো। আমি সবসময় ট্রাম্পকে সমর্থন করব। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার সমাবেশগুলোতে মেলানিয়াকে এভাবেই দেখা যাচ্ছে। স্বামীর পাশে শান্ত ও চুপচাপ হয়েই দাঁড়িয়ে থাকছেন তিনি অথবা স্বামীর সমর্থনে কথা বলছেন। মেলানিয়া নির্বাচনী প্রচারে সমবেত জনতার উদ্দেশে বলছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প সবচেয়ে সেরা প্রেসিডেন্ট হবেন। ফার্স্ট লেডিরা প্রধানত দুই ধরনের হয়ে থাকেন : প্রথম, যারা প্রথাগতভাবে নিয়ম রক্ষার্থে স্বামীর পাশে দাঁড়িয়ে থাকেন এবং সক্রিয়ভাবে কিছু করেন না। দ্বিতীয়, যারা ন্যান্সি রিগ্যান, হিলারি ক্লিনটন ও এলানর রুজভেল্টের মতো, তারা তাদের উপস্থিতি শুধু হোয়াইট হাউসেই নয়, সরকারের মধ্যেও ছিল। তাই অনেকে মনে করছেন, মেলানিয়া প্রথাগত ফার্স্ট লেডি ক্যাটাগরিতেই পড়বেন। একজন প্রতিরূপ অভিবাসী হিসেবে মেলানিয়াকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, মেক্সিকানদের অবৈধ বলে ট্রাম্পের কড়া আক্রমণে তিনি ক্ষুব্ধ কিনা। মেলানিয়া এর উত্তরে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে কাগজপত্রহীনভাবে বাস করা যে অভিবাসীদের ট্রাম্প তাড়াতে চেয়েছেন তাদের সঙ্গে তার অবস্থানটা মোটেও এক নয়। তিনি বলেন, আমি আইন মেনে চলি। আমি কাগজপত্র ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে বাস করার কথা কল্পনাও করতে পারি না। যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি ও মার্কিন নাগরিকত্ব পাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি তার কাজের ভিসা নিয়মিত নবায়ন করতেন। সেøাভেনিয়া বংশোদ্ভূত ৪৫ বছর বয়সী মেলানিয়া মডেল ছিলেন এবং তিনি ট্রাম্পের তৃতীয় স্ত্রী। তাদের নয় বছর বয়সী পুত্রের নাম ব্যারন। ১৯৭০ সালে সেøাভেনিয়ার ছোট এক শহর সেভনিকায় তার জন্ম। পরে মিলান ও প্যারিসে মডেল হিসেবে ক্যারিয়ার গড়েন তিনি। পাঁচটি ভাষায় কথা বলতে পারেন। ১৯৯৬ সালে মেলানিয়া নিউইয়র্কে পাড়ি জমান। দুই বছর পর কিটক্যাট ক্লাবের একটি পার্টিতে তার থেকে ২৪ বছরের বড় ট্রাম্পের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ওই সময় ট্রাম্পের সঙ্গে তার দ্বিতীয় স্ত্রী মার্লা ম্যাপলেসের বিচ্ছেদ হয়েছে। ২০০৬ সালে মেলানিয়া ও ট্রাম্প বিয়ে করেন। তাদের বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন হিলারি ও বিল ক্লিন্টন। ট্রাম্পের প্রথম স্ত্রী ইভানা ছিলেন চেক বংমোদ্ভূত। এদিকে স্বামীর নির্বাচনী প্রচারে নেমেও নিজের কথা সুস্পষ্ট যুক্তিতে বলছেন মেলানিয়া? ট্রাম্প যেখানে প্রেসিডেন্ট হলে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম অভিবাসন প্রত্যাশীদের ঢুকতে দেবেন না বলছেন, সেখানে মেলানিয়ার মত হচ্ছে, কেউ বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে চাইলে সে সুযোগ রাখা উচিত? -ডেইলি মেইল
×