ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

একে মোহাম্মাদ আলী শিকদার

উলফাতে দেউলিয়া বিএনপি

প্রকাশিত: ০৩:৪১, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

উলফাতে দেউলিয়া বিএনপি

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেভেন সিস্টার নামের রাজ্যগুলোর মধ্যে সর্ববৃহৎ এবং ভারতের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য আসাম। লোকসংখ্যা তিন কোটির উপরে। আর আয়তন বাংলাদেশের অর্ধেকের চেয়েও কিছুটা বেশি। এই আসাম রাজ্যের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠনের নাম উলফা (টখঋঅ) বা ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম। তাদের উদ্দেশ্য সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে আসামকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে স্বাধীন করা। ১৯৭৯ সালে এই সশস্ত্র সংগঠনটির জন্ম হয়। অরবিন্দ রাজখোয়া চেয়ারম্যান এবং অনুপ চেটিয়া সাধারণ সম্পাদক হন। শুরু হয় উলফার সশস্ত্র সংগ্রাম। সামরিক প্রধান করা হয় পরেশ বড়ুয়াকে। ২০০৪ সালে দশ ট্রাক অস্ত্র উলফার জন্য যাওয়ার পথে চট্টগ্রামের ইউরিয়া সার কারখানার জেটিতে জাহাজ থেকে খালাস করার সময় এই পরেশ বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন। রাজখোয়া, অনুপ চেটিয়াসহ উলফার অন্য বড় নেতারা এখন ভারতের হাতে থাকলেও পরেশ বড়ুয়া এখনও পলাতক। ফাদার অব উলফা এবং তাত্ত্বিক নেতা ভীমকান্ত বুড়া গোহাইন মারা গেছেন। বিএনপির বর্তমান রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের সঙ্গে উলফার সম্পর্ক কোথায় তা বলার আগে উপমহাদেশের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের একটু পুনরাবৃত্তি প্রয়োজন। তাতে প্রসঙ্গে উল্লিখিত ইস্যুর সূত্রপাত এবং তার সঙ্গে বিএনপির সংযোগ বুঝতে সুবিধা হবে। ১৯৪৭ সালে উপমহাদেশ ভাগ হয়ে দুটি আলাদা রাষ্ট্র হলো এই কারণে যে, হিন্দু আর মুসলমান এক রাষ্ট্রে বসবাস করতে পারবে না। এই অবাস্তব তত্ত্বের পরিণতিতে সাতচল্লিশ সালে ভাগাভাগির সময়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামায় উভয় সম্প্রদায়ের প্রায় বিশ লাখ মানুষের প্রাণ যায় এবং আরও প্রায় দেড় কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। তারপরও সব মুসলমান পাকিস্তানে আর সব হিন্দু ভারতে তা কিন্তু হয়নি, হওয়ার নয়। মাঝখান থেকে এত রক্তক্ষরণের ফলে উভয় সম্প্রদায়ের মানুষের মনে যে ক্ষতের সৃষ্টি হলো তার লেগেসির ধারাবাহিকতায় অর্থাৎ চরম সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে এখনও রক্তক্ষরণ অব্যাহত আছে। নতুন রূপে এই রক্তক্ষরণের বীভৎসতা একবিংশ শতাব্দির সভ্যতাকে পরিহাস করছে। লেগেসির সূত্র ধরেই ইসলামের নামে চরম ধর্মান্ধ উগ্র জঙ্গীবাদের সৃষ্টি হয়েছে যা এখন শুধু উপমহাদেশ নয়, সারাবিশ্বের জন্য হুমকি। একই কারণে ভারতের অভ্যন্তরেও গত শতকের আশি ও নব্বই দশকে চরম হিন্দুত্ববাদের উত্থান ঘটে। যার চরম বহির্প্রকাশ ঘটে ১৯৯২ সালে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সেবকদের দ্বারা ঐতিহাসিক বাবরী মসজিদ ভাঙ্গার মাধ্যমে। এটা ভারতের জন্য যে কত বড় ভয়ানক ক্ষতির কারণ হয়েছে তা এখন ভারতের বড় বড় প-িত ও সুধীগণ বুঝতে পারছেন। তবে দুই সম্প্রদায়ের নামে উল্লিখিত উগ্রবাদের মধ্যে একটা মৌলিক পার্থক্য আছে। হিন্দু মৌলবাদের প্রভাব ভারতের অভ্যন্তরে সীমাবদ্ধ। কিন্তু পাকিস্তান রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় সৃষ্ট ইসলামিক জিহাদী ধর্মান্ধ জঙ্গীগোষ্ঠীর তৎপরতা পুরো উপমহাদেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাকিস্তান জন্মের শুরু থেকে, বিশেষ করে প্রথম সামরিক শাসক আইয়ুব খানের মস্তিষ্কের ফসল চরম সাম্প্রদায়িক ও যুদ্ধংদেহী রাষ্ট্রীয় দর্শন গ্রহণ করে। রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে ঘোষণা করে হিন্দু ভারত পাকিস্তানের চিরশত্রু এবং পাকিস্তানের অস্তিত্বের জন্যই ভারতকে ধ্বংস করতে হবে। ফলে উবংঃৎড়ু ওহফরধ হয়ে ওঠে পাকিস্তানের মূল রাষ্ট্রীয় দর্শন। উবংঃৎড়ু ওহফরধ তত্ত্ব বাস্তবায়নের জন্য গত শতকের পঞ্চাশ ও ষাটের দশক থেকে পাকিস্তান ভারতে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর জাতিগত দ্বন্দ্ব ও অসন্তোষের সুযোগে সেখানকার ক্ষুব্ধ গোষ্ঠীকে উস্কে দিয়ে এবং উত্তেজিত করে সশস্ত্র বিদ্রোহের পৃষ্ঠপোষকতা ও সমর্থন দেয়ার পরিকল্পনা করে। পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের তত্ত্বাবধানে ১৯৫৬ সালে ফিজো নামক এক নাগা নেতার নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রামে তৈরি হয় সশস্ত্র প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। ১৯৬০ সালে লালডেঙ্গার নেতৃত্বে তৈরি হয় মিজোরামের সশস্ত্র বিদ্রোহী গ্রুপ, মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট (এমএনএফ)। পাকিস্তানের অর্থ, অস্ত্র গোলাবারুদ, আশ্রয় ও প্রশিক্ষণে এভাবেই ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শুরু হয় সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন। ভারতের ভৌগোলিক অখ-তা ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ভয়ানক হুমকির সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর সরকারের সময় সব বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বিতাড়িত হওয়ার ফলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে শান্তি ফিরে আসে। কিন্তু ১৯৭৫ সালের পর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে আইয়ুব খানের দর্শনে পাকিস্তানপন্থী রাষ্ট্রীয় নীতি গ্রহণ করেন এবং হিন্দু ভারতের বিরুদ্ধে এবার পাকিস্তান ও বাংলাদেশ একসঙ্গে পুনরায় ভারতের সব উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে সশস্ত্র বিদ্রোহের অর্থ, অস্ত্র, প্রশিক্ষণ দিয়ে ভারতের জন্য মহাদুর্যোগের সৃষ্টি করেন। জিয়ার পর এরশাদ এবং খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপিও এই ইস্যুতে জিয়াউর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে। কিন্তু ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠিত হলে আবার অবস্থার পরিবর্তন হয়। উলফার দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা অনুপ চেটিয়াসহ আরও দুইজন বড় নেতা বাবুল শর্মা ও লক্ষ্মী প্রসাদ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গ্রেফতার হয়। এই তিনজনসহ উলফার আরও বড় বড় নেতা দীর্ঘদিন ধরে জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়ার সরকারের আনুকূল্যে বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে বসতবাড়ি, ব্যবসা-বাণিজ্য চালাত এবং ভারতের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামের নেতৃত্ব দিত। অনুপ চেটিয়া ঢাকায় গ্রেফতার হওয়ার পর উলফার বাকি নেতারা ওই সময়ে (১৯৯৬-২০০১) পালিয়ে যায়। বিএনপি তখন পার্লামেন্টের বিরোধী দল হিসেবে উলফাসহ ভারতের অন্যান্য সশস্ত্র গ্রুপকে স্বাধীনতাকামী বলে আখ্যায়িত করে এবং তাদের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন দেয়ার দাবি ওঠায়। বিএনপির রাজনীতি তখন ক্রমশ আরও চরম সাম্প্রদায়িক রূপ ধারণ করে। ১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তিচুক্তির পর ঘোষণা দেয় ফেনী পর্যন্ত ভারত হয়ে গেছে। ২০০১ সালের নির্বাচনের প্রচারে ধুয়া তোলে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে মসজিদে উলুধ্বনি শোনা যাবে এবং বাংলাদেশ ভারতের কাছে বিক্রি হয়ে যাবে। ২০০১ সালের অক্টোবরের নির্বাচনে একাই পার্লামেন্টের দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জয়ী হওয়ার পরও বিএনপি জামায়াতকে নিয়ে সরকার গঠন করে। যুদ্ধাপরাধী নিজামী, মুজাহিদ মন্ত্রী হয়। এবার জামায়াত-বিএনপি সরকার পূর্বের যে কোন সময়ের চেয়ে আরও ব্যাপকভাবে ভারতে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলো, বিশেষ করে উলফার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। পাকিস্তানের আইএসআই আর বাংলাদেশের জামায়াত-বিএনপি সরকারের সহায়তা ও বদান্যতায় পার্বত্য চট্টগ্রাম, নেত্রকোনা এবং হবিগঞ্জের পাহাড়ী ও বনাঞ্চল হয়ে ওঠে উলফার অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র। পাকিস্তানের আইএসআই সব কিছুর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির সঙ্গে উলফার এই সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আসামের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত মুসলমানদের সংগঠন ‘দ্য মুসলিম ইউনাইটেড লিবারেশন টাইগারস অব অসম (এমইউএলটিএ) এবং ‘দ্য মুসলিম ইউনাইটেড লিংকস ফোর্স অব অসম (এমইউএলএফএ) বা মুলফা নামের এই দুই সংগঠনের সঙ্গে বাংলাদেশের জামায়াত ও কয়েকটি জঙ্গীগোষ্ঠীর আদর্শগত সম্পর্কের সূত্র ধরে সম্মিলিতভাবে তারা এই ভূমিকা পালন করে। পাকিস্তানের তত্ত্বাবধানে সমরাস্ত্র ও বিস্ফোরক চালান বাংলাদেশের ওপর দিয়ে উলফার জন্য অবাধে পাচারের নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়। এই রকম একটি বিরাট চালান, ১০ ট্রাক অস্ত্র ২০০৪ সালের এপ্রিল মাসে চট্টগ্রামে দৈবক্রমে ধরা পড়ে। হাটে হাঁড়ি ভেঙ্গে যায়। বিশ্বব্যাপী শুরু হয় হইচই। বাংলাদেশের সচেতন মানুষ হতভম্ব। বিএনপি সরকার কর্তৃক উলফাকে সহায়তার খবর মানুষ জানলেও অন্য দেশের সুবিধার্থে নিজ দেশকে এতবড় বিপদের মধ্যে কোন সরকার ফেলতে পারে তা ছিল মানুষের চিন্তার বাইরে। পাকিস্তানের স্ট্র্যাটেজিক স্বার্থ রক্ষার জন্য জামায়াত-বিএনপি সরকার বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও জাতীয় স্বার্থ কিভাবে জলাঞ্জলি দিতে পারে তা আরেকবার মানুষ দেখতে পায়। তখন বিএনপি সরকার সবকিছু ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এলে একে একে সবকিছু উন্মোচিত হতে শুরু করে। ২০১৪ সালে ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান মামলার রায় হয়েছে। আদালতে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিভাগের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা এবং জামায়াত-বিএনপি সরকারের মন্ত্রীসহ কয়েকজনের ফাঁসির আদেশ হয়েছে। সুতরাং উলফাকে কবে থেকে এবং কেন বিএনপি সহায়তা দেয় তা এখন ভারত বাংলাদেশের সব মানুষের কাছেই পরিষ্কার। কিন্তু ২০১৫ সালে এসে কি দেখলাম বা এখন কি দেখছি। বিএনপির বুদ্ধিজীবীরাই এখন বিএনপিকে দিশাহারা, পথহারা বলছে। এর জন্য অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে চরম হঠকারী সিদ্ধান্ত এবং জামায়াতের সঙ্গকেই দায়ী করছেন বেশিরভাগ মানুষ। কিন্তু ভারতের কাছে বিএনপি এত দেউলিয়াত্বের পরিচয় দিচ্ছে কেন? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই উলফা সম্পর্কে এত কিছু বের করা। পাকিস্তানের সঙ্গে এক হয়ে উলফাকে স্বাধীনতাকামী হিসেবে প্রকাশ্যে সমর্থন, ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর সঙ্গে সময় নিয়েও দেখা না করার পর আবার যখন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে দেখা করার জন্য খালেদা জিয়া হন্যে হয়ে সোনারগাঁও হোটেলে ছুটে যান, তখন বিএনপির রাজনীতির চরম দেউলিয়াত্বের পরিচয়ই ফুটে ওঠে। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে লজ্জিত হতে হয়, কেননা শত হলেও তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তারপর আগ বাড়িয়ে যখন বলেন, বিএনপি আর কোনদিন ভারতবিরোধী রাজনীতি করবে না, তখন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও স্বাধীন দেশের একটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব স্বকীয়তা বলতে আর কিছু থাকে না। এখানেই শেষ নয়। ২০১৫ সালের জুন মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকায় সফরে এলে খালেদা জিয়া বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি বিষয়ে মোদির কাছে যেভাবে নালিশ উত্থাপন করেন, তাতে বাংলাদেশের মর্যাদা প্রশ্নবিদ্ধ হয়। কিন্তু এত করেও বিএনপির কিছু লাভ হয়েছে বলে মনে হয় না। শোনা যায়, নরেন্দ্র মোদি খালেদা জিয়াকে তিনটি প্রশ্ন করেছিলেন। এক. রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর সঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত সাক্ষাত বাতিল করলেন কেন? দুই. ২০০৪ সালের এপ্রিল মাসে চট্টগ্রামে ধরা পড়া ১০ ট্রাক অস্ত্রের চোরাচালান যা উলফার জন্য পাঠানো হচ্ছিল সে বিষয়ে যদি অধিকতর তদন্ত হয় তাহলে বিএনপি তাতে সহায়তা করবে কিনা? তিন. জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের ভবিষ্যত কি? প্রশ্নের উত্তরে খালেদা জিয়া কি বলেছেন তা জানা যায়নি। তবে সবাই যা অনুমান করেন তাতে বিএনপির অসহায়ত্ব ও দেউলিয়াত্বের ছাপই ফুটে ওঠে। লেখক : ভূ-রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক
×