ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকা বার সমিতি নির্বাচন

সভাপতি-জিএস পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা এগিয়ে

প্রকাশিত: ০৯:০৭, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

সভাপতি-জিএস পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা এগিয়ে

কোর্ট রিপোর্টার ॥ ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে (২০১৬-২০১৭ বর্ষ) ২৭ পদের মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২১ পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেল প্রার্থীরা এগিয়ে আছেন। বাকি ছয়টি পদে এগিয়ে আছেন বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেল প্রার্থীরা। রাত দেড়টায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১২ সম্পাদকীয় পদের মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নয়টিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেল এবং তিনটিতে বিএনপি সমর্থিত প্যানেল এগিয়েছিল। এছাড়া ১৫ সদস্য পদের বারোটিতে আওয়ামী লীগ ও তিনটিতে বিএনপি সমর্থিতরা এগিয়েছিল। রাত সোয়া একটায় ভোট গণনার প্রায় শেষ পর্যায়ে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ( আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেল) কাজী নজিবুল্লাহ হিরু বলেছেন, ২১ পদে তাদের প্রার্থীদের বিজয় অনেকটাই নিশ্চিত। ভোট গণনা এক প্রকার শেষ। এর আগে ভোট গনা পর্যবেক্ষণ করে বেরিয়ে যান সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন ও প্রখ্যাত আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান। সভাপতি পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের এ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান মানিক ও সাধারণ সম্পাদক পদে এ্যাডভোকেট আয়ুবুর রহমান এগিয়ে আছেন। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে লড়েছেন যথাক্রমে বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেলের এ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম ও এ্যাডভোকেট আজিজুল ইসলাম খান বাচ্চু। ২৪ ফেব্রুয়ারি দুই দিনব্যাপী নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ২৫ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়। সকাল নয়টা থেকে এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। দুদিনের নির্বাচন শেষে শুক্রবার দুপুর বারোটায় ভোট গণনা শুরু হয়। মোট ১৫ হাজার ৫০ আইনজীবী ভোটারের মধ্যে আট হাজার ১৩৪ আইনজীবী ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। প্রথম দিন বুধবার দুই হাজার ৯৭৫ এবং বৃহস্পতিবার পাঁচ হাজার ১৫৯ আইনজীবী ভোটাধিবার প্রয়োগ করেন। নির্বাচনে মোট ২৭ পদে ৬৫ আইনজীবী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেল ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের মধ্যেই মূল লড়াই হয় নির্বাচনে। তবে সবুজ প্যানেলের অধীনে বিভিন্ন পদে আরও ১০ প্রার্থী ছিলেন। এছাড়াও সাধারণ সম্পাদক পদে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী হোসেন আলী খান হাসানও ছিলেন ভোটের লড়াইয়ে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়া বাকি দশটি সম্পাদকীয় পদের বিপরীতে ২৪ এবং ১৫ সদস্য পদের বিপরীতে ৩৬ প্রার্থী ছিলেন। সাদা প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী গত দুটি নির্বাচনে এবং সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী গতবার বিএনপি প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। গত ২০১৪-১৫ কার্যবর্ষের নির্বাচনে নীল প্যানেল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১৯ পদে এবং ২০১৫-১৬ কার্যবর্ষের নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২০ পদেই জয়লাভ করেন। ২০১৪-১৫ কার্যবর্ষের নির্বাচনে সাদা প্যানেল ২৫ পদের মধ্যে শুধু ছয়টি সদস্য পদে এবং ২০১৫-১৬ কার্যবর্ষের নির্বাচনে সিনিয়র সহ-সভাপতিসহ ৫ পদে জয়ী হয়। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়া সম্পাদকীয় পদে যারা এগিয়ে আছেন তাদের মধ্যে সাদা প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন সহ-সভাপতি পদে আবু বারেক ফরহাদ, সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে আব্দুস সালাম খান, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে শাহাদাত হোসেন ভুইয়া, লাইব্রেরে সম্পাদক পদে আলী আহমেদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে লাকী আক্তার ফ্লোরা, দফতর সম্পাদক পদে আব্দুল হাই মামুন এবং খেলাধুলা সম্পাদক পদে বাহারুল আলম বাহার। নীল প্যানেলের এগিয়ে থাকা প্রার্থীরা হলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট আফরোজা বেগম শেলী, ট্রেজারার পদে আবু বক্কর সিদ্দিকী এবং সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে শফিকুল ইসলাম।
×