ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ক্লিনিকে নবজাতকের মৃত্যু ॥ চিকিৎসকসহ তিনজনকে তলব

প্রকাশিত: ০৭:০৭, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

ক্লিনিকে নবজাতকের  মৃত্যু ॥ চিকিৎসকসহ  তিনজনকে তলব

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ দুর্গাপুরের জননী ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় নবজাতক মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় চিকিৎসকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে আদালত। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক ছানাউল্ল্যাহ এ সমন জারি করেন। বৃহস্পতিবার তা সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়। আগামী ১৪ মার্চ অভিযুক্তদের আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সমন জারি হওয়া তিনজনÑ ক্লিনিকের চিকিৎসক ডাঃ ফয়সাল শাহনেওয়াজ হক, ক্লিনিকের মালিক জেলহাস মাহমুদ ও ম্যানেজার সণ্টু মিয়া। একইসঙ্গে ক্লিনিকের অস্থাবর যাবতীয় সম্পত্তিসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদি জব্দ করে ক্লিনিকটি সিলগালা করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য দুর্গাপুর থানার অফিসের ইনচার্জকে (ওসি) নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরে সার্বিক পর্যালোচনা করে প্রতীয়মাণ হয় যে, জননী ক্লিনিকের কোন বৈধ কাগজপত্র নেই। সেখানে অপারেশন (সিজার) করানোসহ চিকিৎসার কোন পরিবেশ নেই। উপযুক্ত যন্ত্রপাতি ঘাটতিসহ সর্বক্ষণিক চিকিৎসক ও সেবিকার অভাব আছে। সে কারণে ক্লিনিকের মালিক জেলহাস মাহমুদ ক্লিনিকটি সম্পূর্ণরূপে বেআইনীভাবে এবং দি মেডিক্যাল প্র্যাকট্রিস এ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিক এ্যান্ড ল্যাবরেটরিস (রেজুলেশন) অডিন্যান্স ১৯৮২ এর ধারা ৮ এর বিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে পরিচালনা করে আসছেন। সেখানে চিকিৎসার (সিজার) স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ না থাকা সত্ত্বেও ভিকটিমকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। আবার তার পক্ষে ক্লিনিকের ম্যানেজার সণ্টু মিয়া ওই ক্লিনিক পরিচালনায় মালিককে সহযোগিতা করেছেন। ভিকটিম চিকিৎসার জন্য ক্লিনিকে এলে ক্লিনিক মালিক চিকিৎসক ফয়সাল শাহনেওয়াজ হককে ফোন করে ভিকটিমের চিকিৎসার জন্য আহ্বান করেন। চিকিৎসক আসার পরে তারা উভয়ে ভিকটিম ইয়াসমিনকে আলট্রাসনোগ্রাফি করেন। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ভিকটিম ইয়াসমিনের পেটে শিশুর অবস্থা ভাল নয় বলে আত্মীয়-স্বজনদের জানান। পরে ম্যানেজার সণ্টু মিয়ার সহযোগিতায় ইয়াসমিনের সিজার করেন। ফলে নবজাতকটি মারা যায়।
×