ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ইউপি নির্বাচনে

সরকার দলীয় প্রার্থীদের জেতানোর মহাপরিকল্পনা ॥ রিজভী

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

সরকার দলীয় প্রার্থীদের জেতানোর মহাপরিকল্পনা ॥ রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ইউপি নির্বাচনে সরকারদলীয় প্রার্থীদের জেতানোর মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে নির্বাচন কমিশন ভোটকেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য কমিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার বিকেলে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, কী উদ্দেশ্যে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সংখ্যা কমানো ও নির্দেশনা শিথিল করা হচ্ছে, তা সবার কাছে অত্যন্ত সুস্পষ্ট। রিজভী বলেন, তুচ্ছ অজুহাতে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের প্রার্থিতা বাতিল করছে নির্বাচন কমিশন। ইতোমধ্যে ১১৪ জন বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রার্থিতা হারিয়েছেন। এ ধরনের ঘটনা এদেশে নজিরবিহীন। রিজভী বলেন, ভোটারবিহীন সরকার গণতন্ত্রের যে ভগ্নদশা করেছেন তাতে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে বিগত কয়েক বছর ধরে সহযোগিতা করেছে নির্বাচন কমিশন। ইউপি নির্বাচনে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর সংখ্যা এবং নির্দেশনা শিথিল করা সেই সহায়তারই প্রকাশ। সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতিত্ব ও শাসকদলের অনুকূলে ভোটকেন্দ্রের সংঘাতকে উস্কে দিচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, সহ-দফতর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ। বুলেট উপেক্ষা করে মাঠে নামতে হবে- খন্দকার মাহবুব ॥ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষের ভোটাধিকার ফেরাতে এবং বর্তমান সরকারকে বিদায় করতে বিএনপি নেতাকর্মীদের বুলেট উপেক্ষা করে রাস্তায় নামতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধ গণ অন্দোলনের মাধ্যমেই দাবি আদায় করে নিতে হবে। শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে খালেদা জিয়ার মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ‘জাতীয়তাবাদী প্রত্যাগত প্রবাসী দল’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ী করতে সরকারী দল হস্তক্ষেপ করছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এ হস্তক্ষেপের পরিণতি ভাল হবে না। খন্দকার মাহবুব বলেন, সরকারকে বিদায়ে বাধ্য করতে আমরা যদি একবার সাহস করে রাস্তায় নামি তাহলে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে লাখো মানুষের ঢল নামবে। তাহলে সরকার বিদায় নিতে বাধ্য হবে। তবে সেমিনার ও সভা-সমাবেশ করে কোন লাভ হবে না। তিনি বলেন, একজন আইনজীবী হিসেবে আমি বিএনপি চেয়ারপার্সনের মামলা প্রত্যাহার চাই না, বিচারের সম্মুখীন হতে চাই। তবে একটা কথা, তাঁর বিরুদ্ধে কেন এসব মামলা হয়েছে? এক-এগারোর সময় থেকে এসব মামলা দেয়া শুরু হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়েও মামলা হয়েছে। তবে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তারা ভুল করেছেন। কেননা, মামলা দিয়ে তাকে নাস্তানুবাদ করা যাবে না। বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বলেন, দলীয় প্রতীকে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন সরকারের ষড়যন্ত্রমূলক সিদ্ধান্ত। স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার বিশ্ববাসীকে ধোঁকা দিতে চায়। তারা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায়, নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে। তারা আরও দেখাতে চায় নির্বাচনের ফলাফলে নৌকার জয়জয়কার হয়েছে। অন্যদিকে, ধানের শীষের ভরাডুবি ঘটেছে অর্থাৎ বিএনপির কোন জনপ্রিয়তা নেই।
×