ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

গানের সুরে নাচের ছন্দে ছায়ানটের বসন্ত আবাহন

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

গানের সুরে নাচের ছন্দে ছায়ানটের বসন্ত আবাহন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ফাগুনের রং মাখা ছোঁয়ায় নবরূপে প্রকৃতি। গাছের নতুন পাতা কিংবা বর্ণময় ফুলের পাপড়ি জানান দিচ্ছে, এসেছে বসন্ত। এভাবেই নিসর্গকে স্বমহিমায় রাঙিয়ে দিচ্ছে ঋতুরাজ বসন্ত। শুক্রবার ছুটির দিনে ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করে নিল ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট। পঞ্চকবির সৃষ্টির আশ্রয়ে বাসন্তী সন্ধ্যায় গানের সুরে ও নান্দনিক নৃত্যের ছন্দোময়তায় আবাহন করা হলো রূপময় এই ঋতুকে। সম্মেলক নৃত্য-গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। ‘ওরে গৃহবাসী খোল ™^ার খোল’ গানের সুরে নাচ করে ছায়ানটের একঝাঁক শিল্পী। নাচ-গান শেষে সংগঠনের শিল্পীরা শাস্ত্রীয় সঙ্গীতকে আশ্রয় করে পরিবেশন করেন রাগ বসন্ত। এর পর ছিল সম্মেলককণ্ঠে নজরুল সঙ্গীতের পরিবেশনা। অনেক কণ্ঠ একসুরে গেয়ে শোনায় ‘বসন্ত এলো এলো এলো রে’। ‘আজ দোল ফাগুনের দোল লেগেছে’ গানের সুরে পরিবেশিত হয় সমবেত নৃত্য। রবীন্দ্র সঙ্গীত ‘ওরা অকারণে চঞ্চল’ পরিবেশন করেন মহাশ্বেতা চৌধুরী। ‘নতুন পাতার নূপুর বাজে’ গানটি গেয়ে শোনান ইশরাত জাহান লামিয়া। এম সাদাত রহমান ও সাবরিনা ইকবাল দ্বৈতকণ্ঠে পরিবেশন করেন ডিএল রায়ের গান ‘আমরা মলয় বাতাসে’। ঋতুরাজকে স্বাগত জানিয়ে অন্বিতা বিশ^াস গেয়ে শোনান ‘ওরে ভাই ফাগুন লেগেছে’। রুদ্র কুমার পরিবেশন করেন ‘কার মঞ্জীর রিনিঝিনি বাজে’। রজনীকান্ত সেনকে আশ্রয় করে অমেয়া প্রতীতি পরিবেশন ‘ধীর সমীরে চঞ্চল নীরে’। নাজাহ নূর গেয়ে শোনান ‘মনের রং লেগেছে’। শ্রাবন্তী শোভনা ও নওফা নুরেন নানজিবা ™ৈ^তকণ্ঠে গেয়েছেন ‘আজ খেলা ভাঙার খেলা’। এছাড়া একককণ্ঠে গান শোনান সাজ্জাদ রাহিম অর্ণব, সুজাতা বড়ুয়া ও ঐশী হালদার। নালন্দার শিক্ষার্থীরা পরিবেশন করে শ্রুতিনাটক ‘বসন্ত’। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মাধ্যমে শেষ হয় অনুষ্ঠান। দৃকে প্রজাপতির চতুর্থ পর্বের আলোকচিত্র প্রদর্শনী ॥ প্রকৃতির অনবদ্য এক উপহার প্রজাপতি। পতঙ্গটির নান্দনিক বৈশিষ্ট্য আর চটুল আচরণ সহজেই সকলেরই নজর কাড়ে। প্রজাপতির আধিক্য যে কোন দেশের জলবায়ুর সুস্থতার একটি নির্ভরযোগ্য পরিমাপক হিসাবেও কাজ করে। উদ্ভিদের পরাগায়নেও এর অবদান অনস্বীকার্য। বর্ণিল এই পতঙ্গটি নিয়ে কাজ করছে নিবেদিতপ্রাণ একঝাঁক তরুণ। দেশের নানা অঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা প্রজাপতির ছবি তুলে সেগুলোর প্রজাতি শনাক্তকরণ করছে এই তরুণ দল। জীবন বিকাশ কার্যক্রম (জেবিকে) নামের সংগঠনের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরে কাজ করছে এই দলটি। প্রকৃতিতে প্রাণীটির প্রয়োজনীয়তা এবং এর সংরক্ষণে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে বন অধিদফতরের সহযোগিতায় জেবিকের আয়োজনে শুক্রবার থেকে দৃক গ্যালারিতে শুরু হলো ‘ছবি দেখে শেখা, বাটারফ্লাইজ অব বাংলাদেশÑইনভেন্টরি ফোর্থ ফেজ’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী। সেই সঙ্গে এ বিষয়ে একটি বইয়েরও মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিন দিনের এ আলোকচিত্র প্রদর্শনী চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ব্যতিক্রমধর্মী প্রর্দশনীটি ৪র্থ বারের মতো আয়োজিত হচ্ছে। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব ন্যাচারের (আইইউসিএন) কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ইসতিয়াক উদ্দিন আহমেদ ও বন অধিদফতরের কনজারভেটর অব ফরেস্ট অসিত রঞ্জন পাল। আলোচনায় অংশ নেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বাটারফ্লাই ইনভেন্টরি দলের প্রধান মীর্জা শামীম আহসান হাবীব। বর্ণিল বর্ণমালায় শিশুদের হাতেখড়ি ॥ শুক্রবার বসন্তের সকালে বাবা-মার হাত ধরে শিশুরা হাজির হয়েছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে। সোনামণিদের অনেকেই অংশ নেয় ‘এসো রক্তে ভেজা বর্ণমালা সুন্দর করে লিখি’ শীর্ষক বর্ণ লিখন প্রতিযোগিতায়। সেই সঙ্গে আয়োজনটি সুন্দর হয়ে ওঠে ছোট্ট বন্ধুদের বর্ণিল বর্ণমালার মাধ্যমে হাতেখড়ি নেয়ার আনুষ্ঠানিকতায়। ভাষাসংগ্রামীদের হাত ধরে বর্ণমালা লিখন, বর্ণমালায় আল্পনা আঁকা ও হাতেখড়ি নেয় ছোট শিশুরা। অমর একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে কারক নাট্য সম্প্রদায় ২৯ বছর ধরে শিশু-কিশোরদের নিয়ে বর্ণ লিখন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে। আইজিসিসিতে লোকসঙ্গীত সন্ধ্যা ॥ ভারতীয় হাইকমিশনের ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (আইজিসিসি) লোকসঙ্গীত পরিবেশন করে ঢাকার শ্রোতা-দর্শকদের মুগ্ধ করলেন ভারতের কণ্ঠশিল্পী ড. তপন রায়। ‘রাঙাও ভুবন আপন আলোয়’ ॥ ‘উচ্চারিত প্রতিটি কথাই হোক শিল্প’ সেøাগানে সবার মাঝে বাংলা ভাষার শুদ্ধ উচ্চারণ ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাচ্ছে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের আবৃত্তি একাডেমি। সেই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগের সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান ম্মৃতি মিলনায়তনে আবৃত্তি একাডেমির ৪৮তম প্রযোজনা আবৃত্তি অনুষ্ঠান ‘রাঙাও ভুবন আপন আলোয়’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
×