ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে নিউমোনিয়ার প্রাদুর্ভাব ॥ ওষুধ সঙ্কট

প্রকাশিত: ০৩:৫৩, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

বরিশালে নিউমোনিয়ার প্রাদুর্ভাব ॥ ওষুধ সঙ্কট

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলায় গত চার দিনে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ২৩ শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ভর্তির পাশাপাশি হাসপাতালের আউটডোরে প্রতিদিন কমপক্ষে ৪০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। আকস্মিকভাবে নিউমোনিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় চিকিৎসার ইনজেকশন ও গ্যাস সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ফলে এ রোগে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আলতাফ হোসেন জানান, গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে উত্তর শিহিপাশা গ্রামের ইব্রাহীম হাসানের সাত মাসের কন্যা মারিয়া খানম, কাওসার সরদারের পাঁচ মাসের পুত্র ইমরুল কায়েস, ইব্রাহিম ভূঁইয়ার আট মাসের পুত্র জিহাদ ভূঁইয়া, জসীম উদ্দিনের এক বছরের পুত্র আরিয়ান, গৌরনদীর নন্দনপট্টি গ্রামের রহিম সরদারের নবজাতক পুত্র আবদুল্লাহ, গৈলা গ্রামের কামাল সরদারের নয় মাসের পুত্র রাফসান, একই গ্রামের নুর হোসেনের তিন মাসের পুত্র আব্দুল্লাহ, কাঠিরা গ্রামের রামকৃষ্ণ বিশ্বাসের দুই মাসের কন্যা লতিকা, একই গ্রামের কমলেশ হালদারের দেড় বছরের পুত্র জন হালদার, ভদ্রপাড়া গ্রামের সুজন সরদারের এক বছরের পুত্র রাজু, দক্ষিণ শিহিপাশা গ্রামের সৈয়দ মশিউর রহমানের পাঁচ বছরের পুত্র মোরসালিন, টেমার গ্রামের সিরাজ হাওলাদারের আট মাসের পুত্র আরাফাত, উজিরপুরের সাতলা গ্রামের মনিন্দ্র বিশ্বাসের চার মাসের পুত্র মলয়সহ ১৩ জনকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। এর পূর্বে মঙ্গল ও বুধবার উপজেলার রাজিহার গ্রামে মিজানুর রহমানের পাঁচ মাসের কন্যা আরফা আক্তার, সোমাইপাড় গ্রামের শ্যামল অধিকারীর সাত মাসের কন্যা শ্রাবন্তী অধিকারী, দক্ষিণ শিহিপাশা গ্রামের জাকির হোসেনের দুই মাসের পুত্র রেদওয়ান, মোল্লাপাড়া গ্রামের বীরেন হাওলাদারের নয় মাসের পুত্র অর্জুন, বারপাইকা গ্রামের রতন গাইনের এক বছরের পুত্র আপন গাইন, রাংতা গ্রামের খলিল ঘরামীর এক বছরের পুত্র সাজিত ঘরামী, জহরেরকান্দি গ্রামের মিন্টু রাজিবের আড়াই বছরের পুত্র মিলন রাজীব ও কারফা গ্রামের বাদল হাওলাদারের দুই মাসের পুত্র সুকদেবসহ ১০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। আকস্মিকভাবে নিউমোনিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় প্রতিদিন হাসপাতালের আউটডোরে কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪০ শিশুকে চিকিৎসা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালে ওষুধ সঙ্কটের কারণে দরিদ্র রোগীর স্বজনরা রোগীদের নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। ডাঃ আলতাফ হোসেন আরও বলেন, সরকারীভাবে হাসপাতালে সবরাহকৃত ওষুধ বিশেষ করে ইনজেকশন ও গ্যাস সঙ্কট রয়েছে। ফলে চিকিৎসাসেবা কিছুটা বিঘিœত হচ্ছে। আবহাওয়াজনিত কারণেই এ রোগের প্রদুর্ভাব দেখা দিয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
×