ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গ্রামে গড়েছেন আবদুল হ্ইা মডেল একাডেমি

প্রকাশিত: ০৩:৪৯, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

গ্রামে গড়েছেন আবদুল হ্ইা মডেল একাডেমি

ভাষাসৈনিক আবদুল হাই বেঁচে আছেন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করতে গিয়ে গ্রেফতার হন তিনি। হরগঙ্গা কলেজে তখন স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্র। ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করতে বন্ধুদের ডাকে গিয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানকার সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে বন্ধু শামীমের (বর্তমানে প্রয়াত) সঙ্গে ছিলেন বেশ কয়েকদিন। ২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করতে বের হন। পুলিশের গুলির পর আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। তবে ধাওয়া করে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। তার সঙ্গে আরও কয়েক ছাত্র গ্রেফতার হয়। জেল থেকে মুক্তি পান পাঁচ দিনের মাথায়। ১৯৫২ সালে তাঁর বয়স ছিল ১৯। এই বয়সে ভাষার জন্য দাবড়ে বেড়িয়েছেন মুন্সীগঞ্জ ও ঢাকায়। সদর উপজেলার মোল্লাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। এই ভাষাসৈনিক এখনও শিক্ষা পেশায় জড়িত। বাড়ির পাশে প্রতিষ্ঠা করেছেন আবদুল হাই মডেল একাডেমি। তৃতীয় থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদান করা হয়। দীর্ঘদিন যশলংয়ের ডিসি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন। দেশের শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে গোল্ড মেডেল পেয়েছেন ১৯৯৬ সালে। এছাড়া নানা সম্মানে ভূষিত হয়েছেন শিক্ষকতা পেশায় অবদানের জন্য। ছয় ছেলে চার মেয়ের জনক তিনি। সন্তানরা সকলেই বিয়ে করেছে, সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। চার বছর আগে স্ত্রী মারা গেছেন। দীর্ঘ শিক্ষকতার কারণে সর্বত্র এখন তিনি আবদুল হাই মাস্টার নামে পরিচিত। ১৯৫২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভাষার দাবিতে বেলা ১১টার দিকে হরগঙ্গা কলেজের ছাত্রনেতা সৈয়দ খোকার নেতৃত্বে বড় আকারের মিছিল শহর প্রদক্ষিণ করে। ফেরার পথে মিছিলটি যখন গোয়ালপাড়া অতিক্রম করছিল তখন বিরোধীরা মিছিলে হামলা করে। এতে অনেকে আহত হয়। আহতদের মধ্যে ছিলেন বজলুর রহমান রবি, মোতাহার হোসেন চৌধুরী ও মোবারক হোসেন। -মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল মুন্সীগঞ্জ থেকে
×