ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

একুশ এলে খোঁজ পড়ে

প্রকাশিত: ০৩:৪৯, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

একুশ এলে খোঁজ পড়ে

তৎকালীন ঢাকা জেলার মানিকগঞ্জ মহকুমার সিংগাইর থানার বলধারা ইউনিয়নের পারিল গ্রাম। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম শহীদ রফিক উদ্দিন আহমদ এই গ্রামেই জন্মগ্রহণ করেন। ২০০৮ সালে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় ওই গ্রামে গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণ করে। এ বছর শহীদ রফিকের বাড়ির আঙ্গিনায় নির্মাণ করা হয়েছে শহীদ মিনার। ভাষার মাস এলে এ এলাকায় সাংবাদিক, প্রশাসনের লোকজনের যাতায়াত বেড়ে যায়। সারাবছর কেউ তাদের খোঁজ রাখে না। অভিযোগ শহীদ পরিবারের। সিঙ্গাইরের পারিল গ্রামে ১৯২৬ সালের ৩০ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন রফিক উদ্দিন আহমদ। রফিকের বাবার নাম আবদুল লতিফ, মা রাফিজা খাতুন। রফিকরা ছিলেন পাঁচ ভাই ও দুই বোন। বর্তমানে ছোট ভাই খোরশেদ আলম শুধু জীবিত আছেন। রফিকের চার ভাই ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। শহীদ রফিক পারিল গ্রামের নওয়াধা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা শুরু করেন। এরপর তার বাবা তাকে কলকাতার মিত্র ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেন। কিন্তু সেখানে তার মন টেকেনি। কয়েক বছর পর ফিরে আসেন দেশে। ভর্তি করে দেয়া হয় সিঙ্গাইরের বায়রা হাইস্কুলে। এ স্কুল থেকেই ম্যাট্রিক পাস করেন তিনি। এরপর কলেজ জীবন। ভর্তি হন দেবেন্দ্র কলেজের বাণিজ্য বিভাগে। ১ম ও ২য় বর্ষ পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। তারপর লেখাপড়া বন্ধ। তবে লেখাপড়া ছেড়ে থাকা তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়নি। আবারও ভর্তি হন ঢাকার জগন্নাথ কলেজে। জগন্নাথ কলেজে ছাত্র থাকাকালে ও বিয়ে ঠিক হওয়ার পর পরই ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের গেটের কাছে পুলিশের গুলিতে নিহত হন শহীদ রফিক উদ্দিন আহমদ। শহীদ রফিকের ভাবী গুলেনুর বেগম জানান, গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরে রফিকের ভাতিজা শাহজান খান বাবুকে কেয়ারটেকার পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এখান থেকে যে অল্প বেতন পান তা দিয়ে সংসার চলে না। চাকরিটি সরকারী হলে ভাল হয় বলে জানান শাহজান খান। -গোলাম ছারোয়ার ছানু মানিকগঞ্জ থেকে
×