ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গাজীউল হকের উত্তরসূরি

প্রকাশিত: ০৩:৪৮, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

গাজীউল হকের উত্তরসূরি

বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ভাষাসৈনিক গাজীউল হক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা। ভাষাসৈনিক মুক্তিযোদ্ধা গাজীউল হকের পুরো নাম পীরজাদা ড. আবু নছর মুহাম্মদ গাজীউল হক। তিনি গত হয়েছেন ২০০৯ সালের ১৭ জুন। রেখে গেছেন স্ত্রী জাহানারা বেগম, এক ছেলে ও চার মেয়ে। সবার ছোট রাহুল গাজী সাবেক সোভিয়েট ইউনিয়নের (বর্তমানে রাশিয়া) মস্কো প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রী নিয়ে দেশে ফেরেন। বোনদের মধ্যে বড় নুতনা হক ঢাকা বিশ্ব-বিদ্যালয় থেকে জনপ্রশাসনে মাস্টার্স করে বর্তমান স্বামীর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী। আরেক বোন সুমানিকা হকও সিডনিতে থাকেন। মেজ বোন সুজাতা হক ঢাকা বিশ্বদ্যিালয় থেকে সমাজ কল্যাণে মাস্টার্স করে বর্তমানে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের (পিআইবি) কর্মকর্তা। ছোট বোন সুতনুকা হক বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির কর্মকর্তা। গাজীউল হকের প্রত্যেক সন্তান উচ্চ শিক্ষিত। ছেলে মেয়েরা বাবার রেখে যাওয়া লাইব্রেরিতে এখনও সময় পেলেই পড়াশোনা করেন। বাবার মতোই পাঠাভ্যাস ধরে রেখেছেন। পীর বংশের উত্তরসূরি হওয়ার পরও প্রগতিশীল ধারায় বেড়ে উঠে সংস্কৃতি চর্চার বলয়েই তাদের অবস্থান। রাহুল গাজীর পিতামহ শাহ সুফী হযরত মাওলানা ছেরাজুল হক চিশতি (রঃ) ছিলেন এই অঞ্চলের বড় সুফী সাধক। এলাকার মানুষ আজও তাঁর কথা স্মরণ করে। বগুড়া শহরের নামাজগড়ে পুরাতন দিনাজপুর সড়কের ধারে তার পিতৃভূমি। নাম পাল্টে বগুড়াবাসী এই সড়কের নামকরণ করেছে ভাষাসৈনিক গাজীউল হক সড়ক। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন ছাড়াও গাজীউল হকের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাথা ইতিহাস লেখা আছে মুক্তিযুদ্ধের দলিলের নবম খ-ে। তারপরও বগুড়ার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের খাতায় তার নাম নেই। যা গাজীউল হকের পরিবারের বেদনার জায়গা। আদমদীঘির চাঁপাপুরে গাজীউল হক যে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেছেন তা বেদখল হয়ে গেছে। ফাউন্ডেশন গঠন করে এলাকার মেধাবীদের শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে সহযোগিতা দেয়ার কাজে হাত দিয়েছেন রাহুল গাজী। ইতোমধ্যে তারা ভাইবোন মিলে কাজ শুরু করেছেন। এলাকার অনেক গরিব মেধাবী শিক্ষার্থী এবং গরিব পরিবারকে উপার্জনমুখী করতে নানা ব্যবস্থা নিয়েছেন। Ñসমুদ্র হক, বগুড়া থেকে
×