ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মালিঙ্গা-কুলাসেকারার পেস তোপে ১৪ রানে জয়ী শ্রীলঙ্কা

লড়াই করে হারল আমিরাত

প্রকাশিত: ০৬:৪৩, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

লড়াই করে হারল আমিরাত

মোঃ মামুন রশীদ ॥ লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা তেমন সুবিধা করতে পারেননি আরব আমিরাতের পেস আক্রমণের বিরুদ্ধে। তবে শ্রীলঙ্কার পেসাররা সেই ঘাটতি পুষিয়ে দিয়েছেন। সে কারণে বৃহস্পতিবার এশিয়া কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে গত আসরের চ্যাম্পিয়নরা ১৪ রানের জয় দিয়েই যাত্রা শুরু করেছে। টস হেরে প্রথম ব্যাট করে দিনেশ চান্দিমালের অর্ধশতকে ৮ উইকেটে মাত্র ১২৯ রান করে শ্রীলঙ্কা। জবাবে লাসিথ মালিঙ্গা ও নুয়ান কুলাসেকারার বোলিং তোপে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়া আমিরাত শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে তুলতে পেরেছে ১১৫ রান। ৮ বছর পর আবার এশিয়া কাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে আরব আমিরাত। বড় কোন টি২০ টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত পর্বে প্রথম সুযোগ করে নেয়। টস জিতে লঙ্কানদের আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আমিরাত। প্রথম থেকেই ঘাসের উইকেটে ঝড় তোলেন আমিরাতের পেসাররা। চেপে ধরেন লঙ্কান ওপেনারদের। যদিও তিলকারতেœ দিলশান ও চান্দিমাল সতর্ক থেকে খেলে ৬৮ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে ভাল সূচনা দিয়েছিলেন। কিন্তু দিলশান ২৮ বলে ৪ চারে ২৭ রান করে সাজঘরে ফেরার পর ধ্বস নামে। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন আমজাদ জাভেদ। বল হাতে দারুণ ঝলক দেখিয়েছেন আরব আমিরাতের অধিনায়ক। তাকে দেখে দলের অন্য বোলাররাও দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়েছেন। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা লঙ্কানদের ভরসা চান্দিমালও ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় অর্ধশতক হাঁকিয়ে ফিরে যান। তিনি ৩৯ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১২৯ রান তুলতে সক্ষম হয় শ্রীলঙ্কা। জাভেদ ২৫ রানে ৩টি এবং মোহাম্মদ নাভিদ ও মোহাম্মদ শাহজাদ ২টি করে উইকেট নেন। জবাব দিতে নেমে আমিরাত বোলারদের মালিঙ্গা ভীতিটাই কাল হয়ে দাঁড়ায়। এ পেসার প্রথম বলেই রোহান মুস্তাফাাকে (০) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে ও শেষ বলে শাহজাদকে (১) বোল্ড করে দারুণ সূচনা দেন লঙ্কানদের। পরের ওভারে মালিঙ্গা ভীতি কমলেও জেঁকে বসেন কুলাসেকারা। তিনি চতুর্থ ওভারে ফিরিয়ে দেন মোহাম্মদ কলিম (৭) ও মোহাম্মদ উসমানকে (৬)। এর মাধ্যমে শ্রীলঙ্কার পক্ষে তৃতীয় বোলার হিসেবে টি২০ ক্রিকেট ৫০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেন কুলাসেকারা। দলীয় ১৬ রানেই ৪ টপ অর্ডার সাজঘরে ফেরার পরই জিতে চমক দেখানোর স্বপ্নটার সমাধি হয়ে যায় আমিরাতের। ছয় নম্বরে নেমে অবশ্য স্বপ্নীল পাতিল দারুণ ব্যাটিং করেছেন। তবে তিনি ৩৬ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৭ রানের ইনিংস খেলেও স্বপ্ন জাগাতে পারেননি। অভিজ্ঞ পেসার রঙ্গনা হেরাথ পরে আরও দুই উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের পুরো নিয়ন্ত্রণ লঙ্কানদের অধীনে নিয়ে আসেন। এরপর শুধু সম্মানজনক একটি পরাজয়ের জন্যই লড়েছে আমিরাত। সেটাও তারা পারেনি শেষদিকে আবারও মালিঙ্গা-কুলাসেকারা ফিরতি স্পেলে ঝলসে ওঠায়। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১১৫ রান করতে সক্ষম হয় আমিরাত। ৪ ওভার করে বোলিং করে মালিঙ্গা ২৬ রানে ৪টি ও কুলাসেকারা ১০ রানে ৩টি উইকেট নেন।
×