ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পান্থ আফজাল

এই সময়ে শিশুর পোশাক

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

এই সময়ে শিশুর পোশাক

ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। সকল বাংলাভাষী মানুষের জন্য বিশেষ বার্তা নিয়ে আসে এ মাসটি। এই মহান মাসে পাশাপাশি হাজির হয় বসন্তের রঙিন হাতছানি। বড়দের জন্য এই মাস আনন্দের হোক বা না হোক, ছোটদের জন্য নিঃসন্দেহে আনন্দের। আর এই আনন্দের বড় একটা অংশজুড়েই থাকে নতুন পোশাক। দিন বদলেছে, দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলোই এখন শিশুদের জন্য তৈরি করছে দারুণ স্টাইলিশ সব পোশাক। দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো সাজানো হয়েছে শিশুদের রং বেরঙের পোশাক দিয়ে। এই সময়ে শিশুদের জন্য বরাবরের মতো বেছে নেয়া হয়েছে সাদাকালোর কম্বিনেশন এবং উজ্জ্বল রং। শিশুদের পোশাকে ব্যবহার করা হয়েছে এ্যান্ডি, সুতি, লিনেন, ভয়েল, সিল্ক, মসলিন ও খাদি। এই সময়ের আমেজ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন রকম হাতের কাজ দিয়ে। প্রায় সমস্ত ফ্যাশন হাউসেই শিশুদের পোশাকের কাটিংয়ে নান্দনিক নক্সা করা হয়েছে। পোশাকের খোঁজে যেতে পারে আড়ং, কে ক্র্যাফট, লা রিভ, বাংলার মেলা, দেশাল, নিপুণ, অঞ্জনসসহ ছোট-বড় যে কোন বুটিকে। শুধু সাদা আর কালো রং নিয়ে সব পোশাকের নক্সাদার ফ্যাশন হাউস ‘সাদাকালো’ এনেছে শিশুদের জন্য গতানুগতিক ছকের বাইরে ফেব্রুয়ারির বৈচিত্র্যময় পোশাক। বাংলা বর্ণমালা, সংখ্যা, একুশের গান, কবিতা, আল্পনা ইত্যাদি নক্সা ব্যবহার করা হয়েছে এইসব পোশাকে। প্রায় সব বয়সের অর্থাৎ এক বছর থেকে শুরু করে ১৪-১৫ বছরের শিশুদের পোশাক রয়েছে বিভিন্ন হাউসে। হলুদ, লেবু, সবুজ, জলপাই, কমলা এই রংগুলো প্রাধান্য পেয়েছে শিশুদের পোশাকে। সুতি কাপড়ে স্ক্রিন প্রিন্ট, ব্লক, সিকোয়েন্সের মিশেলে তৈরি হয়েছে শিশুদের ফাল্গুনের পোশাকগুলো। উজ্জ্বল রং প্রাধান্য পেয়েছে প্রতিটি পোশাকে। মেয়েশিশুদের জন্য রয়েছে শাড়ি, ফতুয়া ও সালোয়ার কামিজ। নানা প্যাটার্নের কামিজে প্রাধান্য পেয়েছে হলুদ, লাল ও কমলা রং। হাতায় ও কলারে আলাদা অন্য রঙের বর্ডারসহ ছেলেদের ফতুয়া ও পাঞ্জাবিতে করা হয়েছে ব্লক ও স্ক্রিনপ্রিন্ট। মেয়েদের পোশাকের সঙ্গে মানানসই অলঙ্কারও পাওয়া যাবে এসব ফ্যাশন হাউসে। মডেল : এনায়া ও ফিয়োনা ছবি : শিথীল রহমান
×