ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

জিয়া কোনদিন মুক্তিযুদ্ধ করেননি

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

জিয়া কোনদিন  মুক্তিযুদ্ধ  করেননি

সংসদ রিপোর্টার ॥ রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা বলেছেন, নির্বাচনে না আসার মহা ভুল আর সংসদে থাকতে না পারার যন্ত্রণা, কষ্ট-দুঃখ ও গাত্রদাহ থেকেই বিএনপি নানা অপ্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু দেশের জনগণ তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে ছিলেন, কিন্তু কোনদিন মুক্তিযুদ্ধ করেননি। একটি কমিশন গঠনের মাধ্যমে তদন্ত করে একাত্তরে মেজর জিয়াসহ অন্যদের কী ভূমিকা ছিল তা বের করে তাদের মরণোত্তর বিচার হওয়া উচিত। আর ওই সময় ক্যান্টনমেন্টে খালেদা জিয়া আরাম-আয়েশে ছিলেন বলেই এখন মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। দেশের জনগণ এদের কোনদিন ক্ষমা করবে না। প্রথমে স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং পরে ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার আলোচনায় অংশ নেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার, এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, হুইপ মোঃ শাহাব উদ্দীন, পংকজ দেবনাথ, অধ্যাপক ডাঃ আমান উল্যাহ ও জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ। আলোচনায় অংশ নিয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, জেনারেল জিয়া মুক্তিযুদ্ধে ছিলেন, কিন্তু কোনদিন মুক্তিযুদ্ধ করেননি। জিয়াউর রহমান সৈন্য নিয়ে পালিয়ে না গেলে আমরা চট্টগ্রাম সেনানিবাস দখল করতে পারতাম। যুদ্ধের সময় যেখানে বোমা পড়ছে, পাকিস্তানী সৈন্যরা প্রচ- হামলা চালাচ্ছে সেখান থেকেই জিয়া পালিয়ে যেত। যেখানে যুদ্ধ হতো সেখানে জিয়া থাকত না- এ ঘটনার একজন জীবন্ত সাক্ষী আমি নিজেই। আজ সেই জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। খালেদা জিয়া যুদ্ধ দেখেননি, ক্যান্টনমেন্টে আরাম-আয়েশে ছিলেন। তাই মুক্তিযুদ্ধে কতজন শহীদ হয়েছে উনি দেখবেন কীভাবে? মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এই জেনারেল জিয়া খুনীদের পুরস্কৃত করেছিল, যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দিয়ে কুখ্যাত রাজাকার-যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রিসভায় স্থান দিয়ে প্রমাণ করেছিলেন, তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন না। জামায়াত নিষিদ্ধের পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত এবং তাদের সন্তানরা যাতে ভোটাধিকার ও সরকারী চাকরিতে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য একটি নতুন আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা যথাযথ সংরক্ষণের জন্য অবাঞ্ছিত কবরগুলো সরিয়ে ফেলা উচিত। জাতীয় পার্টির মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, যারা নির্বাচন বর্জন করে সংসদে আসতে পারেননি তাদের বর্তমান কার্যকর সংসদ দেখে বুকটা ফেটে যাচ্ছে। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার বলেন, বিএনপি সরকারের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে এখনও নানা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। খালেদা জিয়ার গায়ে মানুষ পোড়ার গন্ধ। আগামী নির্বাচনেও দেশের জনগণ তাকে প্রত্যাখ্যান করবে। পংকজ দেবনাথ ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনুস ও মাহফুজ আনামরা ওয়ান-ইলেভেনের সময় গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করে অসাংবিধানিক শাসন কায়েমের ষড়যন্ত্র করেছিলেন। তাদের কারণেই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে ১১ মাস কারাবাস করতে হয়েছে।
×