ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রাম বন্দরে পৌনে ৫ কোটি টাকার বিদেশী সিগারেট আটক

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

চট্টগ্রাম বন্দরে পৌনে ৫ কোটি টাকার বিদেশী সিগারেট আটক

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম বন্দরে আটক হয়েছে মিথ্যা ঘোষণায় কন্টেনারে আনা প্রায় পৌনে পাঁচ কোটি টাকার আমদানি নিষিদ্ধ বিদেশী বেনসন এ্যান্ড হেজেজ ব্র্যান্ডের সিগারেট। এ ঘটনায় কন্টেনার বহনকারী হোয়াচিমিন নামের বিদেশী জাহাজের স্থানীয় এজেন্ট সাকী শিপিং লাইন্সের এমডিসহ প্রতিষ্ঠানটির চারজনকে আটক করা হলেও পরে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে র‌্যাবের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার বা আটক করা হয়নি। বৃহস্পতিবার দুপুরে বন্দরের ৪ নম্বর গেটে এ উপলক্ষে র‌্যাব-৭-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বিস্তারিত অবহিত করেন। র‌্যাবের তথ্যের ভিত্তিতে কাস্টমস কর্মকর্তারা নিষিদ্ধ ঘোষিত বিদেশী এ সিগারেটের চালান আটক করতে সক্ষম হয়। র‌্যাব সূত্রে জানানো হয়, প্রাথমিক সন্দেহের ভিত্তিতে চট্টগ্রামের সাকী শিপিং লাইন্সের এমডি আনোয়ার শওকত আবসার, ম্যানেজার মোঃ শফিক, কর্মচারী নাসির ও এমরানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। র‌্যাব অধিনায়ক জানান, গাজীপুরের এফআরসি নিট কম্পোজিট গার্মেন্টস নামের একটি প্রতিষ্ঠান ব্যাক টু ব্যাক এলসির মাধ্যমে সুতা আমদানির ঘোষণা দেয়। দুবাইয়ের জাবল আলী পোর্টে হোয়াচিমিন জাহাজে একটি কন্টেনারে এসব পণ্য বোঝাই হয়। পরবর্তীতে পোর্ট কেলাং হয়ে জাহাজটি ১০ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছায়। পরে কন্টেনার খালাস করে বন্দরে সিসিটি ইয়ার্ডে কন্টেনারটি রাখা হয়। এদিকে, দুবাই থেকে র‌্যাবের কাছে গোপন সূত্রে খবর পৌঁছে যায় যে, ওই কন্টেনারটিতে আমদানি নিষিদ্ধ বেনসন এ্যান্ড হেজেজ ব্র্যান্ডের সিগারেট রয়েছে। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে র‌্যাবের পক্ষ থেকে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। সে অনুযায়ী অনুসন্ধান চালিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর কন্টেনারটি আটক করা হয়। পরে কন্টেনারটি খুলে দেখা যায়, সেখানে ৪৭০ কার্টন বেনসন এ্যান্ড হেজেজ সিগারেট রয়েছে। যার বাজারমূল্য প্রায় পৌনে ৫ কোটি টাকা। রাতেই কর্মকর্তারা কন্টেনারটি সিলগালা করে দেয়। ৭২ কন্টেনার পিভিসি রেজিন আটক ॥ এদিকে ডকুমেন্ট জালিয়াতির মাধ্যমে আমদানি হয়ে আসার পর চট্টগ্রাম বন্দরে ৭২ কন্টেনার পিভিসি রেজিন আটক করা হয়েছে। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের উদ্যোগে আটকের এ ঘটনা ঘটে। পিভিসি রেজিন আমদানির অনুমতি না থাকা সত্ত্বে¡ও ঢাকার টঙ্গী এলাকার আমদানিকারক মেসার্স গ্যালাক্সি সোয়েটার এ্যান্ড ইয়ার্ন ডায়িং নামে একটি প্রতিষ্ঠান জাল ডকুমেন্টের মাধ্যমে এ পণ্য আমদানি করে।
×