ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:২৩, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

উবাচ

শুধুই প্রথম প্রেমের অনুভূতি! স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রকাশিত হয়েছে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান সাবেক ‘স্বৈরশাসক’ এইচ এম এরশাদের আত্মজীবনী। বহু বিষয়ে বিপুল আলোচনা থাকলেও অনেকেই স্বাভাবিকভাবে এরশাদের অতি ব্যক্তিগত বিষয়টি খুঁজে বের করার চেষ্টা করবেন। তা হচ্ছে এরশাদ এবং নারী। শুনলে আরও শুনতে ইচ্ছা করবে এমন আলোচনায় বিষয়টি ভরপুর সর্বদা। এটাও স্বাভাবিক এরশাদ এর ধারেকাছে হাঁটবেন না। কেবল বইয়ের একটি জায়গাতে জীবনে প্রথম ভালবাসার চিঠি পাওয়ার অনুভূতির কথা লিখেছেন। অনেকেই মনে করেন প্রথম বার মানেই শেষবার নয়। তবে আর কোন বিবরণ নেই বইতে। যদিও এটা খুবই স্বাভাবিক বিষয় একজন রাষ্ট্রপ্রধানের আত্মকথন তো একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে সীমাবদ্ধ থাকবে না। এরশাদ নামার শুরুর দিকে অবশ্য বলাও হয়েছে বইটিতে রয়েছে তার দীর্ঘ ৮৬ বছরের জীবনের সবটা নয়, খ-িত চিত্র মাত্র। জীবনের প্রথম প্রেমপত্রের প্রাপ্তি স্বীকার করে এরশাদ সম্প্রতি বলেছেন, ‘রংপুরের কারমাইকেল কলেজে আইএ শেষ বর্ষের ছাত্র অবস্থায় প্রথম প্রেমপত্র পেয়েছিলেন তিনি। চিঠিটি হাতে পাওয়ার পর চোখ-মুখ দিয়ে যেন আগুনের ফুলকি বের হচ্ছিল। এখন কি হবে। কোথায় বসে চিঠিটি দেখব। বন্ধ ঘরে একলা খুললেন সেই চিঠি। ভাঁজে ভাঁজে তার গোলাপের পাপড়ি ছড়ানো। আবেগজড়িত ভাষায় লেখা ছিল ভুলো না আমায়-মনে রেখো। এরশাদ বলছেন যে মেয়েটি প্রেমপত্রটি দিয়েছিল সে কলেজে আসত ঘোড়ার গাড়ি দিয়ে। তাই সব সময় তাকে পাওয়া যেত না। কথা বলার সুযোগও কম ছিল। চিঠি পাওয়ার পর থেকে মাঝে মধ্যে দু’-একটি কথা হতো তার সঙ্গে...। এরশাদ তার বইতে লিখছেন, ‘আমার দুরন্ত যৌবনের প্রাণোচ্ছল জোয়ারের জলতরঙ্গে সঙ্গে যোগ করে দিয়েছিল আরেকটি ভিন্ন স্বাদ ও অনুভূতির জগত, যে জগতের সন্ধান কারও জীবনে মেলে কারও মেলে না। যারা লাভ করে সেই জগতের সন্ধান তারা গৌরবান্বিত হয়, জীবনের অনেক নিচতা, হীনতা, ক্ষুদ্রতা, হীনম্মন্যতার অভিশাপ থেকে মুক্তি পায়। এটি অনুভব এবং অনুভূতির এমন এক অবিনাশী ব্যাধি যা থেকে আরোগ্য লাভের ব্যাপারটি পুরোপুরি নিশ্চিত নয়।’ অভিযোগ ভিত্তিহীন স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির সম্মেলনে সরকারের বাধা ও আসন্ন ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী খুঁজে না পাওয়ার বিষয়ে দলটির মহাসচিবের কাছে সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা চেয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের এক বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, বিএনপির মতো একটি বড় রাজনৈতিক দলের কর্মকা-ে বাধা প্রদান করার অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাই কোথায় কোথায় সরকার তাদের বাধা দিচ্ছে তা সুনির্দিষ্ট করে বলার জন্য মির্জা ফখরুলের প্রতি আহ্বান জানাই। বিএনপি অভিযোগ করে আসছে সরকারপন্থ’ীদের জন্য দলটির নেতাকর্মীরা ইউপি নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না। অনেককেই নির্বাচনে অংশ নিতে দেয়া হচ্ছে না। তাদের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্রও জমা দিতে পারছে না। এর জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন হাওয়াই অভিযোগ করে কোন লাভ নেই। আমাদের যদি বলা হয় কোন কোন জায়গাতে তাদের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারছে না আমরা তা দেখব। এখন কোন কোন জায়গাতে হয়ত কারও কারও বিরুদ্ধে মামলা আছে সেইসব জায়গার ক্ষেত্রে কেউ পালিয়ে বেড়ালে সরকার তো সেই দায় নেবে না। বাকশালী মহড়া স্টাফ রিপোর্টার ॥ আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন নিয়ে সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ইউপি নির্বাচনের মাধ্যমে ভিন্নপন্থায় বাকশালী শাসন ব্যবস্থা চূড়ান্ত করার মহড়া হচ্ছে। এ কারণে ইউপি চেয়ারম্যান পদ তারা (সরকার) একচেটিয়া দখলে নিতে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বাকশালী শাসনব্যবস্থা কায়েমের জন্য কেড়ে নেয়া হচ্ছে বিএনপি মনোনীত প্রর্থীদের মনোনয়নপত্র। যার উদ্দেশ্য হলো সমাজে ব্যাপক শূন্যতা সৃষ্টি করা।’ রিজভী বলেন, ২০১৪ সালে কলঙ্কিত একতরফা নির্বাচনের পর সকল স্থানীয় সরকার নির্বাচন এবং আসন্ন ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সরকার ’৭৫-এর বাকশালী শাসনব্যবস্থাকে ভিন্নপন্থায় পুনর্প্রতিষ্ঠা করছে। এবারে ’৭৫- এর মতো পার্লামেন্টে রাজনৈতিক দল ও সংবাদপত্র আইন করে নিষিদ্ধ না করলেও রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যয় করে আলোচনা-সমালোচনা, বিরোধী দলের কর্মকা-, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, ব্যক্তি-মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা নিষ্ঠুর নিষ্পেষণে স্তব্ধ করে দেয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, কয়লা ধুলেও ময়লা যায় না। আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর নীতি ও আদর্শে ন্যূনতম অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনসহ গণতন্ত্রের আচার-আচরণের কোন বালাই নেই।’ ‘ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা নিজেদের প্রার্থীদের জেতাতে সম্ভাব্য সন্ত্রাসী তৎপরতা ঢাকা দেয়ার জন্য সরকার বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে’ বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
×