ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নারায়ণগঞ্জে ৭ খুন

তারেক সাঈদ হাজির হননি ॥ সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে ২৯ ফেব্রুয়ারি

প্রকাশিত: ০৫:২১, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

তারেক সাঈদ হাজির হননি ॥ সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে ২৯ ফেব্রুয়ারি

নিজস্ব সংবাদদাতা, নারায়ণগঞ্জ, ২৫ ফেব্রুয়ারি ॥ আলোচিত ৭ খুনের মামলায় র‌্যাবের সাবেক কর্মকর্তা তারেক সাঈদ মোহাম্মদ আদালতে হাজির না হওয়ায় পূর্বনির্ধারিত সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছে আদালত। একই সঙ্গে আদালত অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে তারেক সাঈদকে কারাগার থেকে আনার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামানের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে। তারেক সাঈদকে কেন আদালতে হাজির করা হয়নি এর ব্যাখ্যা জানাতে আদালত আধা ঘণ্টা মুলতবি রাখা হয়। আদালত আগামী ধার্য তারিখে যে কোন উপায়ে আসামি তারেক সাঈদকে আদালতে হাজির করার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নূর হোসেন ও র‌্যাবের সাবেক দুই কর্মকর্তা মেজর (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) আরিফ হোসেন ও লে. কমান্ডার (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) এমএম রানাসহ ২২ আসামিকে হাজির করা হয়। এ সময় আদালতে একটি মামলার (সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহিম হত্যা) বাদী বিজয় কুমার পাল উপস্থিত থাকলেও আসামি তারেক সাঈদ উপস্থিত না থাকায় আদালত অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে এবং কেন তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি তার কারণ ব্যাখ্যা চায় কারা কর্তৃপক্ষের কাছে। এ সময় কী কারণে তারেক সাঈদকে আনা হয়নি তা জানার জন্য পিপিকে নির্দেশ দিয়ে আধা ঘণ্টার জন্য আদালত মুলতবি করা হয়। তারেক সাঈদকে আনার দায়িত্বে নিয়োজিত পরিদর্শক আশরাফকে কোর্ট কাস্টডিতে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। পরে পুলিশ কর্মকর্তা আশরাফ তারেক সাঈদকে না আনার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয় এবং আগামী ধার্য তারিখে অবশ্যই তাকে হাজির করার নির্দেশ দেয়া হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, দুটি মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। একটি মামলার বাদী ডাঃ বিজয় কুমার পালকে আদালতে সাক্ষ্যের জন্য উপস্থিত করা হয়েছিল। অপর মামলার বাদী সেলিনা ইসলাম বিউটি অসুস্থ থাকায় তিনি আদালতে হাজির হতে পারেননি, যে কারণে আমাদের মাধ্যমে আদালতে সময় চাওয়া হচ্ছে। আসামি তারেক সাঈদ কারা অভ্যন্তর থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তাকে কারা কর্তৃপক্ষ হাজির করেনি। একটি মামলার বাদী সেলিনা ইসলাম বিউটির আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন দাবি করে বলেন, ৭ খুনের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলা হওয়ার পরও ঢাকা কারা কর্তৃপক্ষ তারেক সাঈদকে আদালতে উপস্থিত করেনি। আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি, আদালতের কোন রকম অনুমতি ছাড়াই তারেক সাঈদকে হাসপাতালে রাখা হয়েছে। তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট এমএ রশিদ জানান, দুটি মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ থাকলেও এক আসামি অনুপস্থিত থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। তাই আমরা আদালতে কয়েকজন আসামির পক্ষে জামিন আবেদন করেছিলাম, আদালত তা নামঞ্জুর করেছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ৭ খুনের দুটি মামলায় নূর হোসেন ও র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ২৩ আসামির উপস্থিতিতে আদালত অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন নির্ধারণ করে। তবে র‌্যাবের ৮ সদস্যসহ পলাতক ১২ আসামির অনুপস্থিতিতেই বিচারকার্য শুরু হচ্ছে। নবজাতকের লাশ উদ্ধার ॥ বন্দরের মালিবাগ এলাকা থেকে বুধবার রাতে এক নবজাতক ছেলেশিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধারকৃত লাশটি বৃহস্পতিবার পুলিশ মর্গে প্রেরণ করেছে। পুলিশের ধারণা, কোন অবৈধ গর্ভধারণের ফলে শিশুটির জন্ম হয়।
×