ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

তদন্তে অগ্রগতির দাবি ডিবির ॥ পিতা অজয় রায়ের হতাশা

অভিজিত হত্যায় ডিএনএ রিপোর্ট যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৫:১৯, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

অভিজিত হত্যায় ডিএনএ রিপোর্ট যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা হচ্ছে

শংকর কুমার দে ॥ বিজ্ঞান মনস্ক প্রগতিশীল লেখক ও ব্লগার বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অভিজিত রায় হত্যাকা-ের আজ এক বছর পূর্ণ হলো। এই এক বছরে এই ঘটনা তদন্তে সাফল্যজনক অগ্রগতি হয়েছে বলে দাবি করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ৮ সদস্য হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত। এর মধ্যে ৩ জন ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে হত্যাকা- ঘটিয়েছে। হত্যাকারী ৮ জনই গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে হত্যাকা-ের পরিকল্পনাকারী শফিউর রহমান ফারাবি, যে রাজিব হত্যা মামলারও আসামি। যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদনও প্রস্তুত হয়ে গেছে। অভিজিত হত্যাকা-সহ প্রগতিশীল লেখক, প্রকাশক ও ব্লগার হত্যাকা-ের কু¬ উদঘাটনসহ হত্যাকারীরাও চিহ্নিত হয়েছে বলে জানা গেছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সূত্রে এ খবর জানা গেছে। ডিবি সূত্র জানান, অভিজিত হত্যাকা-ে যে ৩ জন সরাসরি জড়িত তার অন্যতম মান্নান রাহি। সে সিলেটের অনন্ত বিজয় দাস হত্যাকা-ে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। অভিজিত হত্যাকা-ের পরিকল্পনাকারী শফিউর রহমান ফারাবী রাজিব হত্যার আসামি। অভিজিৎ হত্যাকা-ের যে আলামত বাংলাদেশ থেকে এফবিআই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছে তার ডিএনএ প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এখন প্রতিবেদনটি দেশে আনার প্রশাসনিক প্রক্রিয়া চলেছে। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদেরও ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। ডিবি সূত্র জানান, অভিজিত হত্যা নিশ্চিত হওয়ার পর বিদেশ থেকে দায় স্বীকার করে টুইটারে টুইট করা হয় ‘আনসার বাংলা-৭’ জঙ্গী সংগঠনের নামে। অভিজিত খুন হওয়ার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র শফিউর রহমান ফারাবীর ফেসবুক এ্যাকাউন্ট থেকে আসা একটি কমেন্ট শেয়ারে অভিযুক্ত হন। ওই কমেন্টে বলা হয়, ‘অভিজিত রায় আমেরিকা থাকে। তাই তাকে এখন হত্যা করা সম্ভব না। তবে সে যখন দেশে আসবে তখন তাকে হত্যা করা হবে।’ এর আগে ফারাবী বাংলা বই বিক্রির ওয়েবসাইট ‘রকমারি ডটকম’ থেকে অভিজিত রায়ের বই সরাতেও হুমকি দিয়েছিলেন। ফেস বুকের এসব কমেন্ট, টুইটারের টুইট, ব্লগারদের নাম ও সংগঠন ইত্যাদির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অবহিত করেন এফবিআই সদস্যদের। এফবিআই সদস্যদের প্রশ্নের উত্তরে ডিবি পুলিশ বলেছে, ‘সমমনা উগ্র ব্লগারদের’ সঙ্গে গ্রেফতারকৃত ফারাবীর সম্পর্ক রয়েছে। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শাহবাগ আন্দোলনের কর্মী ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দারের জানাজা পড়ানোয় ইমামকে হত্যার হুমকি দিয়েও ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন ফারাবী। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছেলে ফারাবীকে ওই বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর গেট এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। ফেসবুক ব্যবহার করে নামাজে জানাজার ইমামকে হত্যার হুমকি দেয়ায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা করা হয়। ফারাবী ‘নাস্তিকদের’ হত্যাকা-ের বিষয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলা হয়, ‘আমার দৃষ্টিতে নাস্তিকরা হচ্ছে, পোকামাকড় আর পোকামাকড়দের মরে যাওয়াই ভাল।’ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যায় ভর্তি হলেও হিজবুত তাহরীরের সক্রিয় হয়ে লেখাপড়া শেষ করেনি ফারাবী। অভিজিত হত্যকা-ের পর যখন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই কর্মকর্তারা ঢাকায় আসেন তখন তারা ফারাবীর সঙ্গে কথা বলেন। এফবিআই কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর অভিজিতের ওপর হামলাস্থল থেকে সংগৃহীত আলামত, এই হত্যাকা-ের আগে ফেস বুকের কমেন্ট, টুইটারের টুইট ইত্যাদি বিষয়বস্তু হস্তান্তর করেন ডিবি কর্মকর্তারা। বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অভিজিত রায় গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে নয়টার দিকে বইমেলা থেকে ফেরার পথে টিএসসির সামনে দুর্বৃত্তদের চাপাতির কোপে গুরুতর জখম হয়ে মারা যান। এ সময় তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাও গুরুতর আহত হন। স্ত্রী বন্যা ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র চলে যান। অভিজিত হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র তদন্তে সহায়তার প্রস্তাব দিলে তাতে সায় দেয় সরকার। এই শফিউর রহমান ফারাবীই অভিজিত হত্যাকা-ের মূল পরিকল্পনাকারী বলে ডিবির দাবি। মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা ও বিজ্ঞান মনস্ক লেখক বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক প্রকৌশলী ড. অভিজিৎ রায়ের লেখা ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’ ও ‘অবিশ্বাসের দর্শন’ নামের ২টি বই প্রকাশিত হয়। বই দুইটি প্রকাশ করে জাগৃতি প্রকাশনী। গত বছরের ৩১ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর শাহবাগ আজিজ সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় ১৩১ নম্বর জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সাল আরেফীন দীপনের (৪০) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘাড় ও গলা কেঁটে হত্যা করা হয় তাকে। হত্যার পর খুনীরা সাঁটারে তালা লাগিয়ে যায়। রক্ত পড়ে সাঁটারের নিচ দিয়ে সামনের ফ্লোর ভিজে গেলে ম্যানেজার ও স্থানীয়দের চোখে পড়ে। এরপরই উদ্ধার করা হয় দীপনের লাশ। উদ্ধারকালে দীপনের মাথাটি কম্পিউটারের কিবোর্ডের উপর উপুড় করা অবস্থায় পড়ে ছিল। হত্যাকা-ের ধরন ও জব্দকৃত আলামত পর্যালোচনায় তেমন ধারণাই পাওয়া গেছে যে, হত্যাকারীরা প্রশিক্ষিত এবং শিক্ষিত। হত্যাকারীদের প্রযুক্তি সম্পর্কে প্রচুর জ্ঞান থাকার বিষয়টিও তদন্তে ধরা পড়েছে। দীপন হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে ইতোমধ্যেই ৮টি সিসি ক্যামেরার ৫ দিনের ফুটেজ পর্যালোচনা চলছে। প্রচুর ফুটেজ পর্যালোচনা শেষ হয়েছে। ফুটেজ দেখে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে অনেককেই। তাদের সম্পকে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। হত্যাকারীরা হত্যাকা-ের বিষয়ে প্রচুর সতর্কতা অবলম্বন করেছে। যাতে সহজেই ধরা না পড়ে। মাষ্টারপ্লান অনুযায়ী এ ধরনের হত্যাকা-গুলো ঘটানো হচ্ছে। দীপন হত্যা এবং মোহাম্মদপুরে শুদ্ধস্বর প্রকাশনীতে হামলা একসূত্রে গাঁথা। আর একই দিন গত বছরের ৩১ অক্টোবর দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন লালমাটিয়া সি ব্লকের ৮/১৩ নম্বর ৫ তলা বাড়ির চতুর্থ তলায় শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর কার্যালয়ে হামলায় আহত হন প্রকাশক আহমেদুর রশীদ চৌধুরী টুটুল (৫০), লেখক এবং ব্লগার প্রকৌশলী তারেক রহিম (৪২) ও রণ দীপম বসু (৪০)। এ প্রকাশনী সংস্থাটি থেকে নিহত অভিজিত রায়ের লেখা ‘সমকামিতা : একটি বৈজ্ঞানিক এবং সমাজ-মনস্তাত্ত্বিক অনুসন্ধান’ ও ‘শূন্য থেকে মহাবিশ্ব’ নামে দুটি বই প্রকাশিত হয়। বই প্রকাশ করার পর থেকেই হতাহতরা নানাভাবে হুমকি পাচ্ছিলেন। অপরদিকে অভিজিত হত্যাকা-ে সরাসরি জড়িত বলে যে ৩ জনের নাম পাওয়া গেছে তার অন্যতম হচ্ছে মান্নান রাহি ওরফে মান্নান ইয়াহিয়া (২৪)। সিলেটের অনন্ত বিজয় দাস হত্যকা-ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত বছরের ২৭ আগস্ট সিলেট থেকে মান্নান ইয়াহিয়া ও তার ছোট ভাই মোহাইমিন নোমান (২১) গ্রেফতার হন। সহোদরদের দেয়া তথ্যমতে ওই বছরই ২ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হন আবুল খায়ের (২২)। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মান্নান ইয়াহিয়া আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছেন। জবানবন্দীতে বিজয় হত্যার অনেক অজানা তথ্যই বেরিয়ে এসেছে। গত বছরের ১২ মে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে সিলেট নগরীর সুবিদবাজার এলাকায় বিজয়কে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। অনন্ত পরিবারের সঙ্গে সুবিদবাজারের বনকলাপাড়ার নূরানী এলাকার ১২/১৩ নম্বর বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। তিনি পূবালী ব্যাংক চাকরি করতেন। চাকরির পাশাপাশি মুক্তমনা ব্লগে লেখালেখি করতেন মান্নান রাহী। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেছেন, ‘লেখক ও ব্লগার অভিজিত হত্যাকা-ের যে আলামত বাংলাদেশ থেকে এফবিআই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে গেছে তার ডিএনএ প্রতিবেদন তৈরি হয়ে গেছে বলে আমাদের জানানো হয়েছে। এখন প্রতিবেদনটি দেশে আনার প্রশাসনিক প্রক্রিয়া চলেছে। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদেরও ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘অভিজিত হত্যাকা-ের মামলাটি ছিল ক্লু বিহীন। আমরা কয়েকজনকে চিহ্নিত করি। ঘটনা ছিল অত্যন্ত সুপরিকল্পিত। যখন শিক্ষিত সমাজ কোন ঘটনা সুপরিকল্পিতভাবে ঘটায় তখন এটা বের করতে সময় লাগে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত আমরা ৮ জনকে গ্রেফতার করেছি। ফাহায়াদি ও মান্নান রাহী ঘটনাকে প্ররোচিত করেছিল। এর কয়েকদিন পর দিন পর ৩ জনের একটি গ্রুপ ঘটনাটি ঘটায়। তবে ঘটনার সময় আরও ৬ থেকে ৭ জন আশপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। মনিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ৮ জন ছাড়া আরও কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তবে ভিডিও ফুটেজে তারা নেই। গ্রেফতারকৃতরা সবাই আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য। বর্তমানে ব্লগার ও প্রকাশকদের মামলার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে বলেও জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী টার্গেট কিলিং ঘটে, কিন্তু এটা শতভাগ রোধ করা সম্ভব নয়। আমরা টার্গেট কিলিং অনেক ঘটনা রোধ করেছি। এসব ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা আগে ব্লগার ও প্রকাশক হত্যা করত। এখন তারা নাশকতার পথ বেছে নিয়েছে।’ অভিজিত রায়ের বাবা বলেন ॥ অভিজিত রায়ের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. অজয় রায় গণমাধ্যমকে বলেন, এ ধরনের হত্যাকা-ের বিচারহীনতার ফলে মুক্তবুদ্ধির চিন্তা যারা করেন তারাও সঙ্কুচিত হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ব্লগাররা ঘটনা প্রবাহের বিশ্লেষণ করেন। এরপর তাদের মতবাদ দেন। এটা মুক্তবুদ্ধির চিন্তাকে প্রসারিত করে। বাংলাদেশ একটি স্যাকুলার দেশ। এসবের বিচার না হলে উগ্রপন্থী যারা ইসলামের নামে অনৈসলামিক কাজ করে তার উৎসাহিত হবে। ব্লগাররা এমন কোন কথা বলেন না যা মানুষকে আঘাত করে। যদি কেউ এমন কথা বা লিখে থাকে এজন্য নির্দিষ্ট মন্ত্রণালয় আছে। তারাই এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কিন্তু এসব না করে উগ্রপন্থীরা নিজেরাই আইন হাতে তুলে নিচ্ছে। ড. অজয় রায় বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গত বছর আমার মিনিট দশেক কথা হয়েছিল। তিনি আমাকে অভিজিৎ হত্যাকা-ের বিচারের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কয়েকবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও আমার দেখা হয়েছে। তিনিও আমাকে বিচারের আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, এখন আর তাকে কেউ হুমকি দিচ্ছে না। দেশের ভিআইপিদের যারা নিরাপত্তা দেন ওইরকম একটি বাহিনীর লোকজন আমাকে প্রস্তাব দিয়েছিল সর্বক্ষণিক বডিগার্ড দেয়ার জন্য। আমি তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছি। এরপর তারা আমার বাসার সামনে পুলিশ প্রহরার প্রস্তাব দিলে তাও আমি প্রত্যাখ্যান করি। তবে আমাকে সর্বক্ষণিক অদৃশ্য প্রহরা দেয়া হয়।’ তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে অন্যসব হত্যাকা-ের মতো ব্লগার হত্যাকা-ের বিচার দাবি করে বলেন, গত এক বছর ধরে একই কথা বলে যাচ্ছে। তারা পুরনো ভাঙ্গা রেকর্ডই বাজিয়ে যাচ্ছে। তাই এই বিচার নিয়ে আশার জায়গাটি ক্রমশই সঙ্কুচিত হচ্ছে। অভিজিত রায়ের মামলার তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে হতাশ তার পরিবার। মামলার দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি নেই। ক্রমশই আমাদের পরিবারে আশার জায়গাটি সঙ্কুচিত হয়ে যাচ্ছে।
×