ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জুভেন্টাস-বেয়ার্ন কেউ হারেনি

প্রকাশিত: ০৬:৪৪, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

জুভেন্টাস-বেয়ার্ন কেউ হারেনি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রায় পুরো সময় আধিপত্য বিস্তার করে খেলেও জয় সঙ্গী করতে পারেনি বেয়ার্ন মিউনিখ। শেষ দিকে এলোমেলো ফুটবল আর প্রথমদিকে গোল মিসের খেসারত দিতে হয়েছে জার্মান জায়ান্টদের। যে কারণে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফুটবলে শেষ ষোলোর প্রথম লেগের ম্যাচে দুই গোলে এগিয়ে যেয়েও স্বাগতিক ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাসের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছে অতিথি বেয়ার্ন মিউনিখ। অবশ্য তুরিনের জুভেন্টাস স্টেডিয়ামে ড্র করলেও কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার দৌড়ে এগিয়ে আছে বেয়ার্নই। আগামী ১৬ মার্চ নিজেদের মাঠ মিউনিখের এ্যালিয়েঞ্জ এ্যারানায় দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে জুভদের বিরুদ্ধে খেলবে বাভারিয়ানরা। ওই ম্যাচে স্বাগতিক হিসেবে পেপ গার্ডিওলার দলের সুযোগ বেশি থাকলেও আশা ছাড়ছে না আসরের বর্তমান রানার্সআপরা। ফিরতি লেগে কোনভাবে জিতলেই সেরা আটের ছাড়পত্র পাবে জুভেন্টাস। জুভেন্টাস স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে সফরকারী বেয়ার্ন। ষষ্ঠ মিনিটে দলকে এগিয়ে নেয়ার সুযোগও পান আর্টুরো ভিদাল। তবে সে যাত্রায় চিলির এই মিডফিল্ডারের দুর্দান্ত ভলি দারুণ দক্ষতায় রুখে দেন জুভেন্টাস গোলরক্ষক ও অধিনায়ক জিয়ানলুইজি বুফন। ১৪ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন টমাস মুলার। নিয়মিত একাদশের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় চোটের কারণে বাইরে থাকায় কোন সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার ছাড়াই খেলতে নামে বেয়ার্ন। তবে আক্রমণ ভাগের দাপুটে পারফর্মেন্সে প্রথমার্ধে ফিলিপ লাম, ডেভিল এ্যালাবাদের তেমন কোন পরীক্ষাই দিতে হয়নি। একের পর এক আক্রমণ করতে থাকা বেয়ার্ন অবশেষে বিরতির খানিক আগে গোলের দেখা পায়। ম্যাচের ৪৩ মিনিটে ডানদিক থেকে এারিয়েন রোবেনের বাড়ানো বল বাঁ দিকের গোল লাইনের কাছ থেকে বক্সে পাঠান ডগলাস কোস্টা। বক্সের মধ্য থেকে দারুণ শটে লক্ষ্যভেদ করেন মুলার। এর ফলে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে নয় ম্যাচ পর গোল হজম করে জুভেন্টাস। বিরতির পরও স্বাগতিক রক্ষণে চাপ ধরে রাখে বেয়ার্ন। ৫৫ মিনিটে রোবেনের দারুণ নৈপুণ্যে ব্যবধান দ্বিগুণ করে বাভারিয়ানরা। রবার্ট লেভানডোস্কির পাস থেকে বক্সের মধ্যে দু’জন ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে কোণাকুণি শটে গোলরক্ষক বুফনকে পরাস্ত করেন ডাচ ফরোয়ার্ড। দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর যেন গাঝাড়া দিয়ে ওঠে স্বাগতিকরা। ম্যাচের ৬৩ মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে ব্যবধান কমান আর্জেন্টিনার উঠতি তারকা পাওলো ডিবালা। বক্সের বাইরে থেকে মারিও মানদুকিচের বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাঁ পায়ের শটে দলকে ম্যাচে ফেরান দারুণ ফর্মে থাকা এই ফরোয়ার্ড। চলতি এ মৌসুমেই পালের্মো থেকে জুভেন্টাসে যোগ দেয়া ২২ বছর বয়সী ডিবালার এটি প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লীগ গোল। দুই বদলি খেলোয়াড়ের নৈপুণ্যে ৭৬ মিনিটে সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা। এক মিনিট আগেই মাঠে নামা স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড আলভারো মোরাটার হেড বক্সে পেয়ে লক্ষ্যভেদ করেন ইতালির মিডফিল্ডার স্টেফানো স্টুরারো। শেষ পর্যন্ত সমতাবস্থায় শেষ হয় ম্যাচ। ম্যাচ শেষে বেয়ার্ন মিউনিখ কোচ পেপ গার্ডিওলা বলেন, আমি খুব খুশি। দল যেভাবে খেলেছে, তাতে অখুশি হওয়ার কোন কারণ নেই। এই ম্যাচটা আমার সারা জীবন মনে থাকবে। জুভেন্টাস কোচ ম্যাসিমিলিয়ানো এ্যালেগ্রি বলেন, প্রথমার্ধটা খুব বাজে গেছে। প্রথম থেকেই যেন বেয়ার্ন আমাদের চেপে ধরে। কিছুতেই আমাদের তারা গুছিয়ে উঠতে দেয়নি। খেলোয়াড়দের পাসগুলোও ভাল হচ্ছিল না। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আমরা নিজেদের গুছিয়ে ভাল খেলি। এমনকি আমরা জিতেও যেতে পারতাম।
×