ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আবর্জনা সুপার মার্কেট!

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

আবর্জনা সুপার মার্কেট!

কোন খাদ্যই ফেলে দেয়ার মতো নয়- এই বিষয়টি প্রমাণ করতে এবার ডেনমার্কে চালু হয়েছে আবর্জনা সুপার মার্কেট নামে একটি চেন সুপার শপ। ‘উইফুড’ নামের এই সুপার শপে আপনি কম মূল্যে ইচ্ছেমতো কেনাকাটা করতে পারবেন। সম্প্রতি ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে চালু হয়েছে এই সুপার শপ। কর্তৃপক্ষের দাবি শুধু ডেনমার্ক নয় সারা পৃথিবীতে এই ধরনের দোকান এই প্রথম। তারা বিশেষ করে স্বল্প আয়ের লোকদের টার্গেট করে দোকানটি চালু করেছে। এই দোকানে আশপাশের অন্যান্য দোকানের চেয়ে অনেক সস্তায় খাবার কেনা যায়। একটি দাতব্য সংস্থার মাধ্যমে ডেনমার্কের অন্যান্য সুপার মার্কেটের ফেলে দেয়া খাবার সংগ্রহ করে ‘উইফুড’ কর্তৃপক্ষ। এভাবে দিনে কয়েক হাজার টন খাবার সংগ্রহ করে তারা। এই দোকানে বিভিন্ন ধরনের ফল, মাংস থেকে শুরু করে অন্যান্য জিনিস পাওয়া যায়। ডেনমার্কের বহু লোক ‘উইফুড’ কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক ও রাজনৈতিকভাবে সঠিক পদক্ষেপ বলে মত দিয়েছে। ডেনমার্কে প্রতি বছর ৭ লাখ টন খাবার ভাগাড়ে ফেলা হয়। এতে পরিবেশ দূষিত হয়। পাশাপাশি অর্থের অপচয়তো আছেই। এই পরিবেশ দূষণ ও অর্থের অপচয়রোধে ‘উইফুড’ কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে ডেনমার্ক সরকার। তবে উইফুড কর্তৃপক্ষের দাবি, আমরা শুধু ডেনমার্ক নয় বিশ্বজুড়ে খাবার নষ্ট করার প্রবণতা রোধ করতে এই পদক্ষেপ নিয়েছি। এতে আমরা অপেক্ষাকৃত গরিব লোকদের কম দামে খাবার সরবরাহের পাশাপাশি পরিবেশ দূষণরোধে ভূমিকা রাখতে পারব। এতে অর্থও সাশ্রয় হবে। ডেনিশ খাদ্য ও পরিবেশ বিষয়কমন্ত্রী ইভা জের হ্যানসেন বলেন, প্রতিদিন খাবার নষ্ট করা হাস্যকর। এই ধরনের কাজ অর্থ অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়। এটি পরিবেশের ওপরও বিরূপ প্রভাব ফেলে। এ ক্ষেত্রে উইফুডের এই পদক্ষেপ সঠিক। আর খাদ্য নষ্টের বিরুদ্ধে লড়তে এই সিদ্ধান্ত একটি কার্যকরী পদক্ষেপ। এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, গত ২৫ বছরে ডেনমার্কে উৎপাদিত খাদ্যের ২৫ শতাংশই ভাগাড়ে ফেলা হয়েছে। ইতোমধ্যে ফ্রান্সও খাদ্য নষ্ট করা রোধে একটি আইন পাস করেছে। -ইডিপেনডেণ্ট
×