স্টাফ রিপোর্টার ॥ এবার দ্বিতীয় দফায়ও তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে ১২ ইউনিয়ন পরিষদের নাম। কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আদালতে মামলা চলমান থাকা, সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা ও ভোটার তালিকা পুনর্বিন্যাস সম্পন্ন না হওয়ায় এসব ইউনিয়ন পরিষদের নাম নির্বাচনের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। ফলে দ্বিতীয় দফায় ৬৮৪ ইউপির পরিবর্তে ৬৭২ ইউপির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন কমিশন দ্বিতীয় দফায় নির্বাচনের জন্য গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ৬৮৪টির ইউনিয়ন পরিষদের সময়সূচী ঘোষণা করে। ঘোষিত সূচী অনুযায়ী দ্বিতীয় দফায় ৩১ মার্চ ভোট গ্রহণ করা হবে। কিন্তু বুধবার কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার ঘাঘর ইউপির সীমানা সংক্রান্ত হাইকোর্টে মামলা চলামান রয়েছে। ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার বাচোর, হোসেনগাঁও, নন্দুয়ার ইউপিতে পৌরসভার এলাকা সম্প্রসারণের ফলে উল্লেখিত এসব ইউপিসমূহের ভোটার তালিকা পুনর্বিন্যাস করা হয়নি। এছাড়াও চুয়াডাঙ্গা সদরের বেগমপুর, শংকরচন্দ্র, তিতুদহ, বরিশালের চরফ্যাশনের আমিনাবাদ ও নুরাবাদ ইউপিতেও ভোটার তালিকা পুনবিন্যাস না হওয়া, নীলফামারীর খোকশাবাড়ী ও টুপামারী ইউপিতে ওয়ার্ডের সীমানা নির্ধারণ না হওয়ায় এবং মাগুড়ার সদরের কুচিয়ামোড়া ইউপিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের পক্ষ থেকে আগের নির্বাচনের তারিখ ভুল উল্লেখ করায় দ্বিতীয় দফায় নির্বাচনের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। বুধবার কমিশনের সহকারী সচিব মোহাম্মদ আশফাকুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় দফায় নির্বাচনের জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের ২ মার্চ বুধবারের মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে। রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৫ ও ৬ মার্চ শনি ও রবিবার। এছাড়া প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিল করেও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করতে চাইলে ১৩ মার্চের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিতে হবে। ১৪ তারিখ থেকে প্রার্থীরা ভোটযুদ্ধে মাঠে নামবেন।