ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

হবিগঞ্জে ৪ শিশু হত্যা

নিজের সংশ্লিষ্টতা ও জড়িতদের নাম প্রকাশ করে আরজুর জবানবন্দী

প্রকাশিত: ০৫:২৪, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

নিজের সংশ্লিষ্টতা ও জড়িতদের নাম প্রকাশ করে আরজুর জবানবন্দী

নিজস্ব সংবাদদাতা, হবিগঞ্জ, ২৪ ফেব্রুয়ারি ॥ সুন্দ্রাটিকি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চার কোমলমতি ছাত্রকে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনার সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতা, জড়িতদের নাম প্রকাশ এবং হত্যার নেপথ্য কারণ প্রকাশ করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে আসামি আরজু মিয়া। বুধবার দুপুর সোয়া ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আলমের আদালতে এ জবানবন্দী দেয় সে। পরবর্তীতে কড়া প্রহরায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে। এডিশনাল এসপি মোঃ শহীদুল ইসলাম জনকণ্ঠকে জানান, অতি দ্রুতই আমরা এ হত্যাকা-ের নেপথ্য কারণসহ জড়িতদের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করতে পারব। তিনি আরও বলেন, আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে এ মামলার সার্বিক তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা সম্ভব হবে। এ ঘটনার সঙ্গে আরজু তার জড়িত থাকার বিষয়টি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকার করেছে। এছাড়া ইতোমধ্যে হত্যাকা-ের স্পটও শনাক্ত করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার ওই স্থানটি সরেজমিন পরিদর্শনের কথা রয়েছে। তবে ওই স্কুলছাত্রদের অপহরণের দিন সিএনজি অটোরিক্সাচালক বাচ্চুর সঙ্গে মোটরসাইকেলে আসা প্যান্ট-শার্ট পরিহিত যুবক কারা এবং তারা শনাক্ত হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, এটি বলতে পারবে সংশ্লিষ্ট মামলার আইও। তিনি বলেন, কোন নিরপরাধ ব্যক্তি যাতে হয়রানির শিকার না হন তাও দেখভাল করা হচ্ছে। পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, সংশ্লিষ্ট মামলার তদারকির দায়িত্বে থাকা প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে তিনি সুন্দ্রাটিকি স্কুলের ছাত্র শুভ, তাজেল, মনির ও ইসমাঈল হত্যাকা-ের আগে ও পরবর্তীতে বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোশারফ হোসেনের গাফলতির বিষয়টি জোরেশোরে তদন্ত করছেন। তবে তাকে প্রধান করে ইতোপূর্বে গঠন করে দেয়া এ সংক্রান্ত তদন্ত কমিটি মূল রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য আরও ৫ দিন সময় বৃদ্ধি চেয়ে বুধবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর নতুন একটি আবেদন করা হয়েছে। এদিকে প্রতিদিনই হবিগঞ্জসহ নানা স্থান থেকে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও নানা পেশার সাধারণ মানুষ সুন্দ্রাটিকি গ্রাম পরিদর্শন আর হতভাগ্য চার স্কুলছাত্রের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছেন। উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি ওই গ্রাম থেকে শুভ, তাজেল, মনির ও ইসমাঈলকে অপহরণ করা হয়। পরবর্তীতে ওই শিশুদের শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ইসাবিল নামক স্থানে বালির স্তূপে পুঁতে রাখে অপহরণকারীরা।
×