ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

জঙ্গীরা যেন পুলিশে নিয়োগ না পায় সেদিকে সতর্ক থাকুন

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

জঙ্গীরা যেন পুলিশে নিয়োগ না পায় সেদিকে সতর্ক থাকুন

সংসদ রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে সচেতন থাকতে পুলিশ বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, যারা সন্ত্রাসী কর্মকা-ে লিপ্ত, যারা অগ্নিসন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদী কার্যকলাপে লিপ্ত তারা যেন একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীতে আসতে না পারে, এটা দেখার দায়িত্ব পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। এ ব্যাপারে আমরা কোন হস্তক্ষেপ করতে চাই না। তবে জামায়াত-শিবিরসহ সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদে যুক্ত ব্যক্তিরা যাতে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে নিয়োগ না পেতে পারে সে বিষয়ে পুলিশ বাহিনীই সতর্ক থাকবে বলে আমি আশা করি। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে একাধিক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বানচালের আন্দোলনের নামে দেশজুড়ে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস-নৈরাজ্য ও মানুষ পুড়িয়ে হত্যার বিবরণ তুলে ধরে বলেন, নির্বাচন ঠেকানোর নামে বিএনপি-জামায়াত জোট নৃশংস তা-ব চালিয়েছে। মানুষ পোড়ানো থেকে শুরু করে বাস-ট্রাক-সিএনজি অটো আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে। পেট্রোল বোমা দিয়ে এসব যানবাহনের চালকসহ সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে। সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুলিশে জনবল নেয়ার একটি নীতিমালা আছে। তবে এটা ঠিক বিএনপি-জামায়াত জোট ২০১৩-১৪ নির্বাচন ঠেকানোর প্রচেষ্টা এবং ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত একের পর এক যে তা-ব চালিয়েছিল। এমনকি কোন কিছুই তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি। এমনকি পুলিশের সদস্যরাও রেহাই পায়নি। পুলিশও তাদের হাতে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হয়েছে। তিনি বলেন, পুলিশ বাহিনী যখন লোক (জনবল) গ্রহণ করে তখন এর দায়িত্বে থাকেন পুলিশ বাহিনীর অফিসাররা। আমি মনে করি, তাদের এ কথাগুলো একটু মনে রাখা উচিত। কারণ বিএনপি-জামায়াত তাদের ওপর কি অত্যাচার করেছে। তাদের প্রায় ১৮/১৯ জন পুলিশের সদস্যকে তারা হত্যা করেছে। কাজেই সেই জামায়াত-শিবিরের লোক পুলিশ বাহিনীতে ঢোকার ক্ষেত্রে তারা সচেতন হবে এটাই আশা করি। তবে এখানে আমরা ঠিক হস্তক্ষেপ করতে চাই না। কিন্তু এটা তাদের দেখা উচিত, সন্ত্রাসী কর্মকা-ে যারা লিপ্ত ছিল, যারা এ ধরনের অগ্নিসন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদী কর্মকা-ে জড়িত ছিল- তারা যাতে পুলিশ বাহিনীর মতো সুশৃঙ্খল বাহিনীতে আসতে না পারে, এটা দেখার দায়িত্বও তাদের। আমি আশা করি তারা এটা দেখবে। সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের নিজ নিজ এলাকায় এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকা-ে লিপ্ত ছিল তারা কেউ যদি পুলিশ বাহিনীতে ঢুকে থাকে, তাহলে নিশ্চয়ই এসব তথ্য গোয়েন্দা বাহিনীর কাছে দেবেন এবং তারা সেটা নিশ্চয়ই যাচাই-বাছাই করে দেখে ব্যবস্থা নেবে বলেও উল্লেখ করেন সংসদ নেতা। সজীব ওয়াজেদ জয় নিজেই তাঁর পথ দেখবে ॥ জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করতে গিয়ে বলেন, ‘জয় বাংলা’ দুটি শব্দ এবং ‘প্রথম’ শব্দটি নিয়ে আপনি কি চিন্তা ভাবনা করছেন? পাশাপাশি পুরুষের অধিকার নিয়েও কি চিন্তাভাবনা করছেন? এমন প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে রসিকতা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওনার (ফখরুল ইমাম) ঘরে ওনি যে বউকে এত ভয় পান এটা আমরা জানতাম না। তবে ভাগ্য ভাল ওনি ওনার ঘরে পুলিশী পাহারার কথা বলেননি। আর পৃথিবীকে আসলে কেউ বদলাতে পারে না। জীবন বদলাতে পারে। ঘরে আপনি চ্যানেল বদলাতে পারেন না, এটা তো সমঝোতা করে নেয়া যায়। কে কখন কতটুকু সময় টেলিভিশন দেখবেন আপনার ঘরের কর্ত্রীর সঙ্গে বসে একটা সমঝোতা করে নেন। যাতে চ্যানেল বদলানো নিয়ে কোন সংঘাত না হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জয়’ একটি শব্দ, ‘বাংলা’ আরেকটি শব্দ। দুটো মিলেই কিন্তু জয় বাংলা। জয় বাংলা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সেøাগান। জয় বাংলা এবং জয় বঙ্গবন্ধু সেøাগান দিয়েই আমরা বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। মুক্তিযুদ্ধের সময় এটাই ছিল আমাদের কাছে সবচেয়ে অনুপ্রেরণাদায়ী সেøাগান। কাজেই এই শব্দটাকে ভাগ করার উপায় নেই। অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছেলে- মেয়েদের লেখাপড়া শিখিয়েছি। তাদের একটি কথাও বলেছি যে তোমাদের কোন সম্পদ দিতে পারব না। তোমাদের একটি বড় সম্পদ যত পার শিক্ষা গ্রহণ কর। ওটাই তোমাদের জীবন-জীবিকা তৈরি করে দেবে। আর তাদের জীবনের ভবিষ্যত তারা নিজেরাই ঠিক করবে। এ দায়িত্ব তাদের নিজের উপরেই ছেড়ে দিয়েছি। কাজেই জয় (সজীব ওয়াজেদ জয়) ভবিষ্যতে কি করবে এটা সম্পূর্ণ তাঁর ওপর নির্ভর করে। সে কিন্তু আমাদের সহযোগিতা করছে। আজকে যে ডিজটাল বাংলাদেশ করছি সেখানে ডিজিটাল শব্দটি থেকে শুরু করে যতটুকু অর্জন তার পরামর্শ মতেই হচ্ছে। আর জয় কিন্তু জনগণের জন্য সেবা ও সাহায্য করছে। কোনকিছু পাওয়ার আশা বা নিতে আসেনি। যতটুকু পারছে দিচ্ছে। এটা তাঁকে জয়বাংলা সেøাগানের প্রেরণাই উদ্দীপ্ত করছে দেশের সেবা করতে। আর তাঁর পথ সে নিজে দেখবে। সামশুল হক চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ভূখ-ে জঙ্গীবাদ, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী কোন শক্তিকে প্রশ্রয় দেয়া হয় না। সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদ মোকাবেলায় দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং এ সকল ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখাও আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। অসুস্থ হয়ে পড়লে বিদেশে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত যথার্থ ॥ ‘আমি কখনও অসুস্থ হয়ে পড়লে বিদেশে নিয়ে যাবেন না, তুলবেন না এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে’Ñ প্রধানমন্ত্রী তাঁর এই ঘোষণাকে যথার্থ বলে দাবি করেছেন। সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সম্প্রতি চিকিৎসার জন্য ‘বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট কর্তৃক বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও নার্সিং ইনস্টিটিউটে’ গিয়েছিলাম। ওই হাসপাতালে সর্বস্তরের জনগণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি এবং স্বনামধন্য চিকিৎসকদের সমন্বয়ে উন্নতর চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া বিশেষায়িত এ হাসপাতালে সর্বস্তরের জনগণ যাতে স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা সেবা পায় তারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ কারণেই আমি সেদিন ঘোষণা করেছিলাম, ‘আমি কখনও অসুস্থ হয়ে পড়লে বিদেশে নিয়ে যাবেন না, তুলবেন না এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে।’ তিনি বলেন, আমার এ ঘোষণা যথার্থ বলে আমি মনে করছি। কারণ বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট ইনস্টিটিউট অব নিউরোসাইন্স, নাক-কান-গলা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, খুলনায় শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট যক্ষ্মা হাসপাতাল, চট্টগ্রামে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট ট্রাপিক্যাল মেডিসিন ইনস্টিটিউটসহ সরকারী উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন বিশেষায়িত হাসপাতালের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব কারণে বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা গ্রহণের প্রবণতা ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। এত কর্মসংস্থান অতীতে কখনও হয়নি ॥ সরকারী দলের সংসদ সদ্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লার প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে অর্থবছর ’১১ থেকে অর্থবছর ’১৫ সময়ের মধ্যে গত ৫ বছরে দেশে ও বিদেশে মিলে প্রায় ১০ দশমিক ৩৩ মিলিয়ন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এত কর্মসংস্থান আর অতীতে কখনও হয়নি। তিনি জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের সুদৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেক শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। দেশের উন্নয়নের ৯০ ভাগ নিজস্ব অর্থায়নে হচ্ছে। সম্প্রতি নিউইয়র্ক ভিত্তিক আর্থিক তথ্য প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ব্লুমবার্গের পূর্বাভাস অনুযায়ী ২০১৬ সালে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধির দেশ। বছর শেষে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। তিনি বলেন, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা এবং বাংলাদেশের প্রধানতম শ্রমবাজার মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও সরকারের ঐকান্তিক প্রয়াসের ফলে অর্থবছর ’১১ থেকে অর্থবছর ’১৫ সময়ের মধ্যে ২ দশমিক ৪৪ মিলিয়নেরও বেশি শ্রমিক বিদেশে যেতে পেরেছে। ডিএমপির জন্য ৭ হাজার ১৩৯ পদ সৃষ্টি ॥ সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা মহানগরের নিরাপত্তা জোরদারে নতুন সৃষ্ট ১৩ হাজার ৮৮৮টি পদের মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) জন্য ৭ হাজার ১৩৯টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। তিনি বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে নতুন ৫০ হাজার পদ সৃজনের বিষয়ে গত ১১ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ইউনিটের জন্য ১৩ হাজার ৮৮৮টি পদ সৃজন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রয়োজন অনুসারে বাকি পদ সৃজন করা হবে। তিনি জানান, ঢাকা মহানগরের নিরাপত্তা জোরদার করতে নতুন সৃষ্ট ১৩ হাজার ৮৮৮টি পদের মধ্যে ডিএমপির জন্য ৭ হাজার ১৩৯টি পদ সৃজন করা হয়েছে। এ সকল পদের বিপরীতে নিয়োগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলেও জানান সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। ৯ দেশের ১০ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রী ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়টি দেশের ১০ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেছেন। আরও অনেক নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রী প্রদানের আগ্রহ প্রকাশ করলেও সময়ের অভাবে তিনি আনতে যেতে পারেননি। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আন্তর্জাতিক পদক লাভ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারী দলের সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রী। প্রদত্ত তালিকা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেসব বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশ থেকে ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেছেন তার মধ্যে রয়েছে- ভারতের ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়, রাশিয়ার স্টেট ইউনিভার্সিটি অব পিটার্সবার্গ একই দেশের পিপলস বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্রিজপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়, বেলজিয়ামের ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয় অব ব্রাসেলস, অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ভারতের বিশ্ব-ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, এবারটে বিশ্ববিদ্যালয় যুক্তরাজ্য এবং ওয়াসিডা বিশ্ববিদ্যালয় জাপান। এছাড়া জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার পক্ষ থেকে যে আটটি পদক পেয়েছেন এর মধ্যে রয়েছে- চ্যাম্পিয়ন্স অব আর্থ, মাদার তেরেসা পদক, মহাত্মা গান্ধী পদক, সেরেস পদক, এমডিজি পুরস্কার, ইন্ধিরা গান্ধী শান্তি পুরস্কার, সাউথ-সাউথ পুরস্কার, পিস ট্রি ইত্যাদি। প্রবাসীদের হয়রানি রোধে নানা পদক্ষেপ ॥ আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদিন খানের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা বিমানবন্দরে প্রবাসীদের হয়রানি রোধে নানা পদক্ষেপ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এটা ঠিক এর আগে প্রবাসীরা দেশে ফেরার পর বিমানবন্দরে নানা হয়রানির মুখে পড়েছেন। তবে এখন তাদের নিরাপত্তা রক্ষায় সরকারের নানা পদক্ষেপের ফলে এটি হচ্ছে না। এক্ষেত্রে পুলিশসহ যৌথ নিরাপত্তা দল গড়ে তোলা হয়েছে। লন্ডন থেকে সিলেট ও চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা প্রবাসী কর্মীদের হয়রানি রোধেও নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য পিনু খানের লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী প্রবাসী কর্মীদের কল্যাণে তাঁর সরকার গৃহীত স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন।
×