ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

চাই নিরাপদ পরিবেশ

প্রকাশিত: ০৩:৪৫, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

চাই নিরাপদ পরিবেশ

শিশু হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণের মতো নির্মম, পাশবিক ও অমানবিক ঘটনা প্রায় প্রতিদিনেরই সংবাদ। এ নিয়ে সরকার, প্রশাসন, মিডিয়া সরব হলেও শিশুর ওপর নির্যাতন বন্ধ হচ্ছে না। বরং দুর্বৃত্তদের টার্গেটে পরিণত হয়েছে নিরীহ ও নিষ্পাপ শিশুরা। যার সর্বশেষ নজির দেখা গেল বাহুবলে। নিখোঁজের ৫ দিন পর ৪ স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সুন্দ্রাটিকি গ্রামের পার্শ্ববর্তী বালুরচর থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। সকালে শ্রমিকরা বালু উত্তোলন করতে এসে পঁচা গন্ধ পায়। পরে তারা থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে। যা নির্মম, পৈশাচিক, অমানসিক শিশু হত্যা। প্রশ্ন হচ্ছে পুলিশ কেন উদ্যোগী হলো না নিখোঁজ চার শিশুকে উদ্ধারে? বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা উচিত। পুলিশ তৎপর হলে হয়ত কোন মায়ের কোলই খালি হতো না। এখন অপরাধীকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করলেই কি দায় শেষ? সাধারণ মানুষই যদি অপরাধীকে ধরতে পারে তাহলে প্রশাসনের ভূমিকা কী? সাম্প্রতিক সময়ে শিশু হত্যার বিষয়টি উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গেছে। শিশু অধিকার ফোরামের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারিতে সারাদেশে ২৯টি শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। চলতি মাসের শুরুতে কেরানীগঞ্জের স্কুলছাত্র আবদুল্লাহকে অপহরণ করে হত্যা করে লাশ ঘরের ভেতরে লুকিয়ে রাখা হয়। গাজীপুরে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে সোলায়মান নামে এক শিশুকে। কিশোরগঞ্জের নিকলীতে শিশুহত্যার অভিযোগে মাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শিশু হত্যা ও নির্যাতন বন্ধে নানামুখী পদক্ষেপ নিতে হবে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। মনে রাখতে হবে, যে সমাজে শিশুরা নিরাপদ নয় সে সমাজ কখনও তার কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে না। উন্নয়ন, অগ্রগতি কোন কিছুই টেকসই হবে না যদি শিশুর বাসযোগ্য একটি নিরাপদ পরিবেশ আমরা সৃষ্টি করতে না পারি। কালিহাতী, টাঙ্গাইল থেকে
×