ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রিজভীর অভিযোগ

মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি বিএনপির শতাধিক প্রার্থী

প্রকাশিত: ০৫:২১, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি বিএনপির শতাধিক প্রার্থী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হুমকি ও বাধার কারণে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির শতাধিক প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছেন দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মঙ্গলবার সকালে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, জনগণ জানে আসন্ন ইউপি নির্বাচনের পরিণতি কী হবে। সুতরাং যতক্ষণ পর্যন্ত না এ সরকারের পতন ঘটবে ততক্ষণ পর্যন্ত মানুষ তার অধিকার ফিরে পাবে না, বহুদলীয় গণতন্ত্রে সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের অধিকার নিশ্চিত হবে না। একমাত্র আন্দোলনের পথই হচ্ছে চূড়ান্ত পথ। তিনি বলেন, এ সরকারের অধীনে নির্বাচন মানেই দখলবাজি আর কেড়ে নেয়ার মহৌৎসব। আসন্ন ইউপি নির্বাচনেও প্রহসন হবে আর সেটির উপযুক্ত জবাব হবে নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য সম্মিলিতভাবে ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে তোলা। রিজভী বলেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশন (ইসি) যমজ ভাইয়ের মতো একযোগে কাজ করছে। সরকার ভোট, নির্বাচন, জনমত, জবাবদিহিতা, পরমতসহিষ্ণুতাসহ প্রকৃত গণতন্ত্রের সকল উপাদানগুলোকে নির্বাসিত করে দেয়ার পর একক ক্ষমতার আতিশয্যে তাদের মধ্যে হিংস্রতা ও আত্রাসন দিনকে দিন বেড়েই চলছে। এ কারণেই তারা আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে আরেকটি দখলবাজি মহড়ার একটি উৎকৃষ্ট মডেল বানাতে চায়। রিজভী বলেন, আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী রাজনৈতিক বহুমাত্রিকতার বহুত্ববাদে কখনই বিশ্বাস করেনি। এরা সমালোচনা এবং বিতর্ককে কখনই গ্রহণ করতে পারে না। তবে তারা নিজেরা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বিষাক্ত ও আক্রমণাত্মক কুটতর্কে পারঙ্গম। এদের কোন মানবিক মুখম-ল নেই। এরা কখনই গণতান্ত্রিক সৌজন্যের তোয়াক্কা করে না। এদের দূরভিসন্ধিমূলক অশুভ পরিকল্পনার অভিমুখ ছিল গণতন্ত্রের দিকে। সেই কর্তব্য কর্মটি তারা আন্তরিকতা ও নিষ্ঠা দিয়ে পালন করেছে গণতন্ত্রকে দাফন করে। রিজভী বলেন, মনে হয় বর্তমান সরকার অঘোষিত সান্ধ্য আইন জারি করে দেশ শাসন করে যাচ্ছে। এখানে গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বললে তার বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা হয়, মিছিল সমাবেশ করলে গুলি চালানো হয়, সংবাদপত্রের স্বাধীনতার কথা বললে সম্পাদককে জেলে থাকতে হয়, রাজনৈতিক বন্দী জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরও জেলগেট থেকে তাকে বারবার গ্রেফতার করা হয়। আর এ সমস্ত নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন, হামলা-মামলা করা হয় পুলিশী ক্ষমতার যথেচ্ছ প্রয়োগের মাধ্যমে। পুলিশের এই ক্ষমতার সঙ্গে যুক্ত থাকে যুবলীগ-ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, সহ-দফতর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ। ভাষা শহীদের নাম কেউ জানে না -হাফিজ ॥ একুশের চেতনা আজ হারিয়ে যেতে বসেছে অভিযোগ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ মন্তব্য করেছেন, যে ভাষার জন্য জাতির এত উৎসর্গ সেই ভাষা শহীদদের নাম কেউ জানে না। তিনি বলেন, হিন্দি ভাষার দাপটে আজ বাংলা ভাষা হারিয়ে যেতে বসেছে। আর ভাষা শহীদদের নাম না জানলেও এখন আওয়ামী লীগের মাস্তানদের নাম সবাই জানে। মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
×